পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বেড়েছে
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পার্লামেন্টের সামনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভস্থলেই গতকাল পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। ছবি: এএফপি |
বিশ্বব্যাপী সংঘাত প্রতিরোধে কাজ করা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার বলেছে, ইসলামাবাদে সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হওয়ায় পাকিস্তানে সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বেড়েছে। পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে এক মূল্যায়নে আইসিজি চলমান সংকটের বিষয়ে আইএসপিআরের প্রধান মেজর জেনারেল আসিম বাজওয়ার বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেছে। রাজনীতিকদের ‘ধৈর্য ও প্রজ্ঞা’ দেখাতে ওই সেনা কর্মকর্তার আহ্বানের কথা উল্লেখ করে আইসিজি বলেছে, এটি সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হতে পারে।
আসিম বাজওয়া ওই বিবৃতিতে সব অংশীজনদের প্রতি ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা প্রদর্শন এবং বৃহত্তর জাতীয় ও জনস্বার্থে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে চলমান অচলাবস্থার নিরসনের আহান জানান। আইসিজি বলছে, অতীত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রাখলে আসিম বাজওয়ার বক্তব্যে একটা সূক্ষ্ম ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কারণ, রাজনীতিকরা বিচক্ষণতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন, এ ওজর দেখিয়ে সেনা হস্তক্ষেপের পথ সুগম করা হতে পারে। আইসিজির মূল্যায়নে বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য সরকারকেও কিছুটা দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি) নেতা তাহির উল কাদরির সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের জন্য সরকার দায় এড়াতে পারে না।
এ ছাড়া সরকার সময় থাকতে অন্তত কিছু এলাকার ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের দাবি মেনে নিতে পারতো। তবে ইসলামাবাদে দুই দলের চলমান অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভের সময় সংযম দেখানোর জন্য সরকারের প্রশংসাও করেছে আইসিজি। আইসিজি বলেছে, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বকে সাংবিধানিক আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা ও অর্থবহ আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। সংগঠনটি পাকিস্তানের সরকার, বিরোধী দল ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অন্যথায় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
No comments