বইয়ের পোকা
সেভেনটি থ্রির এক সকালবেলা। কলকাতা এসেছিলাম পাক্কা বারো-তেরো বছর পর। সেই যে ফজল মাহমুদের দল ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ খেলে গেল ইডেন গার্ডেনে, তারপর কলকাতার মুখ আর দেখিনি। ফিরে যাচ্ছি ঢাকায়। চিত্তরঞ্জন এভিন্যুর এয়ারলাইন অফিসে এসে শুনলাম, বাস আধঘণ্টা আগেই এয়ারপোর্ট চলে গেছে।
যাবে জানতাম। সকালে উঠতেই দেরি হয়ে গেছে। বড় ভাইয়া নাশতা না খাইয়ে কিছুতেই ছাড়লেন না। প্লেন মিস করবো—এ কথাকে তিনি আমলই দিলেন না। সকলেই ব্রেকফাস্ট করে যায়; কেউ মিস করে না; একা আমিই কেন মিস করবো; এই যুক্তি দেখিয়ে বড় ভাইয়া আরো বললেন, তুই চিরকালই বড্ড নার্ভাস।
বড় ভাইয়ার গাড়ি আমাকে এয়ারলাইন অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দেবে; সেখান থেকে বাসে করে এয়ারপোর্ট—এই ঠিক ছিল। আমি জীবনে কোন উড়ে ড্রাইভার দেখিনি; উড়ে দেখেছি খুব কম; এবং তারা প্রায় সকলেই পানআলা। কিন্তু এই ড্রাইভারটি তা-ই। সেই জন্যই কি না জানি না, সেও আসতে দেরি করলো। তাই বাস মিস করলাম।
আলোচিত একটি উপন্যাসের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে উপন্যাসটি ও এর লেখকের নাম কী?
বড় ভাইয়ার গাড়ি আমাকে এয়ারলাইন অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দেবে; সেখান থেকে বাসে করে এয়ারপোর্ট—এই ঠিক ছিল। আমি জীবনে কোন উড়ে ড্রাইভার দেখিনি; উড়ে দেখেছি খুব কম; এবং তারা প্রায় সকলেই পানআলা। কিন্তু এই ড্রাইভারটি তা-ই। সেই জন্যই কি না জানি না, সেও আসতে দেরি করলো। তাই বাস মিস করলাম।
আলোচিত একটি উপন্যাসের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে উপন্যাসটি ও এর লেখকের নাম কী?
No comments