অভিবাসীদের বৈধতার পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান ওবামার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীর বৈধতা দেওয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত মঙ্গলবার মেক্সিকো সীমান্তের কাছে এল পাসো নগরে অভিবাসীদের এক বিশাল সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি তাঁর এই উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন ওবামা।
আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার কারণে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ এর আগেও ব্যর্থ হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশও বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিরোধিতায় পড়েছিলেন। ২ মে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ওবামার জন্য অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে অভিবাসন আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন ওবামা।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, অভিবাসন সমস্যা দূর করার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধদের বৈধতা দিলে মার্কিন মধ্যবিত্ত শ্রেণী আরও শক্তিশালী হবে। বৈধতার সনদ না পাওয়ায় অভিবাসী কর্মজীবীরা মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে শ্রমবাজার ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউস থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার পক্ষে একটি খসড়া পরিকল্পনা পার্লামেন্টে উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। বৈধতার জন্য আবেদনকারীদের নৈতিকতা খতিয়ে দেখা হবে, যাতে কোনো অপরাধী বৈধতার সুযোগ না পায়। আবেদনকারীকে কর প্রদান করতে হবে এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। অভিবাসন আইনের ক্রমানুসারে আট বছরে আবেদনকারীরা বৈধতা পাবে। বৈধতা পাওয়ার পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর বক্তব্যে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য সরাসরি কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেননি। অভিবাসন সমস্যা সমাধানে আন্তরিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অভিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা যেন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে বক্তৃতায় ওবামা এ ধরনের কোনো নির্বাহী আদেশ প্রদানের ইঙ্গিত দেননি। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়নের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কংগ্রেসে এখন রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর বক্তব্যে অভিবাসী আইন সংস্কারে আইনপ্রণেতাদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ওবামার বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির প্রধান কংগ্রেসম্যান পিটারকিং বলেন, ওবামার পরিকল্পনা অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সমান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য আরও বহু বিষয় বিবেচনার বাকি রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান এলটন গেলেগলি বলেন, কংগ্রেসে অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমাসংক্রান্ত কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না। নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত প্রভাবশালী সিনেটর চার্লস শুমার জানান, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হ্যারি রিডসহ তাঁরা একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রস্তাবের অনুরূপ আইন প্রণয়নের জন্য আইনপ্রণেতাদের সম্মতি গ্রহণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
থার্ড ওয়ে নামে মধ্যপন্থী নাগরিক সংগঠনের নেতা জিম কেসিয়ার বলেন, ২০১২ সালের নির্বাচন সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট ওবামা তৎপর হয়েছেন। হিসপানিকসহ অন্য অভিবাসীদের সমর্থন আদায়ের জন্য এ উদ্যোগ কাজে লাগলেও ২০১২ সালের নির্বাচনের আগে অভিবাসনসংক্রান্ত আইন প্রণীত হবে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ২০১৩ সালের দিকে অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণীত হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার কারণে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ এর আগেও ব্যর্থ হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশও বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিরোধিতায় পড়েছিলেন। ২ মে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ওবামার জন্য অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে অভিবাসন আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন ওবামা।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, অভিবাসন সমস্যা দূর করার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধদের বৈধতা দিলে মার্কিন মধ্যবিত্ত শ্রেণী আরও শক্তিশালী হবে। বৈধতার সনদ না পাওয়ায় অভিবাসী কর্মজীবীরা মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে শ্রমবাজার ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউস থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার পক্ষে একটি খসড়া পরিকল্পনা পার্লামেন্টে উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। বৈধতার জন্য আবেদনকারীদের নৈতিকতা খতিয়ে দেখা হবে, যাতে কোনো অপরাধী বৈধতার সুযোগ না পায়। আবেদনকারীকে কর প্রদান করতে হবে এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। অভিবাসন আইনের ক্রমানুসারে আট বছরে আবেদনকারীরা বৈধতা পাবে। বৈধতা পাওয়ার পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর বক্তব্যে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য সরাসরি কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেননি। অভিবাসন সমস্যা সমাধানে আন্তরিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অভিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা যেন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে বক্তৃতায় ওবামা এ ধরনের কোনো নির্বাহী আদেশ প্রদানের ইঙ্গিত দেননি। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়নের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কংগ্রেসে এখন রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর বক্তব্যে অভিবাসী আইন সংস্কারে আইনপ্রণেতাদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ওবামার বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির প্রধান কংগ্রেসম্যান পিটারকিং বলেন, ওবামার পরিকল্পনা অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সমান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য আরও বহু বিষয় বিবেচনার বাকি রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান এলটন গেলেগলি বলেন, কংগ্রেসে অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমাসংক্রান্ত কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না। নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত প্রভাবশালী সিনেটর চার্লস শুমার জানান, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হ্যারি রিডসহ তাঁরা একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রস্তাবের অনুরূপ আইন প্রণয়নের জন্য আইনপ্রণেতাদের সম্মতি গ্রহণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
থার্ড ওয়ে নামে মধ্যপন্থী নাগরিক সংগঠনের নেতা জিম কেসিয়ার বলেন, ২০১২ সালের নির্বাচন সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট ওবামা তৎপর হয়েছেন। হিসপানিকসহ অন্য অভিবাসীদের সমর্থন আদায়ের জন্য এ উদ্যোগ কাজে লাগলেও ২০১২ সালের নির্বাচনের আগে অভিবাসনসংক্রান্ত আইন প্রণীত হবে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ২০১৩ সালের দিকে অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণীত হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
No comments