গাজীপুরে অপহৃত সেরেস্তাদার উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
মুক্তিপণের দাবিতে গাজীপুর জেলা জজ আদালতের অপহৃত সেরেস্তাদার আব্দুর রহিমকে রোববার মধ্যরাতে টঙ্গী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গাজীপুর জেলা জজ আদালতের অপহৃত সেরেস্তাদার আব্দুর রহিমের মুক্তিপণের টাকা নিতে গিয়ে ঢাকা থেকে রোববার বিকালে এক নারীকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা ভিক্টিমকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীদের গাড়ি অনুসরন করতে থাকে এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী এলাকা পর্যন্ত যায়। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিক্টিমবহনকারী গাড়িটি টঙ্গীর স্টেশনরোড এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে পুলিশ অপহৃত সেরেস্তাদার আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও অপহৃতের সহকর্মী শাহীন আলম এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তরুবিথী এলাকায় স্বপরিবারে থাকেন গাজীপুর জেলা জজ আদালতের সেরেস্তাদার (প্রধান তুলনাকারী) আব্দুর রহিম। শনিবার গাজীপুর জেলা জজ আদালতের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে আব্দুর রহিম বিকাল ৫টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে অপরহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে রাত সাতটার দিকে আব্দুর রহিমের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ফোন করে তিনি নিজেই তার সহকর্মী শাহীন আলমকে অপহরণের কথা জানান। কথা বলার সময় অপহরণকারীরা তাকে মারধর করছিল। এসময় অপহরণকারীরা মুক্তিপণ বাবদ এক লাখ টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য অপহরণকারীরা রহিমের পরিবারকে ৬টি মোবাইল বিকাশ নম্বর প্রদান করে। অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী অপহৃতের স্বজনরা ওই ৬টি মোবাইল নম্বরে মুক্তিপণ বাবদ ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা পাঠায়। কিন্তু অপহরণকারীরা আব্দুর রহিমকে মুক্তি না দিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃত আব্দুর রহিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকে আব্দুর রহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকে।
No comments