জনশক্তি রফতানি কমেছে ৩২ শতাংশ by কিসমত খোন্দকার
দেশের
জনশক্তি রফতানি ২০১৩ সালে আগের বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ কমেছে। ২০১৩ সালে
বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন।
২০১২ সালে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল ৬ লাখ ৭ হাজার জন। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট
ছাড়াও সরকারি উদ্যোগ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি
রফতানি বন্ধ থাকাকে এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর
জনশক্তি রফতানি কমে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান সচিব ড. জাফর আহমদ খান সমকালকে বলেন, ২০১২ সালের তুলনায় গত বছর
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রফতানি কিছুটা কম হয়েছে। তবে প্রতি বছর সমহারে
জনশক্তি রফতানি হবে এমনটা আশা করা ঠিক নয়। জনশক্তি রফতানিতে সরকারের
নানামুখী উদ্যোগ রয়েছে। বিশেষ করে প্রচলিত বাজারের বাইরেও নতুন বাজার
অনুসন্ধান করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছর রফতানি বেশি হবে।
ড. জাফর আহমদ খান বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসহ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা থাকায় তা মোট জনশক্তি রফতানির ওপর প্রভাব ফেলেছে। দুবাইয়ে রফতানি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে এই বড় বাজারটি বন্ধ ছিল। সৌদি আরবে অবৈধ অবস্থানকারী বিদেশি কর্মীদের বৈধতা নেওয়ার সময় আরও দুই মাস বেড়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া আবার শুরু হয়েছে। এসব দিক বিবেচনা করে এ বছর জনশক্তি রফতানি বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার কর্মী রফতানি হয়েছে বলে দাবি করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব। তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর (বিএমইটি) নভেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালে মোট ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৭ জন কর্মী রফতানি হয়েছে।
বিএমইটির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে ৪ লাখ ৭৫ হাজার, ২০১০ সালে ৩ লাখ ৯০ হাজার এবং ২০১১ সালে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কর্মী রফতানি হয়েছে।
বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন ওমানে। এর সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩। এরপর সিঙ্গাপুরে ৫৫ হাজার ৪৪৯, কাতারে ৫২ হাজার ৬১১, বাহরাইনে ২৩ হাজার ৫০৬, জর্ডানে ১৯ হাজার ৬৫৫ ও লেবাননে ১৩ হাজার ৭৬৯ জন। রফতানির বড় বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ হাজার ৬২৬, সৌদি আরবে ১২ হাজার ৫৬৯, লিবিয়ায় ৬ হাজার ৯০৩ এবং ইরাকে ৬ হাজার ৪৩৮ কর্মী রফতানি হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশেও ২০১২ সালের চেয়ে কম কর্মী কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
জনশক্তি রফতনির বড় বাজার সৌদি আরবে গত ২০০৮ সালের পর থেকেই ক্রমাগত কমছে। ২০১২ সালে ২ লাখ ১ হাজার ২৩২ জনের বিপরীতে ২০১৩ সালে তা কমে ১২ হাজার ৫৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১২ সালে যান ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৫২ জন। গত বছর সেখানে গেছেন মাত্র ১২ হাজার ৬২৬ জন। কুয়েতে গত কয়েক বছর ধরেই জনশক্তি রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় রফতানি হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনশক্তি রফতানি বাড়ানোর বিষয়টি অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য 'ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০' এর বিশাল আয়োজন উপলক্ষে কর্মী পাঠানোর সুযোগ এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ-২০২২ কে কেন্দ্র করে দেশটিতে রফতানির সুযোগ কাজে লাগাতেও জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের দুটি আয়োজনকে কেন্দ্র করে ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এর মধ্যেই নিজেদের জনশক্তি রফতানির বিষয় নিশ্চিত করছে। সরকারি পর্যায়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হলে এ দেশ দুটিতে বিপুলসংখ্যক কর্মী রফতানি সম্ভব হবে বলে রফতানিকারক এজেন্সির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
ড. জাফর আহমদ খান বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসহ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা থাকায় তা মোট জনশক্তি রফতানির ওপর প্রভাব ফেলেছে। দুবাইয়ে রফতানি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে এই বড় বাজারটি বন্ধ ছিল। সৌদি আরবে অবৈধ অবস্থানকারী বিদেশি কর্মীদের বৈধতা নেওয়ার সময় আরও দুই মাস বেড়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া আবার শুরু হয়েছে। এসব দিক বিবেচনা করে এ বছর জনশক্তি রফতানি বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার কর্মী রফতানি হয়েছে বলে দাবি করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব। তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর (বিএমইটি) নভেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালে মোট ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৭ জন কর্মী রফতানি হয়েছে।
বিএমইটির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে ৪ লাখ ৭৫ হাজার, ২০১০ সালে ৩ লাখ ৯০ হাজার এবং ২০১১ সালে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কর্মী রফতানি হয়েছে।
বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন ওমানে। এর সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩। এরপর সিঙ্গাপুরে ৫৫ হাজার ৪৪৯, কাতারে ৫২ হাজার ৬১১, বাহরাইনে ২৩ হাজার ৫০৬, জর্ডানে ১৯ হাজার ৬৫৫ ও লেবাননে ১৩ হাজার ৭৬৯ জন। রফতানির বড় বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ হাজার ৬২৬, সৌদি আরবে ১২ হাজার ৫৬৯, লিবিয়ায় ৬ হাজার ৯০৩ এবং ইরাকে ৬ হাজার ৪৩৮ কর্মী রফতানি হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশেও ২০১২ সালের চেয়ে কম কর্মী কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
জনশক্তি রফতনির বড় বাজার সৌদি আরবে গত ২০০৮ সালের পর থেকেই ক্রমাগত কমছে। ২০১২ সালে ২ লাখ ১ হাজার ২৩২ জনের বিপরীতে ২০১৩ সালে তা কমে ১২ হাজার ৫৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১২ সালে যান ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৫২ জন। গত বছর সেখানে গেছেন মাত্র ১২ হাজার ৬২৬ জন। কুয়েতে গত কয়েক বছর ধরেই জনশক্তি রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় রফতানি হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনশক্তি রফতানি বাড়ানোর বিষয়টি অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য 'ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০' এর বিশাল আয়োজন উপলক্ষে কর্মী পাঠানোর সুযোগ এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ-২০২২ কে কেন্দ্র করে দেশটিতে রফতানির সুযোগ কাজে লাগাতেও জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের দুটি আয়োজনকে কেন্দ্র করে ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এর মধ্যেই নিজেদের জনশক্তি রফতানির বিষয় নিশ্চিত করছে। সরকারি পর্যায়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হলে এ দেশ দুটিতে বিপুলসংখ্যক কর্মী রফতানি সম্ভব হবে বলে রফতানিকারক এজেন্সির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
No comments