গুলি বোমা ককটেল বিস্ফোরণের মধ্যেই ভোট হলো চট্টগ্রামে
গুলি,
বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের মধ্যে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৯ আসনে শেষ হলো
ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর গুলিতে লোহাগাড়ায় একজন নিহত হয়েছেন। সীতাকুণ্ডে ভোটকেন্দ্র দখলে
নিতে গেলে পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনজন। তবে অন্য সাতটি আসনে বড় ধরনের কোনো
সহিংস ঘটনা ঘটেনি। জেলার প্রতিটি আসনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটারের
উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। দুপুরের পর বাড়তে থাকে ভোটারের সংখ্যা।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগও আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। দুপুর সোয়া ১টায় পটিয়ায় জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিকেল ৩টায় জাল ভোটের অভিযোগে ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদ হাসান নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, মহানগরের বন্দর-পতেঙ্গা, কোতোয়ালি-বাকলিয়া ও পাহাড়তলী-সীতাকুণ্ড আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া জেলার আনোয়ারায় ৬০ শতাংশ, ফটিকছড়িতে ৪৬ শতাংশ, পটিয়ায় ৫২ শতাংশ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ৩২ শতাংশ, বাঁশখালীতে ৫০ শতাংশ ও সন্দ্বীপে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সাতকানিয়ায় সক্রিয় ছিল জামায়াত :সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় তৎপর ছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশে দিনভর ককটেল বিস্ফোরণের কারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন ভোটাররা। লোহাগাড়ায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এনামুল হক লালু নামে এক শিবির ক্যাডার নিহত হন। আতঙ্ক ছড়াতে কলাউজান কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা লেদু মিয়ার ওপর এবং বড় হাতিয়া কেন্দ্রে যুবলীগ কর্মী সাগরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। মলি্লক ছোবহান কেন্দ্রে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ভোট দিতে আসার অপরাধে টংকাবতী এলাকার ভোটার রণজিৎ দাশকে পুকুরে ফেলে দেয়।
সীতাকুণ্ডে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ ৩ : সীতাকুণ্ডে সকালে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারি টোল কেন্দ্রে গুলি ও বোমাবাজি করতে করতে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে আহত হন বিএনপি নেতা ইসমাঈল, জামায়াতের আবসার ও আকবর। আবার কুমিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাবুদ, মো. শামসু, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক নুর উদ্দিন ও মো. পারভেজ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করতে গেলে তিনটি কিরিচসহ মো. ইয়াছিন, মো. রাসেল ও রাসেল নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ রহমতনগর এলাকায় আবুল কামাল লেদুসহ তিন আওয়ামী লীগ কর্মীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে দিগম্বর করেছে বিএনপি সমর্থকরা।
বাঁশখালীর এক পাশে উৎসব, আরেক পাশে শঙ্কা :বাঁশখালীর জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকায় গতকাল ছিল উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা। আবার নৌকা প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির পাশের এলাকায় ছিল ভোট উৎসব। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ১টার দিকে পুকুরিয়া আনসারুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে ককটেল ফাটাচ্ছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা দক্ষিণ শেখেরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয় তারা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা জামায়াত সমর্থিত এক ইউপি সদস্যকে আটক করেন। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ শেখেরখীল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার না থাকায় প্রিসাইডিং অফিসার বাবুল দাশ তার রুমের দরজা বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আবার বাদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টা বাজতেই কাস্ট হয়ে যায় ৩০ শতাংশ ভোট।
সন্দ্বীপে ভোটের দিনও এলাকায় যাননি এক প্রার্থী :সন্দ্বীপে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও জাসদের তিন প্রার্থী থাকলেও গতকাল ভোটের দিনও এলাকায় আসেননি জাসদ প্রার্থী নুরুল আকতার। তবে নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা ও জাতীয় পার্টির এমএ সালাম।
নির্বাচনের আগে সন্দ্বীপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত থাকলেও গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন।
মহানগরে সকালে ছিল এক রূপ, বিকেলে অন্যরূপ :মহানগরের বন্দর-পতেঙ্গা ও কোতোয়ালি-বাকলিয়া আসনে সকালে ভোটের চিত্র ছিল নিরুত্তাপ।
প্রথম দুই ঘণ্টায় মহানগরের বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র দুই থেকে তিন শতাংশ। কিন্তু বিকেলে পাল্টে যেতে থাকে এ চিত্র। দুপুরের পর অনেকে ভোটকেন্দ্রে আসায় বাড়তে থাকে ভোটের সংখ্যা।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোর তৌফিকুল ইসলাম বাবর, স্বপন মলি্লক, আহমেদ কুতুব, নোমান আবদুল্লাহ, সিমু দে ও ফরহান অভি, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মঞ্জু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি এম সেকান্দর হোসাইন, বাঁশখালী প্রতিনিধি আবদুল মতলব কালু ও পটিয়া সংবাদদাতা আহমদ উল্লাহ)
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগও আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। দুপুর সোয়া ১টায় পটিয়ায় জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিকেল ৩টায় জাল ভোটের অভিযোগে ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদ হাসান নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, মহানগরের বন্দর-পতেঙ্গা, কোতোয়ালি-বাকলিয়া ও পাহাড়তলী-সীতাকুণ্ড আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া জেলার আনোয়ারায় ৬০ শতাংশ, ফটিকছড়িতে ৪৬ শতাংশ, পটিয়ায় ৫২ শতাংশ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ৩২ শতাংশ, বাঁশখালীতে ৫০ শতাংশ ও সন্দ্বীপে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সাতকানিয়ায় সক্রিয় ছিল জামায়াত :সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় তৎপর ছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশে দিনভর ককটেল বিস্ফোরণের কারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন ভোটাররা। লোহাগাড়ায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এনামুল হক লালু নামে এক শিবির ক্যাডার নিহত হন। আতঙ্ক ছড়াতে কলাউজান কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা লেদু মিয়ার ওপর এবং বড় হাতিয়া কেন্দ্রে যুবলীগ কর্মী সাগরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। মলি্লক ছোবহান কেন্দ্রে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ভোট দিতে আসার অপরাধে টংকাবতী এলাকার ভোটার রণজিৎ দাশকে পুকুরে ফেলে দেয়।
সীতাকুণ্ডে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ ৩ : সীতাকুণ্ডে সকালে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারি টোল কেন্দ্রে গুলি ও বোমাবাজি করতে করতে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে আহত হন বিএনপি নেতা ইসমাঈল, জামায়াতের আবসার ও আকবর। আবার কুমিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাবুদ, মো. শামসু, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক নুর উদ্দিন ও মো. পারভেজ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করতে গেলে তিনটি কিরিচসহ মো. ইয়াছিন, মো. রাসেল ও রাসেল নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ রহমতনগর এলাকায় আবুল কামাল লেদুসহ তিন আওয়ামী লীগ কর্মীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে দিগম্বর করেছে বিএনপি সমর্থকরা।
বাঁশখালীর এক পাশে উৎসব, আরেক পাশে শঙ্কা :বাঁশখালীর জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকায় গতকাল ছিল উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা। আবার নৌকা প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির পাশের এলাকায় ছিল ভোট উৎসব। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ১টার দিকে পুকুরিয়া আনসারুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে ককটেল ফাটাচ্ছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা দক্ষিণ শেখেরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয় তারা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা জামায়াত সমর্থিত এক ইউপি সদস্যকে আটক করেন। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ শেখেরখীল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার না থাকায় প্রিসাইডিং অফিসার বাবুল দাশ তার রুমের দরজা বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আবার বাদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টা বাজতেই কাস্ট হয়ে যায় ৩০ শতাংশ ভোট।
সন্দ্বীপে ভোটের দিনও এলাকায় যাননি এক প্রার্থী :সন্দ্বীপে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও জাসদের তিন প্রার্থী থাকলেও গতকাল ভোটের দিনও এলাকায় আসেননি জাসদ প্রার্থী নুরুল আকতার। তবে নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা ও জাতীয় পার্টির এমএ সালাম।
নির্বাচনের আগে সন্দ্বীপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত থাকলেও গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন।
মহানগরে সকালে ছিল এক রূপ, বিকেলে অন্যরূপ :মহানগরের বন্দর-পতেঙ্গা ও কোতোয়ালি-বাকলিয়া আসনে সকালে ভোটের চিত্র ছিল নিরুত্তাপ।
প্রথম দুই ঘণ্টায় মহানগরের বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র দুই থেকে তিন শতাংশ। কিন্তু বিকেলে পাল্টে যেতে থাকে এ চিত্র। দুপুরের পর অনেকে ভোটকেন্দ্রে আসায় বাড়তে থাকে ভোটের সংখ্যা।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোর তৌফিকুল ইসলাম বাবর, স্বপন মলি্লক, আহমেদ কুতুব, নোমান আবদুল্লাহ, সিমু দে ও ফরহান অভি, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মঞ্জু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি এম সেকান্দর হোসাইন, বাঁশখালী প্রতিনিধি আবদুল মতলব কালু ও পটিয়া সংবাদদাতা আহমদ উল্লাহ)
No comments