মনিরামপুরের অর্ধশত কেন্দ্রে তাণ্ডব :জামায়াত কর্মী নিহত
(৪৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত)
কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, বোমাবাজি ও অগি্নসংযোগের মধ্য দিয়ে
গতকাল রোববার যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ আসনের ১২২টির
মধ্যে অর্ধশত কেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে নির্বাচনবিরোধীরা। দুপুরে উপজেলার
বাজিতপুর ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক জামায়াতকর্মী। এ ছাড়া
হামলা-মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন প্রিসাইডিং অফিসার,
পুলিশ-আনসারসহ ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪৭
কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিতের কথা স্বীকার করেছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার।
তবে স্থানীয়দের দাবি, বন্ধ হওয়া ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৬০টি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাজিতপুর
কেন্দ্রে বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় হামলাকারীদের। এ সময়
মতিয়ার রহমান (২৮) নামে এক জামায়াতকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি মারা যান।
স্থানীয় দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার বাহাদুর আলী মতিয়ারের
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। নিহত মতিয়ার একই ইউনিয়নের বিপ্রকোনা গ্রামের
আবদুল মজিদের ছেলে।
এদিকে তা ব-সংঘর্ষে ৬০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। তবে সরকারিভাবে ৪৭টি কেন্দ্রের কথা স্বীকার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিমনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোজগাতি ইউনিয়ন পরিষদ, দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হুরগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবলকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হালসা বরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজরাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর মাদ্রাসা, কাশিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইততা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবীদাসপুর স্কুল, কালারহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, টায়রা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাঙ্গা মহিষদিয়া স্কুল ও পুড়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সহকারী রিটার্নি অফিসার শরীফ নজরুল ইসলাম জানান, অনুকূল পরিবেশ না থাকায় এ কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার থেকেই বিএনপি ও শিবির ক্যাডাররা মনিরামপুরে মহড়া দেওয়া শুরু করে। ওই রাতে ৬টি কেন্দ্র থেকে তারা ব্যালট পেপার লুট ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। বোমা হামলা ও আগুন দেয় আরও কয়েকটি কেন্দ্রে। রোববার সকালে উপজেলার অন্তত অর্ধশত কেন্দ্রে হামলা চালায় তারা। হামলাকালে শিবির ক্যাডাররা ভোটকেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে ব্যালট পেপার লুট, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, বোমাবাজি ও মারধরের ঘটনা ঘটায়। এতে নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ, আনসার সদস্যসহ হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ জন।
হামলায় আহত হাজরাকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার সরদার তরিকুল ইসলামকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দেবীদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পোলিং এজেন্ট পলি রানী বিশ্বাস জানান, সকাল ১০টার দিকে ৩টি মোটরসাইকেলে ৯ জন ক্যাডার তাদের কেন্দ্রে হানা দেয়। এ সময় ১ জন পুলিশ ও ৭-৮ আনসার সদস্য ছিলেন। ক্যাডররা হামলা চালিয়ে ভাংচুর, মারধর শুরু করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ইততা কেন্দ্রে হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন। তিনি জানান, কাশিমনগর ইউনিয়নের কাশিমনগর, কালারহাট ও ইততাসহ ৪টি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় ক্যাডাররা।
গোটা উপজেলার এ তাণ্ডবের কারণে এখানে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অন্য উপজেলায়ও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার রাতে ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার অন্তত ১৫টি কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি করেছে ভোটবিরোধীরা।
ঝিকরগাছার শ্রীরামপুর কেন্দ্রে বোমা হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বিকেলে ভোট গণনার সময়ও।
এদিকে তা ব-সংঘর্ষে ৬০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। তবে সরকারিভাবে ৪৭টি কেন্দ্রের কথা স্বীকার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিমনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোজগাতি ইউনিয়ন পরিষদ, দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হুরগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবলকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হালসা বরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজরাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর মাদ্রাসা, কাশিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইততা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবীদাসপুর স্কুল, কালারহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, টায়রা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাঙ্গা মহিষদিয়া স্কুল ও পুড়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সহকারী রিটার্নি অফিসার শরীফ নজরুল ইসলাম জানান, অনুকূল পরিবেশ না থাকায় এ কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার থেকেই বিএনপি ও শিবির ক্যাডাররা মনিরামপুরে মহড়া দেওয়া শুরু করে। ওই রাতে ৬টি কেন্দ্র থেকে তারা ব্যালট পেপার লুট ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। বোমা হামলা ও আগুন দেয় আরও কয়েকটি কেন্দ্রে। রোববার সকালে উপজেলার অন্তত অর্ধশত কেন্দ্রে হামলা চালায় তারা। হামলাকালে শিবির ক্যাডাররা ভোটকেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে ব্যালট পেপার লুট, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, বোমাবাজি ও মারধরের ঘটনা ঘটায়। এতে নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ, আনসার সদস্যসহ হাসপাতালে ভর্তি হন ১০ জন।
হামলায় আহত হাজরাকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার সরদার তরিকুল ইসলামকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দেবীদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পোলিং এজেন্ট পলি রানী বিশ্বাস জানান, সকাল ১০টার দিকে ৩টি মোটরসাইকেলে ৯ জন ক্যাডার তাদের কেন্দ্রে হানা দেয়। এ সময় ১ জন পুলিশ ও ৭-৮ আনসার সদস্য ছিলেন। ক্যাডররা হামলা চালিয়ে ভাংচুর, মারধর শুরু করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ইততা কেন্দ্রে হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন। তিনি জানান, কাশিমনগর ইউনিয়নের কাশিমনগর, কালারহাট ও ইততাসহ ৪টি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় ক্যাডাররা।
গোটা উপজেলার এ তাণ্ডবের কারণে এখানে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অন্য উপজেলায়ও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার রাতে ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার অন্তত ১৫টি কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি করেছে ভোটবিরোধীরা।
ঝিকরগাছার শ্রীরামপুর কেন্দ্রে বোমা হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বিকেলে ভোট গণনার সময়ও।
No comments