সিলেট থেকেই ঐক্যযাত্রা, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা
শুরুতেই
বাধার মুখে নবগঠিত বিরোধী শক্তি ঐক্যফ্রন্ট। ২৩শে অক্টোবর সিলেটে সমাবেশ
করতে চেয়েও অনুমতি পায়নি এই জোট। এখন একদিন পরে সমাবেশ করার চেষ্টা চলছে। এ
জন্য ২৪শে অক্টোবর জনসভার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে যেকোনো
পরিস্থিতিতে এই জোটের নেতারা সিলেট যেতে চান। গতকাল ধানমন্ডিতে নাগরিক
ঐক্যের নেতা মোবারক হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত জোটের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এ
বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। এর আগের দিনও জোটের শীর্ষ
নেতারা এ নিয়ে আলোচনা করেন।
জোট নেতারা বলছেন, তারা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদুর রহমান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন প্রমুখ। সেখানে আরো উপস্থিত হন, বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আবদুন নূর। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ২৩শে অক্টোবর সিলেটে আমরা যে জনসভার অনুমতি নিয়েছিলাম তা বাতিল করেছে পুলিশ প্রশাসন। আমরা ২৪শে অক্টোবর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।
আশা করি অনুমতি পাবো। অনুমতি পাই বা না পাই সেদিন আমরা সিলেটে যাব। মাজার জিয়ারত করবো। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর মাজারও জিয়ারত করবো। এ সময় তিনি আরো বলেন, ২৭শে অক্টোবর চট্টগ্রামের জনসভা করা হবে। তার আগে ২৬শে অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি আগেই গঠিত হয়েছে। আজকের সভায় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলো। পরে কমিটিতে কারা কারা রয়েছেন তা জানিয়ে দেয়া হবে। বারবার জনসভার অনুমতি না দেয়া হলে কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর জোট নেতারা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বৈঠক করেছেন। সেখানেও সিলেটে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে, এই সংক্ষিপ্ত বৈঠকে ঠিক হয়, সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া না গেলেও জোটের নেতারা সিলেটে যাবেন এবং হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশের পর উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় এক বৈঠকে আগামী ২৩শে অক্টোবর সিলেটে মাজার জিয়ারত ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের অনুমতি দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়।
তবে সিলেটের নেতারা জানিয়েছেন, সমাবেশের অনুমতির জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নেতাদের কথা- পুণ্যভূমি সিলেট থেকেই দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তারা যাত্রা শুরু করবেন। জাতীয় ঐক্যের সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে সিলেটে গত দু’দিন পৃথকভাবে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল জেলা ও মহানগর বিএনপি। পুলিশ সে দুটি সমাবেশও করতে দেয়নি।
সমাবেশ করতে না পারলেও অজানা আতঙ্কে ভুগছেন সিলেটের নেতারা। ধরপাকড়ের আশঙ্কায় রাতে কেউ বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন না। অজ্ঞাত স্থানে থেকেই অনেক সিনিয়র নেতা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে সিলেটের রেজিস্ট্রারী মাঠে সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলের সব অংশের নেতারা সিলেটে প্রস্তুতি শুরু করেন। বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে সিলেটের সিনিয়র নেতারা গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আসেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ স্বাক্ষরিত একটি আবেদনও দেয়া হয়। ওই সময় পুলিশের মনোভাব ইতিবাচক হলেও পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয়া হয় অনুমতি দেয়া হবে না। নাশকতার আশঙ্কা করছে পুলিশ। এ কারণে পুলিশের তরফ থেকে এ কড়াকড়ি। সিলেটের কোথাও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করার অনুমতি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়নি। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবদুল ওয়াহাব মানবজমিনকে জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
পুলিশ সিলেটের শান্তি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, কেউ যদি আইন লঙ্ঘন করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ২৩শে অক্টোবরের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতি ও শুক্রবার সিলেটের শহীদ সোলেমান হলে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল জেলা ও মহানগর বিএনপি। পুলিশ ওই দুটি সমাবেশেরও অনুমতি দেয়নি। ফলে সিলেটে বিএনপি কোনো প্রস্তুতি সভা করতে পারেনি। এছাড়া শরিক অন্যান্য দলও প্রস্তুতিমূলক কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের নেতারা। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির গতকাল বিকেলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘সিলেট বিভাগ বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ আমরা গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতির জন্য পত্র দিয়ে এসেছিলাম। এবং আমরা জানিয়ে এসেছিলাম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবো।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের তরফ থেকে অনুমতি মিলেনি। সমাবেশ করতে দেয়া হবে কিনা- সেটি নিয়েও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবো।’ আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবো। এখানে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অবকাশ নেই।’ সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানিয়েছেন, তিনি নিজে গিয়ে আবেদন দিয়ে আসেন। সেটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সমাবেশে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এ ব্যাপারে ঢাকায় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সিলেটে নেতাদের কর্মসূচি হচ্ছে মাজার জিয়ারত ও সমাবেশ। মাজার জিয়ারতে নেতারা সিলেটে আসতে পারেন। সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে এখন থেকেই উত্তাপ বইতে শুরু করেছে।
জোট নেতারা বলছেন, তারা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদুর রহমান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন প্রমুখ। সেখানে আরো উপস্থিত হন, বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আবদুন নূর। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ২৩শে অক্টোবর সিলেটে আমরা যে জনসভার অনুমতি নিয়েছিলাম তা বাতিল করেছে পুলিশ প্রশাসন। আমরা ২৪শে অক্টোবর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।
আশা করি অনুমতি পাবো। অনুমতি পাই বা না পাই সেদিন আমরা সিলেটে যাব। মাজার জিয়ারত করবো। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর মাজারও জিয়ারত করবো। এ সময় তিনি আরো বলেন, ২৭শে অক্টোবর চট্টগ্রামের জনসভা করা হবে। তার আগে ২৬শে অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি আগেই গঠিত হয়েছে। আজকের সভায় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলো। পরে কমিটিতে কারা কারা রয়েছেন তা জানিয়ে দেয়া হবে। বারবার জনসভার অনুমতি না দেয়া হলে কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর জোট নেতারা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বৈঠক করেছেন। সেখানেও সিলেটে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে, এই সংক্ষিপ্ত বৈঠকে ঠিক হয়, সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া না গেলেও জোটের নেতারা সিলেটে যাবেন এবং হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশের পর উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় এক বৈঠকে আগামী ২৩শে অক্টোবর সিলেটে মাজার জিয়ারত ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের অনুমতি দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়।
তবে সিলেটের নেতারা জানিয়েছেন, সমাবেশের অনুমতির জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নেতাদের কথা- পুণ্যভূমি সিলেট থেকেই দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তারা যাত্রা শুরু করবেন। জাতীয় ঐক্যের সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে সিলেটে গত দু’দিন পৃথকভাবে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল জেলা ও মহানগর বিএনপি। পুলিশ সে দুটি সমাবেশও করতে দেয়নি।
সমাবেশ করতে না পারলেও অজানা আতঙ্কে ভুগছেন সিলেটের নেতারা। ধরপাকড়ের আশঙ্কায় রাতে কেউ বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন না। অজ্ঞাত স্থানে থেকেই অনেক সিনিয়র নেতা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে সিলেটের রেজিস্ট্রারী মাঠে সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলের সব অংশের নেতারা সিলেটে প্রস্তুতি শুরু করেন। বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে সিলেটের সিনিয়র নেতারা গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আসেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ স্বাক্ষরিত একটি আবেদনও দেয়া হয়। ওই সময় পুলিশের মনোভাব ইতিবাচক হলেও পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয়া হয় অনুমতি দেয়া হবে না। নাশকতার আশঙ্কা করছে পুলিশ। এ কারণে পুলিশের তরফ থেকে এ কড়াকড়ি। সিলেটের কোথাও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করার অনুমতি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়নি। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবদুল ওয়াহাব মানবজমিনকে জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
পুলিশ সিলেটের শান্তি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, কেউ যদি আইন লঙ্ঘন করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ২৩শে অক্টোবরের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতি ও শুক্রবার সিলেটের শহীদ সোলেমান হলে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল জেলা ও মহানগর বিএনপি। পুলিশ ওই দুটি সমাবেশেরও অনুমতি দেয়নি। ফলে সিলেটে বিএনপি কোনো প্রস্তুতি সভা করতে পারেনি। এছাড়া শরিক অন্যান্য দলও প্রস্তুতিমূলক কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের নেতারা। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির গতকাল বিকেলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘সিলেট বিভাগ বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ আমরা গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতির জন্য পত্র দিয়ে এসেছিলাম। এবং আমরা জানিয়ে এসেছিলাম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবো।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের তরফ থেকে অনুমতি মিলেনি। সমাবেশ করতে দেয়া হবে কিনা- সেটি নিয়েও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবো।’ আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবো। এখানে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অবকাশ নেই।’ সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানিয়েছেন, তিনি নিজে গিয়ে আবেদন দিয়ে আসেন। সেটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সমাবেশে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এ ব্যাপারে ঢাকায় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সিলেটে নেতাদের কর্মসূচি হচ্ছে মাজার জিয়ারত ও সমাবেশ। মাজার জিয়ারতে নেতারা সিলেটে আসতে পারেন। সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে এখন থেকেই উত্তাপ বইতে শুরু করেছে।
No comments