নির্বাচনে মার্কাই কি যোগ্যতার মাপকাঠি? by আহমেদ সুমন
দুর্নীতি
দমন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৎ ও ভালো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা
চালাবে বলে সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে। এই প্রচারণা নির্দিষ্ট কোনো দলের বা
প্রার্থীর পক্ষে নয়। যে দল থেকে যিনিই মনোনয়ন পান না কেন, দুর্নীতি দমন
কমিশন ভালো ইমেজের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য জনসাধারণের
প্রতি আহ্বান জানাবে। সন্দেহ নেই, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এ উদ্যোগটি
যদি বাস্তবে নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়, সেটা হবে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার
বিপরীত। কারণ প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়
অনুষ্ঠানে মার্কা দেখে ভোট দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু
আওয়ামী লীগের প্রধান, সেহেতু তিনি নৌকা মার্কা দেখে দলীয় নেতা, কর্মী,
সমর্থকদের ভোট দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, যারা প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, যারা বহুল প্রচলিত অর্থে
ভাসমান ভোটার, তারা কী দেখে ভোট দেবেন? কোনো মার্কা বা প্রার্থী তো এসব
ভোটারের কাছে বিবেচনার বিষয় নয়। প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজই তাদের কাছে মুখ্য।
তারা কী করবে? আমরা মনে করি, এই ভোটাররা দলীয় ভোটারদের চেয়ে অগ্রসর ও
সংবেদনশীল। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, এই ভোটাররা যেদিকে ঝুঁকেন, সেই প্রার্থী
জয়লাভ করেন।
শুধু দলীয় ভোটে জয়লাভ করা যায় না। দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই শতকরা ভোটের হার চল্লিশ থেকে চুয়াল্লিশের মধ্যে। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ভোটের ব্যবধান গড়ে দেন এই ভাসমান ভোটাররাই।
প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করেছেন। উন্নয়নের অঙ্গীকার, ধারাবাহিকতা দরকার বলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। সরকারি দলের এই যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, তার মধ্যে কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে। আর সেটা হল নির্বাচন হবে কী হবে না? আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে কিংবা আদৌ নির্বাচন হবে কি-না, নির্বাচন হলেও সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা নিয়ে সংশয়, অনিশ্চয়তা কাটছে না বরং দিন দিন বাড়ছে। সরকারি দলের এই যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, তা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারে। আবার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোও ভালো প্রার্থী নির্বাচিত করার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে। যেসব রাষ্ট্রে শতভাগ লোক শিক্ষিত নয়, সেসব রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা নির্ধারিত মার্কা বা প্রতীক থাকে। ফলে অক্ষরজ্ঞান যাদের নেই, তারা মার্কা দেখে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। সহজ কথায় এই হল মার্কার মাজেজা।
সরকারি দল থেকে এখন প্রার্থীকে বিবেচনা না করে মার্কা দেখে ভোট দেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রশ্নটি এখানেই। প্রধানমন্ত্রী গত ১১ সেপ্টেম্বর গণভবনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, ‘দলের প্রার্থী পছন্দ না হলে তার মুখের দিকে তাকানো দরকার নেই। নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেবেন।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নির্বাচনের সময় যাতে একাধিক প্রার্থিতা সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আওয়ামী লীগ এবার আগেভাগেই প্রার্থী মনোনয়নের কাজ শেষ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী আগত নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি মনে করেন আওয়ামী লীগ অন্য জায়গায় জিতবে, এখানে প্রার্থী পছন্দ হয়নি, তাই তাকে হারিয়ে দেবেন- এসব করলে শুধু দলের নয়, দেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই, নির্বাচনে প্রার্থী নয়, নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেবেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় চিহ্নিত অপরাধী, কালো টাকার মালিক, চোরাকারবারি, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক ইত্যাদি ধরনের ব্যক্তিদের দেখা মিলতে পারে।
রাজনীতিতে এখন ভালো লোকের কদর কম। পেশিশক্তি, অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিরাই রাজনীতিতে মহাক্রমশালী। আগে এরা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের চাঁদা দিয়ে নিজেদের কর্ম নিজেরা নির্বিঘেœ সম্পন্ন করত। এখন আর চাঁদা দিয়ে নয়, নিজেরাই রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ক্ষমতার চর্চা করছেন। গণভবনে আগত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উল্লিখিত শ্রেণীর ব্যক্তিরা উৎসাহিত হতে পারেন।
নির্বাচনে মার্কাই কি যোগ্যতার মাপকাঠি? কখনোই তা নয়। মার্কা একটা দলীয় প্রতীক। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতীক মুখ্য বিবেচনার বিষয় হতে পারে না। আমরা জানি, পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে প্রধানমন্ত্রী আশাহত হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের ভালো ইমেজের প্রার্থীরা জনসাধারণের নেতিবাচক ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এই নেতিবাচক মনোভাবটা ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। এসব নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের এমন কোনো গুণাগুণ ছিল না যে, লোকজন তাদের ভোটের বাক্স ভরে দেবে। এ বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো সেই ভুলটি করছেন। নির্বাচনে মার্কা মূল বিষয় নয়। দেশের অনেক পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচনে তো মার্কাই থাকে না। সেখানে প্রার্থী দেখে ভোট দেয়া হয়। এদেশের জনসাধারণ যদি শতভাগ শিক্ষিত হতো, সেক্ষেত্রে কোনো নির্বাচনেই প্রতীক বা মার্কার প্রয়োজন হতো না।
শুধু মার্কায় ভোট চাওয়া ‘মার্কা মারা নির্বাচন’ হিসেবে গণ্য হতে পারে। মার্কার জয়গান কখনোই গণতন্ত্রের জয়গান হতে পারে না। মার্কার কাছে জনসাধারণ প্রত্যাশা-প্রাপ্তির কৈফিয়ত বা জবাবদিহিতা চাইতে পারে না। মার্কা জড় পদার্থ। মার্কা জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, এখানে ব্যক্তি বা প্রার্থীই মুখ্য। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী স্লোগান ‘এগিয়ে এসেছি, পিছিয়ে যেতে চাই না’। নির্বাচনী স্লোগান হিসেবে এই পঙ্ক্তিমালা ভালো। জনসাধারণ এতে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করলে আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গল হতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই স্লোগানটি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেবেন। সুতরাং এখানে ব্যক্তি বা প্রার্থী মুখ্য, মার্কা কোনো বার্তা পৌঁছে দিতে পারে না। এ বিষয়টি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।
আহমেদ সুমন : গবেষক ও বিশ্লেষক
শুধু দলীয় ভোটে জয়লাভ করা যায় না। দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই শতকরা ভোটের হার চল্লিশ থেকে চুয়াল্লিশের মধ্যে। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ভোটের ব্যবধান গড়ে দেন এই ভাসমান ভোটাররাই।
প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করেছেন। উন্নয়নের অঙ্গীকার, ধারাবাহিকতা দরকার বলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। সরকারি দলের এই যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, তার মধ্যে কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে। আর সেটা হল নির্বাচন হবে কী হবে না? আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে কিংবা আদৌ নির্বাচন হবে কি-না, নির্বাচন হলেও সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা নিয়ে সংশয়, অনিশ্চয়তা কাটছে না বরং দিন দিন বাড়ছে। সরকারি দলের এই যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, তা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারে। আবার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোও ভালো প্রার্থী নির্বাচিত করার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে। যেসব রাষ্ট্রে শতভাগ লোক শিক্ষিত নয়, সেসব রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা নির্ধারিত মার্কা বা প্রতীক থাকে। ফলে অক্ষরজ্ঞান যাদের নেই, তারা মার্কা দেখে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। সহজ কথায় এই হল মার্কার মাজেজা।
সরকারি দল থেকে এখন প্রার্থীকে বিবেচনা না করে মার্কা দেখে ভোট দেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রশ্নটি এখানেই। প্রধানমন্ত্রী গত ১১ সেপ্টেম্বর গণভবনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, ‘দলের প্রার্থী পছন্দ না হলে তার মুখের দিকে তাকানো দরকার নেই। নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেবেন।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নির্বাচনের সময় যাতে একাধিক প্রার্থিতা সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আওয়ামী লীগ এবার আগেভাগেই প্রার্থী মনোনয়নের কাজ শেষ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী আগত নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি মনে করেন আওয়ামী লীগ অন্য জায়গায় জিতবে, এখানে প্রার্থী পছন্দ হয়নি, তাই তাকে হারিয়ে দেবেন- এসব করলে শুধু দলের নয়, দেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই, নির্বাচনে প্রার্থী নয়, নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেবেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় চিহ্নিত অপরাধী, কালো টাকার মালিক, চোরাকারবারি, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক ইত্যাদি ধরনের ব্যক্তিদের দেখা মিলতে পারে।
রাজনীতিতে এখন ভালো লোকের কদর কম। পেশিশক্তি, অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিরাই রাজনীতিতে মহাক্রমশালী। আগে এরা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের চাঁদা দিয়ে নিজেদের কর্ম নিজেরা নির্বিঘেœ সম্পন্ন করত। এখন আর চাঁদা দিয়ে নয়, নিজেরাই রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ক্ষমতার চর্চা করছেন। গণভবনে আগত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উল্লিখিত শ্রেণীর ব্যক্তিরা উৎসাহিত হতে পারেন।
নির্বাচনে মার্কাই কি যোগ্যতার মাপকাঠি? কখনোই তা নয়। মার্কা একটা দলীয় প্রতীক। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতীক মুখ্য বিবেচনার বিষয় হতে পারে না। আমরা জানি, পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে প্রধানমন্ত্রী আশাহত হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের ভালো ইমেজের প্রার্থীরা জনসাধারণের নেতিবাচক ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এই নেতিবাচক মনোভাবটা ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। এসব নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের এমন কোনো গুণাগুণ ছিল না যে, লোকজন তাদের ভোটের বাক্স ভরে দেবে। এ বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো সেই ভুলটি করছেন। নির্বাচনে মার্কা মূল বিষয় নয়। দেশের অনেক পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচনে তো মার্কাই থাকে না। সেখানে প্রার্থী দেখে ভোট দেয়া হয়। এদেশের জনসাধারণ যদি শতভাগ শিক্ষিত হতো, সেক্ষেত্রে কোনো নির্বাচনেই প্রতীক বা মার্কার প্রয়োজন হতো না।
শুধু মার্কায় ভোট চাওয়া ‘মার্কা মারা নির্বাচন’ হিসেবে গণ্য হতে পারে। মার্কার জয়গান কখনোই গণতন্ত্রের জয়গান হতে পারে না। মার্কার কাছে জনসাধারণ প্রত্যাশা-প্রাপ্তির কৈফিয়ত বা জবাবদিহিতা চাইতে পারে না। মার্কা জড় পদার্থ। মার্কা জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, এখানে ব্যক্তি বা প্রার্থীই মুখ্য। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী স্লোগান ‘এগিয়ে এসেছি, পিছিয়ে যেতে চাই না’। নির্বাচনী স্লোগান হিসেবে এই পঙ্ক্তিমালা ভালো। জনসাধারণ এতে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করলে আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গল হতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই স্লোগানটি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেবেন। সুতরাং এখানে ব্যক্তি বা প্রার্থী মুখ্য, মার্কা কোনো বার্তা পৌঁছে দিতে পারে না। এ বিষয়টি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।
আহমেদ সুমন : গবেষক ও বিশ্লেষক
No comments