বিপ্লব-রহস্য থাকলই
লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য কেন বাদ? দলের এক নম্বর গোলরক্ষকের পরিবর্তে নবাগত মামুন খান কেন ভরসা হলেন কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কির?
কাল বিকেলে লেবানন থেকে বাংলাদেশ দল হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামামাত্রই প্রশ্নগুলো ধেয়ে গেল জাতীয় দলের কোচের দিকে। ইলিয়েভস্কির ধীরস্থির জবাব, ‘ম্যাচটা খেলেছে বাংলাদেশ। কাজেই আমি বাংলাদেশ দল নিয়ে কথা বলব। বিপ্লব এখানে কোনো ফ্যাক্টর নয়। ম্যাচটায় আমি যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি, তাতে গোলরক্ষক হিসেবে মামুনই ছিল সেরা পছন্দ।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ে প্রথম রাউন্ডে দুটি ম্যাচেই খেলেছেন বিপ্লব। জানা গেছে, অ্যাওয়ে ম্যাচটায় বিপ্লবের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না কোচ। ঢাকায় সুপার কাপে বিপ্লব তাঁর চোখে নড়বড়েই ছিল। এ জন্যই অবসরে যাওয়া আমিনুলকে ফেরাতে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠেন। কিন্তু আমিনুলকে পাওয়া যায়নি।
তারপর নাটক হলো লেবানন ম্যাচের আগে। ওই দিন সকালে টিম মিটিংয়ে কোচ বিপ্লবকে বাদ দিয়ে গোটা দুয়েক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মামুনকে একাদশে রাখার কথা জানান। সবাই তো অবাক। ডিফেন্ডার আরিফ অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হননি। বিকল্প হিসেবে তিন বছর পর দলে ফেরা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সুজন পরেন অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী।
দল-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোচ বেশি কথা বলতেই রাজি ছিলেন না। কালও এ নিয়ে প্রশ্নও শুনতে চাননি, ‘প্লিজ, এ ধরনের প্রশ্ন করবেন না। সমস্যা গোলরক্ষক নিয়ে ছিল না, ছিল দল নিয়ে। ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্ট্রাইকিং—কোনো বিভাগেই আমরা ভালো খেলিনি।’
কোচ উচ্ছ্বসিত লেবাননের খেলায়, ‘লেবাননের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য বিশাল। ওদের একজন খেলোয়াড় জার্মানি, একজন ইতালি এবং তিনজন কাতারে খেলে। ওরা খুব ভালো দল।’
২৮ জুলাইয়ের ঢাকায় ফিরতি ম্যাচেও মামুনকে খেলাবেন বলে ঘোষণাও দিলেন কোচ, ‘পরের ম্যাচেও আমি মামুনকে খেলাতে চাই। লেবাননে ৪ গোলের জন্য সে দায়ী নয়। সে দারুণ খেলেছে। ওই দিন আমাদের দলের সেরা খেলোয়াড় অবশ্যই মামুন।’
চুইংগাম চিবোতে চিবোতে ইলিয়েভস্কি বলে যান, ‘আমি এখানে যে কটা ম্যাচ দেখেছি, তাতে আমিনুলকে আমার দেশের সেরা গোলরক্ষক মনে হয়েছে। কিন্তু তাকে পাইনি। বিপ্লব ভালো। তবে এটা নিয়ে আপনারা ভাবতে পারেন, আমি গোটা দল নিয়ে ভাবি।’
বিপ্লব অবশ্য আশ্চর্য রকম শান্ত। ‘আমার বাদ পড়ার ঘটনায় কোনো রহস্য নেই। দলের ভালোর জন্য কোচ যা করেছেন, আমি মেনে নিয়েছি। আমার বিন্দুমাত্র রাগ বা ক্ষোভ নেই’—বলেছেন বিপ্লব।
ম্যানেজার ছাইদ হাসান কাননেরও একই সুর, ‘বিপ্লবকে বাদ দেওয়াটা একান্তই কোচের সিদ্ধান্ত। ম্যাচের আগে বিপ্লবকে নিয়ে কিছুই ঘটেনি।’ সকালে লেবানন-ফেরত কর্মকর্তা বাদল রায়ের কথা, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা এই পর্যায়ে খেলার জন্য তৈরি না। মানসিক-শারীরিক কোনো ফিটনেসই নেই। আমাদের এখন গভীরভাবে ভাবতে হবে জাতীয় দল নিয়ে।’
লেবানন-বিপর্যয় নিয়ে খেলোয়াড়েরা কী বলেন? নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বললেন, ‘কোচের ফর্মেশন ভালো লাগেনি। কোচ নিজেই ছিলেন আস্থাহীন।’ এমিলির কথা, ‘ওরা শারীরিকভাবে অনেক ভালো। সুন্দর ফুটবল খেলেছে। তাড়াতাড়ি গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে নিজেদের হাতে।’ জাহিদ বললেন, ‘কী হয়েছে আল্লাহই জানে। মন খুলে খেলতে পারিনি। চাপ নিয়ে খেলেছি।’
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সুজন সামনে আনলেন চিরন্তন সমস্যাটা, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়াই করতে পারিনি। দু-এক ঘণ্টাও ঘুমাতে পারিনি। সবাই টায়ার্ড ছিল। পুরো দলই ভেঙে পড়েছিল। খুবই বাজে খেলেছি আমরা।’
কাল বিকেলে লেবানন থেকে বাংলাদেশ দল হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামামাত্রই প্রশ্নগুলো ধেয়ে গেল জাতীয় দলের কোচের দিকে। ইলিয়েভস্কির ধীরস্থির জবাব, ‘ম্যাচটা খেলেছে বাংলাদেশ। কাজেই আমি বাংলাদেশ দল নিয়ে কথা বলব। বিপ্লব এখানে কোনো ফ্যাক্টর নয়। ম্যাচটায় আমি যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি, তাতে গোলরক্ষক হিসেবে মামুনই ছিল সেরা পছন্দ।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ে প্রথম রাউন্ডে দুটি ম্যাচেই খেলেছেন বিপ্লব। জানা গেছে, অ্যাওয়ে ম্যাচটায় বিপ্লবের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না কোচ। ঢাকায় সুপার কাপে বিপ্লব তাঁর চোখে নড়বড়েই ছিল। এ জন্যই অবসরে যাওয়া আমিনুলকে ফেরাতে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠেন। কিন্তু আমিনুলকে পাওয়া যায়নি।
তারপর নাটক হলো লেবানন ম্যাচের আগে। ওই দিন সকালে টিম মিটিংয়ে কোচ বিপ্লবকে বাদ দিয়ে গোটা দুয়েক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মামুনকে একাদশে রাখার কথা জানান। সবাই তো অবাক। ডিফেন্ডার আরিফ অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হননি। বিকল্প হিসেবে তিন বছর পর দলে ফেরা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সুজন পরেন অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী।
দল-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোচ বেশি কথা বলতেই রাজি ছিলেন না। কালও এ নিয়ে প্রশ্নও শুনতে চাননি, ‘প্লিজ, এ ধরনের প্রশ্ন করবেন না। সমস্যা গোলরক্ষক নিয়ে ছিল না, ছিল দল নিয়ে। ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্ট্রাইকিং—কোনো বিভাগেই আমরা ভালো খেলিনি।’
কোচ উচ্ছ্বসিত লেবাননের খেলায়, ‘লেবাননের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য বিশাল। ওদের একজন খেলোয়াড় জার্মানি, একজন ইতালি এবং তিনজন কাতারে খেলে। ওরা খুব ভালো দল।’
২৮ জুলাইয়ের ঢাকায় ফিরতি ম্যাচেও মামুনকে খেলাবেন বলে ঘোষণাও দিলেন কোচ, ‘পরের ম্যাচেও আমি মামুনকে খেলাতে চাই। লেবাননে ৪ গোলের জন্য সে দায়ী নয়। সে দারুণ খেলেছে। ওই দিন আমাদের দলের সেরা খেলোয়াড় অবশ্যই মামুন।’
চুইংগাম চিবোতে চিবোতে ইলিয়েভস্কি বলে যান, ‘আমি এখানে যে কটা ম্যাচ দেখেছি, তাতে আমিনুলকে আমার দেশের সেরা গোলরক্ষক মনে হয়েছে। কিন্তু তাকে পাইনি। বিপ্লব ভালো। তবে এটা নিয়ে আপনারা ভাবতে পারেন, আমি গোটা দল নিয়ে ভাবি।’
বিপ্লব অবশ্য আশ্চর্য রকম শান্ত। ‘আমার বাদ পড়ার ঘটনায় কোনো রহস্য নেই। দলের ভালোর জন্য কোচ যা করেছেন, আমি মেনে নিয়েছি। আমার বিন্দুমাত্র রাগ বা ক্ষোভ নেই’—বলেছেন বিপ্লব।
ম্যানেজার ছাইদ হাসান কাননেরও একই সুর, ‘বিপ্লবকে বাদ দেওয়াটা একান্তই কোচের সিদ্ধান্ত। ম্যাচের আগে বিপ্লবকে নিয়ে কিছুই ঘটেনি।’ সকালে লেবানন-ফেরত কর্মকর্তা বাদল রায়ের কথা, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা এই পর্যায়ে খেলার জন্য তৈরি না। মানসিক-শারীরিক কোনো ফিটনেসই নেই। আমাদের এখন গভীরভাবে ভাবতে হবে জাতীয় দল নিয়ে।’
লেবানন-বিপর্যয় নিয়ে খেলোয়াড়েরা কী বলেন? নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বললেন, ‘কোচের ফর্মেশন ভালো লাগেনি। কোচ নিজেই ছিলেন আস্থাহীন।’ এমিলির কথা, ‘ওরা শারীরিকভাবে অনেক ভালো। সুন্দর ফুটবল খেলেছে। তাড়াতাড়ি গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে নিজেদের হাতে।’ জাহিদ বললেন, ‘কী হয়েছে আল্লাহই জানে। মন খুলে খেলতে পারিনি। চাপ নিয়ে খেলেছি।’
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সুজন সামনে আনলেন চিরন্তন সমস্যাটা, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়াই করতে পারিনি। দু-এক ঘণ্টাও ঘুমাতে পারিনি। সবাই টায়ার্ড ছিল। পুরো দলই ভেঙে পড়েছিল। খুবই বাজে খেলেছি আমরা।’
No comments