তিন প্রজন্মের সাফল্যগাথা
হুয়ান কার্লোস কোরাজো, পাবলো ফোরলান, ডিয়েগো ফোরলান। তিনটি নাম, তিনটি প্রজন্ম। আর আছে তিনটি অর্জন। চক্রটি পরশু পূর্ণ করেছেন শেষের জন ডিয়েগো ফোরলান। উরুগুয়েকে কোপা আমেরিকা জিতিয়ে গড়লেন পারিবারিক ইতিহাস। উরুগুয়ের হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছেন ফোরলানের নানা, তাঁর বাবাও গলায় পরেছেন একই অর্জনের মালা। উরুগুয়ের রেকর্ড ১৫তম কোপা জয়ের নায়ক হলেন ফোরলান।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছিল না, বুয়েনস এইরেসে রিভার প্লেটের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে নেমেছিল উরুগুয়ে-প্যারাগুয়ে। স্বাগতিক আর্জেন্টিনা অনুপস্থিত, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলও ছিটকে পড়েছে। তবু মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ফোরলানের পারিবারিক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার দর্শক।
ম্যাচ শেষে সমাগত সবাইকে উদ্দেশ করে ফোরলান বলেছেন তাঁর আনন্দের কথা, ‘আমার নানা, আমার বাবা এবং আমি ফুটবল ইতিহাসে ঢুকে গেলাম। আমার নানা এবং বাবাও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, এটা বিরাট গর্বের।’ গর্ব ফোরলানকে নিয়েও উরুগুয়ের মানুষ করবে। উরুগুয়ের হয়ে ৩২ বছর বয়সী ফোরলান খেলেছেন ৮২টি ম্যাচ। গত বিশ্বকাপে দলকে বলতে গেলে একাই নিয়ে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
এর পরই কেমন যেন গোল-খরায় পড়েন ফোরলান। পরশু ফাইনালের আগে প্রায় এক বছর গোল পাননি উরুগুয়ের জার্সি গায়ে। কিন্তু বড় তারকারা তো বড় উপলক্ষেই জ্বলে উঠবেন। ফোরলানও জ্বলে উঠলেন আসল সময়ে। জোড়া গোল করে জয় এনে দিলেন উরুগুয়েকে। মাত্র ৩৮ লাখ মানুষের ছোট্ট দেশটিকে ভাসালেন আনন্দে।
কোচ অস্কার তাবারেজের আনন্দটা অন্য সবার চেয়ে একটু বেশিই। প্রায় ৬ বছর ধরে তরুণ একটি দলকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। অপরিমেয় শ্রমে গড়া সেই দলটি তাঁকে একটা শিরোপা উপহার দিল, তাবারেজ তো খুশি হবেনই, ‘দারুণ ব্যাপার, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায় এসে কোপা জিতে যাওয়া তো অসাধারণ।’
তবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে আগামী বিশ্বকাপ মিশনের কথা ভুলে যাচ্ছেন না তাবারেজ। সবাইকে পা মাটিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কোপার চেয়ে বিশ্বকাপ বাছাইটাকেই এখন কঠিন মনে হচ্ছে তাঁর কাছে, ‘বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো এক ভেন্যুতে খেলা হয় না। সেখানে হোম টিমই সুবিধা পায়। বাছাইপর্বে কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছিল না, বুয়েনস এইরেসে রিভার প্লেটের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে নেমেছিল উরুগুয়ে-প্যারাগুয়ে। স্বাগতিক আর্জেন্টিনা অনুপস্থিত, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলও ছিটকে পড়েছে। তবু মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ফোরলানের পারিবারিক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার দর্শক।
ম্যাচ শেষে সমাগত সবাইকে উদ্দেশ করে ফোরলান বলেছেন তাঁর আনন্দের কথা, ‘আমার নানা, আমার বাবা এবং আমি ফুটবল ইতিহাসে ঢুকে গেলাম। আমার নানা এবং বাবাও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, এটা বিরাট গর্বের।’ গর্ব ফোরলানকে নিয়েও উরুগুয়ের মানুষ করবে। উরুগুয়ের হয়ে ৩২ বছর বয়সী ফোরলান খেলেছেন ৮২টি ম্যাচ। গত বিশ্বকাপে দলকে বলতে গেলে একাই নিয়ে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
এর পরই কেমন যেন গোল-খরায় পড়েন ফোরলান। পরশু ফাইনালের আগে প্রায় এক বছর গোল পাননি উরুগুয়ের জার্সি গায়ে। কিন্তু বড় তারকারা তো বড় উপলক্ষেই জ্বলে উঠবেন। ফোরলানও জ্বলে উঠলেন আসল সময়ে। জোড়া গোল করে জয় এনে দিলেন উরুগুয়েকে। মাত্র ৩৮ লাখ মানুষের ছোট্ট দেশটিকে ভাসালেন আনন্দে।
কোচ অস্কার তাবারেজের আনন্দটা অন্য সবার চেয়ে একটু বেশিই। প্রায় ৬ বছর ধরে তরুণ একটি দলকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। অপরিমেয় শ্রমে গড়া সেই দলটি তাঁকে একটা শিরোপা উপহার দিল, তাবারেজ তো খুশি হবেনই, ‘দারুণ ব্যাপার, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায় এসে কোপা জিতে যাওয়া তো অসাধারণ।’
তবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে আগামী বিশ্বকাপ মিশনের কথা ভুলে যাচ্ছেন না তাবারেজ। সবাইকে পা মাটিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কোপার চেয়ে বিশ্বকাপ বাছাইটাকেই এখন কঠিন মনে হচ্ছে তাঁর কাছে, ‘বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো এক ভেন্যুতে খেলা হয় না। সেখানে হোম টিমই সুবিধা পায়। বাছাইপর্বে কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
No comments