অসাধারণ ম্যাচ, অসাধারণ ইংল্যান্ড
হাসিটা তো থামছিলই না। চোখেমুখেও তৃপ্তির আভা। লর্ডস জয়ের অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘অসাধারণ এক টেস্ট ম্যাচ, আমাদের পারফরম্যান্সও ছিল অসাধারণ।’
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলকে ১৯৬ রানে উড়িয়ে দেওয়ার পর এমন উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পঞ্চম দিনেও উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে ইংলিশ বোলারদের জন্য এটা ছিল তাই কঠিন এক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় তাঁরা দারুণভাবে উতরে গেছেন। প্রথম ইনিংসে ম্রিয়মাণ জেমস অ্যান্ডারসন জেগে উঠেছেন আসল সময়েই। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ব্রড-ট্রেমলেটরাও। ভারত গুটিয়ে গেছে নির্ধারিত ওভারের ২৮.৩ ওভার আগেই।
স্ট্রাউসের প্রশংসার বেশির ভাগ বরাদ্দ ছিল তাই বোলারদের জন্যই, ‘দিনের শুরুতে আমরা জানতাম কাজটা সহজ হবে না, কারণ উইকেট ছিল অনেকটাই নিষ্প্রাণ। আমাদের বোলাররা নিজেদের কাজটা দারুণভাবে করেছে। শেষ দিনে তো বটেই, পাঁচ দিনই ওদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। এই উইকেটে একমাত্র শৃঙ্খলা দিয়েই ওদের দুবার অল-আউট করা সম্ভব ছিল এবং আমরা সেটা দারুণভাবে করেছি।’
রোমাঞ্চকর এক শেষ দিনের আশায় লর্ডসে হয়েছিল রেকর্ড ২৮ হাজার ৫০০ দর্শক। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে এই জয়ে রোমাঞ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ-সেরা কেভিন পিটারসেন, ‘মাঠে আসার সময় দেখেছি বিশাল লম্বা লাইন, এতেই প্রমাণ হয় সিরিজ নিয়ে আগ্রহের পারদ কোথায়। আমরা সব সময়ই জানতাম এটা মহাগুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। এগিয়ে থাকতে পেরে ভালো লাগছে।’
ম্যাচের প্রথম দিন বিকেলেই হামস্ট্রিংয়ের চোটে জহির খানকে হারানো, টেন্ডুলকারের জ্বর, এক্সরে করাতে মাঠ থেকে গম্ভীরের হাসপাতালে যাওয়া—ম্যাচ শেষেও মহেন্দ্র সিং ধোনির কণ্ঠে অসহায়ত্ব, ‘যতগুলো ব্যাপার আমাদের বিপক্ষে যেতে পারত, সবগুলোই বিপক্ষে গেছে। আমাদের ব্যাটসম্যান-বোলার সবার জন্যই ম্যাচটা ছিল কঠিন।’ পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে বললেন মূল স্ট্রাইক বোলারের অনুপস্থিতিকেই, ‘প্রথম দিনেই জহিরকে হারানোর পর কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তিন বোলার নিয়ে কাজ চালানো কঠিন। প্রথম দুদিন উইকেটে টার্নও ছিল না, তাই হরভজনও খুব বেশি কিছু করতে পারেনি।’
তার পরও ভারতকে বাঁচাতে পারত শেষ দিনে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা। কিন্তু পারেননি দ্রাবিড়-টেন্ডুলকার-লক্ষ্মণরা। সবচেয়ে বড় জুটিই ছিল মাত্র ৭৫ রানের! এর পেছনে ভারত-অধিনায়কের যুক্তি, ‘টপ অর্ডারে আর একটা বড় জুটি হলেই হয়তো ম্যাচটা বাঁচাতে পারতাম। কিন্তু কাজটা কঠিন ছিল। কারণ, বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানকে জায়গা বদল করতে হয়েছে। রাহুল ওপেন করেছে, শচীন-গম্ভীরকে অন্য পজিশনে নামতে হয়েছে। এতে চাপ আরও বেড়েছে।’
দ্বিতীয় টেস্টেও সম্ভবত জহিরকে পাচ্ছেন না ধোনি। ইংল্যান্ডের কোনো চোট-ঝামেলা নেই। দ্বিতীয় টেস্টের দলও অপরিবর্তিত রেখেছে তারা। তবে প্রথম টেস্টের উচ্ছ্বাস, তৃপ্তি সব মাঠেই রেখে আসতে চান স্ট্রাউস। চার টেস্টের সিরিজটা দুই টেস্টের ব্যবধানে জিতলে ভারতকে সরিয়ে এক নম্বর হয়ে যাবে ইংল্যান্ড। প্রথমটি জিতে সেদিকে এক ধাপ এগিয়েও গেল স্ট্রাউসের দল। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানেন, পথের এখনো অনেক বাকি, ‘আমরা জানি যে খেলা কেবল শুরু হলো। অনেক ক্রিকেট এখনো বাকি আছে। বেশি আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। শুক্রবারের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’ দ্বিতীয় টেস্ট শুরু শুক্রবারেই, ট্রেন্টব্রিজে।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলকে ১৯৬ রানে উড়িয়ে দেওয়ার পর এমন উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পঞ্চম দিনেও উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে ইংলিশ বোলারদের জন্য এটা ছিল তাই কঠিন এক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় তাঁরা দারুণভাবে উতরে গেছেন। প্রথম ইনিংসে ম্রিয়মাণ জেমস অ্যান্ডারসন জেগে উঠেছেন আসল সময়েই। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ব্রড-ট্রেমলেটরাও। ভারত গুটিয়ে গেছে নির্ধারিত ওভারের ২৮.৩ ওভার আগেই।
স্ট্রাউসের প্রশংসার বেশির ভাগ বরাদ্দ ছিল তাই বোলারদের জন্যই, ‘দিনের শুরুতে আমরা জানতাম কাজটা সহজ হবে না, কারণ উইকেট ছিল অনেকটাই নিষ্প্রাণ। আমাদের বোলাররা নিজেদের কাজটা দারুণভাবে করেছে। শেষ দিনে তো বটেই, পাঁচ দিনই ওদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। এই উইকেটে একমাত্র শৃঙ্খলা দিয়েই ওদের দুবার অল-আউট করা সম্ভব ছিল এবং আমরা সেটা দারুণভাবে করেছি।’
রোমাঞ্চকর এক শেষ দিনের আশায় লর্ডসে হয়েছিল রেকর্ড ২৮ হাজার ৫০০ দর্শক। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে এই জয়ে রোমাঞ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ-সেরা কেভিন পিটারসেন, ‘মাঠে আসার সময় দেখেছি বিশাল লম্বা লাইন, এতেই প্রমাণ হয় সিরিজ নিয়ে আগ্রহের পারদ কোথায়। আমরা সব সময়ই জানতাম এটা মহাগুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। এগিয়ে থাকতে পেরে ভালো লাগছে।’
ম্যাচের প্রথম দিন বিকেলেই হামস্ট্রিংয়ের চোটে জহির খানকে হারানো, টেন্ডুলকারের জ্বর, এক্সরে করাতে মাঠ থেকে গম্ভীরের হাসপাতালে যাওয়া—ম্যাচ শেষেও মহেন্দ্র সিং ধোনির কণ্ঠে অসহায়ত্ব, ‘যতগুলো ব্যাপার আমাদের বিপক্ষে যেতে পারত, সবগুলোই বিপক্ষে গেছে। আমাদের ব্যাটসম্যান-বোলার সবার জন্যই ম্যাচটা ছিল কঠিন।’ পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে বললেন মূল স্ট্রাইক বোলারের অনুপস্থিতিকেই, ‘প্রথম দিনেই জহিরকে হারানোর পর কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তিন বোলার নিয়ে কাজ চালানো কঠিন। প্রথম দুদিন উইকেটে টার্নও ছিল না, তাই হরভজনও খুব বেশি কিছু করতে পারেনি।’
তার পরও ভারতকে বাঁচাতে পারত শেষ দিনে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা। কিন্তু পারেননি দ্রাবিড়-টেন্ডুলকার-লক্ষ্মণরা। সবচেয়ে বড় জুটিই ছিল মাত্র ৭৫ রানের! এর পেছনে ভারত-অধিনায়কের যুক্তি, ‘টপ অর্ডারে আর একটা বড় জুটি হলেই হয়তো ম্যাচটা বাঁচাতে পারতাম। কিন্তু কাজটা কঠিন ছিল। কারণ, বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানকে জায়গা বদল করতে হয়েছে। রাহুল ওপেন করেছে, শচীন-গম্ভীরকে অন্য পজিশনে নামতে হয়েছে। এতে চাপ আরও বেড়েছে।’
দ্বিতীয় টেস্টেও সম্ভবত জহিরকে পাচ্ছেন না ধোনি। ইংল্যান্ডের কোনো চোট-ঝামেলা নেই। দ্বিতীয় টেস্টের দলও অপরিবর্তিত রেখেছে তারা। তবে প্রথম টেস্টের উচ্ছ্বাস, তৃপ্তি সব মাঠেই রেখে আসতে চান স্ট্রাউস। চার টেস্টের সিরিজটা দুই টেস্টের ব্যবধানে জিতলে ভারতকে সরিয়ে এক নম্বর হয়ে যাবে ইংল্যান্ড। প্রথমটি জিতে সেদিকে এক ধাপ এগিয়েও গেল স্ট্রাউসের দল। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানেন, পথের এখনো অনেক বাকি, ‘আমরা জানি যে খেলা কেবল শুরু হলো। অনেক ক্রিকেট এখনো বাকি আছে। বেশি আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। শুক্রবারের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’ দ্বিতীয় টেস্ট শুরু শুক্রবারেই, ট্রেন্টব্রিজে।
No comments