করাচিতে সহিংসতায় ৪৪ জনের প্রাণহানি
পাকিস্তানের বন্দরনগর করাচিতে রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতায় গত তিন দিনে ৪৪ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে জুলাই মাসে সেখানে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩৯ জনে। গতকাল সোমবার পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র এ কথা জানায়।
সর্বশেষ প্রাণহানির বেশির ভাগই ঘটেছে শহরের পূর্বাঞ্চলীয় মালির, লান্ধি ও এর আশপাশের এলাকায়, যেখানে বহু-জাতিগোষ্ঠীর নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের বসবাস।
করাচির পূর্বাঞ্চলের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নায়িম বোরোকা বলেন, তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কমপক্ষে ২০০ জন কমান্ডো পাঠানো হবে।
এক কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের নগর করাচিতে জাতিগত, ধর্মীয় ও উপদলীয় সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কখনো কখনো স্থানীয় ঝগড়া ও রাজনৈতিক বিরোধ সংঘাতে রূপ নেয়, যা অনেক বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) থেকে বের হয়ে যাওয়া একটি অংশের কর্মীরা গত শনিবার করাচির একটি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সর্বশেষ এ সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
এম কিউ এম মূলত উর্দুভাষি মুসলমানদের দল। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় যাদের পরিবার সিন্ধু প্রদেশে আশ্রয় নেয়।
১৯৯১ সালে এম কিউ এম থেকে বের হয়ে কিছু নেতা-কর্মী এম কিউ এম (এইচ) গঠন করেন। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে।
গত শনিবার এম কিউ এমের (এইচ) কিছু কর্মী দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার পর নগরের মালি জেলায় প্রবেশের চেষ্টা চালান। এ সময় এম কিউ এমের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এভাবে সর্বশেষ সহিংসতা শুরু হয়।
এম কিউ এমের (এইচ) এসব কর্মীর অনেকে ১০ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগে ২০০২-০৩ সালে তাঁদের অনেক নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর এম কিউ এম কর্মীদের হামলার ভয়ে এম কিউ এমের (এইচ) অনেক কর্মী আত্মগোপন করেন।
এম কিউ এমের (এইচ) মুখপাত্র রিদা ফাতিমা গত রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার বাড়িতে ফেরার পর তাঁদের অন্তত চারজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁদের তিন কর্মীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের হিউম্যান রাইটস কমিশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের প্রথম ছয় মাসে করাচিতে সহিংসতায় এক হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৯০ জন রাজনৈতিক, জাতিগত ও উপদলীয় সংঘাতের বলি হয়েছে।
সর্বশেষ প্রাণহানির বেশির ভাগই ঘটেছে শহরের পূর্বাঞ্চলীয় মালির, লান্ধি ও এর আশপাশের এলাকায়, যেখানে বহু-জাতিগোষ্ঠীর নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের বসবাস।
করাচির পূর্বাঞ্চলের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নায়িম বোরোকা বলেন, তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কমপক্ষে ২০০ জন কমান্ডো পাঠানো হবে।
এক কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের নগর করাচিতে জাতিগত, ধর্মীয় ও উপদলীয় সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কখনো কখনো স্থানীয় ঝগড়া ও রাজনৈতিক বিরোধ সংঘাতে রূপ নেয়, যা অনেক বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) থেকে বের হয়ে যাওয়া একটি অংশের কর্মীরা গত শনিবার করাচির একটি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সর্বশেষ এ সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
এম কিউ এম মূলত উর্দুভাষি মুসলমানদের দল। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় যাদের পরিবার সিন্ধু প্রদেশে আশ্রয় নেয়।
১৯৯১ সালে এম কিউ এম থেকে বের হয়ে কিছু নেতা-কর্মী এম কিউ এম (এইচ) গঠন করেন। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে।
গত শনিবার এম কিউ এমের (এইচ) কিছু কর্মী দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার পর নগরের মালি জেলায় প্রবেশের চেষ্টা চালান। এ সময় এম কিউ এমের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এভাবে সর্বশেষ সহিংসতা শুরু হয়।
এম কিউ এমের (এইচ) এসব কর্মীর অনেকে ১০ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগে ২০০২-০৩ সালে তাঁদের অনেক নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর এম কিউ এম কর্মীদের হামলার ভয়ে এম কিউ এমের (এইচ) অনেক কর্মী আত্মগোপন করেন।
এম কিউ এমের (এইচ) মুখপাত্র রিদা ফাতিমা গত রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার বাড়িতে ফেরার পর তাঁদের অন্তত চারজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁদের তিন কর্মীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের হিউম্যান রাইটস কমিশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের প্রথম ছয় মাসে করাচিতে সহিংসতায় এক হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৯০ জন রাজনৈতিক, জাতিগত ও উপদলীয় সংঘাতের বলি হয়েছে।
No comments