রোহিঙ্গা বলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত একমাত্র রোহিঙ্গা এমপি
যদিও
সম্পূর্ণ দুই পরিস্থিতি এবং মৌলিকভাবে আলাদা কিন্তু আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর
সঙ্গে একটি মিল আছে রোহিঙ্গাদের একমাত্র নেতা মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের
সংসদ সদস্য ইউ শ মঙের সঙ্গে। সাবেক আইসিটি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ
নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেন। ক্ষমতাসীন দল তাকে
সেকারণে বহিষ্কার করেন। কিন্তু রোহিঙ্গা সংসদ সদস্য কোন অপরাধ করেনি। তবুও
আসন্ন নির্বাচনে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে সেদেশের নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন দল ইউএসডিপির নেতা হিসেবে তিনি ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে
তিনি জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু এবারে দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কোন
রোহিঙ্গাকে তারা মনোনয়ন দেবে না এমনকি আগামী ৮ই নভেম্বরে অনুষ্ঠেয়
নির্বাচনে তারা কোন মুসলিম প্রার্থী দেবে না।
গত ২২শে আগস্ট তার মনোয়নপত্র নাকচ হওয়ার পরে জনাব মঙ মংডুর জেলা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের পদ্ধতিগত এথনিক ক্লিনজিংয়ের অংশ হিসেবে ইসি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনা বাংরাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরও দুরূহ করে তুলতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। অং সান সু চি যদিও আগামী নভেম্বরের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা এমপিকে বিনা দোষে বহিষ্কার করা প্রশ্নে কোন মন্তব্য করেননি।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ প্রতিবেশী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এমপি কেবল জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা বলেই তাকে বহিষ্কার হতে হলো। তবে তাও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেয়নি। তিনি এখনও এমপি কিন্তু তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে এই যুক্তিতে যে তিনি এতকাল অবৈধভাবে এমপি ছিলেন। কারণ তার জন্মের সময় তার বাবা মা মিয়ানমারের বৈধ নাগরিক ছিলেন না।
সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা এমপির বাবা আবদুল হাদি ১৯১৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে অবরস নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মিয়ানমার সরকারের পুলিশ অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন। মঙের বাবা-মা ১৯৫৭ সালে জাতীয় নিবন্ধন কার্ড পেয়েছিলেন।
আইনানুযায়ী ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এমপির পদে তিনি বহাল থাকবেন। কিন্তু তার নিজের দল তাকে কার্যত বহিষ্কার করেছে।
পঁচিশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার।
অং সাং সু চির এলএলডি সহ কয়েক ডজন দল নির্বাচনে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত থাকবে।
এখনও দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে রয়েছে সেনাবাহিনীর সমর্থিত দল।
দেশটির সেনাসমর্থিত ক্ষমতাসীন দল ইউএসডিপি এই প্রথমবারের মতো অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তবে দেশটির সংবিধানে পরিবর্তন না আনায়় এই নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না অং সান সু চি। ২০১০ সাল থেকে সামরিক সরকার শাসিত এই দেশটিতে সংস্কার শুরু হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর পরিবর্তে সেনাসমর্থিত বেসামরিক সরকার দেশ পরিচালনা শুরু করে। আগামী ৮ই নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) পাশাপাশি অংশ নেবে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। নির্বাচনে এ প্রথমবারে মতো মুখোমুখি হবে ক্ষমতাসীন ইউএসডিপি এবং ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি।
তবে এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না সু চি। কেননা সংবিধানে কোন পরিবর্তন আনেনি দেশটির সরকার। ২০১০ সাল থেকে সামরিক সরকার শাসিত সরকার দেশটিতে সংস্কার শুরু করেছে। এর ফলে সেনাবাহিনীর পরিবের্ত সেনাসমর্থিত বেসামরিক সরকার দেশ চালাবে।
গত ২২শে আগস্ট তার মনোয়নপত্র নাকচ হওয়ার পরে জনাব মঙ মংডুর জেলা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের পদ্ধতিগত এথনিক ক্লিনজিংয়ের অংশ হিসেবে ইসি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনা বাংরাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরও দুরূহ করে তুলতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। অং সান সু চি যদিও আগামী নভেম্বরের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা এমপিকে বিনা দোষে বহিষ্কার করা প্রশ্নে কোন মন্তব্য করেননি।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ প্রতিবেশী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এমপি কেবল জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা বলেই তাকে বহিষ্কার হতে হলো। তবে তাও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেয়নি। তিনি এখনও এমপি কিন্তু তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে এই যুক্তিতে যে তিনি এতকাল অবৈধভাবে এমপি ছিলেন। কারণ তার জন্মের সময় তার বাবা মা মিয়ানমারের বৈধ নাগরিক ছিলেন না।
সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা এমপির বাবা আবদুল হাদি ১৯১৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে অবরস নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মিয়ানমার সরকারের পুলিশ অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন। মঙের বাবা-মা ১৯৫৭ সালে জাতীয় নিবন্ধন কার্ড পেয়েছিলেন।
আইনানুযায়ী ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এমপির পদে তিনি বহাল থাকবেন। কিন্তু তার নিজের দল তাকে কার্যত বহিষ্কার করেছে।
পঁচিশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার।
অং সাং সু চির এলএলডি সহ কয়েক ডজন দল নির্বাচনে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত থাকবে।
এখনও দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে রয়েছে সেনাবাহিনীর সমর্থিত দল।
দেশটির সেনাসমর্থিত ক্ষমতাসীন দল ইউএসডিপি এই প্রথমবারের মতো অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তবে দেশটির সংবিধানে পরিবর্তন না আনায়় এই নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না অং সান সু চি। ২০১০ সাল থেকে সামরিক সরকার শাসিত এই দেশটিতে সংস্কার শুরু হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর পরিবর্তে সেনাসমর্থিত বেসামরিক সরকার দেশ পরিচালনা শুরু করে। আগামী ৮ই নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) পাশাপাশি অংশ নেবে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। নির্বাচনে এ প্রথমবারে মতো মুখোমুখি হবে ক্ষমতাসীন ইউএসডিপি এবং ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি।
তবে এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না সু চি। কেননা সংবিধানে কোন পরিবর্তন আনেনি দেশটির সরকার। ২০১০ সাল থেকে সামরিক সরকার শাসিত সরকার দেশটিতে সংস্কার শুরু করেছে। এর ফলে সেনাবাহিনীর পরিবের্ত সেনাসমর্থিত বেসামরিক সরকার দেশ চালাবে।
No comments