স্পিকারের কাছে বিরোধী দলের মর্যাদা চাইল কংগ্রেস
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাক্ষাতের পরদিন কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার দাবি জানাল। শুধু তা-ই নয়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া ও তাঁর পরিবারকে যে অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে, সে অভিযোগও তোলা হলো। একই সঙ্গে সংসদীয় অধিবেশনের প্রাক্কালে সংসদকে এড়িয়ে রেলের যাত্রীভাড়া ও পণ্য মাশুল বৃদ্ধি এবং রেল বাজেট ফাঁসের অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে অধিকারভঙ্গের অভিযোগও আনা হলো। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী দেখা করেন গত মঙ্গলবার। এর আগেই তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কংগ্রেস নির্বাচনে ইউপিএর প্রধান শরিক হিসেবে লড়েছিল। অতএব তাদের বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দিতেই হবে। গতকাল বুধবার লোকসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকাজুর্ন খারগে, উপনেতা অমরিন্দর সিং ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারা স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে দেখা করে বিরোধী নেতার পদের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জানান। ৬০ সাংসদের সই করা একটি দাবিপত্রও স্পিকারকে জমা দেন খারগে। এতে তাঁরা বলেন, এই মর্যাদা তাঁদের প্রাপ্য। গণতন্ত্রের বিকাশের স্বার্থে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর খারগে সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭৭ সালের বিরোধী নেতার বেতন ও ভাতা আইনে পরিষ্কার বলা আছে,
সবচেয়ে বড় বিরোধী দলকে এই মর্যাদা দিতে হবে। বিরোধী নেতার মর্যাদা কংগ্রেসকে দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত স্পিকার এখনো নেননি। বিজেপি এ নিয়ে এখনো দোলাচলে। খারগে বলেন, স্পিকার তাঁদের বলেছেন, শিগগিরই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পরদিনই আনুষ্ঠানিক দাবি জানানোয় রাজনৈতিক মহলে কথা উঠছে। তবে তা ছাপিয়ে বুধবার বড় হয়ে ওঠে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সোনিয়া গান্ধীর করা এক মন্তব্য। জওহরলাল নেহরুর স্থাপিত ইংরেজি প্রভাতি দৈনিক ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর দুই হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীরা পানির দরে হাতিয়ে নিতে চাইছেন বলে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যে মামলা করেছেন, তা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য’ বলে মন্তব্য করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, অকারণে তাঁদের পরিবারকে হেনস্তা করা হচ্ছে। বিজেপির একাংশের এই আচরণের সমালোচনা করে সোনিয়া বলেন, এ ধরনের কাজ ওরা যত করবে, তত দ্রুত কংগ্রেস তার হারানো জায়গা খুঁজে পাবে। দিল্লির নিম্ন আদালতে সোনিয়া ও রাহুলকে এই মামলায় ৭ আগস্ট হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে।
No comments