দায়মুক্তির জাতীয় আঙ্গিনায় সুপ্রভাত by আবদুল লতিফ সিদ্দিকী
একটি ফুলকে বাঁচাতে, নতুন একটি কবিতা লিখতে যে জাতি মারণাস্ত্র কাঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে নাস্তানাবুদ করতে জানে, কবিতা-কুসুমের সেই ইস্পাত-কঠোর জাতিগোষ্ঠীর চেতনাস্রোতের ধারাবাহক হতে পেরে আমি সর্বদা নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।
যে অাঁতুরঘরে মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাসের জন্ম-অভিষেক সেই স্মৃতিমর্মর ছায়া-আশ্রম থেকেই ইতিহাসের পাতায় উঠে এসেছিলেন জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা-রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রণালীবদ্ধ ইতিহাসের কালপুরুষ হিসেবে স্বীকৃত যে অগ্রনায়ক তাঁরই অঙ্গুলি নির্দেশে নয় মাসের সৃজন-যন্ত্রণা পেরিয়ে ফুল কিংবা কবিতার উন্মোচনের মতো একটি জাতি বিশ্বসভায় মাথা তুলে দাঁড়াতে সম হয়। ১৯৭১ সালের সেই বিজয়-দর্পিত জাতিসত্তার সোপানতলে দাঁড়িয়ে অভয়ে ভাবতে পেরেছিলাম আমার পরিণতিমুখী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে পারবে না কেউ। ঠেকাতে পারেনি ঠিক, কিন্তু পরাজিত বিরোধী-শক্তি অপতৎপরতা চালিয়ে গেছে নীলনকশার অদৃশ্য কূটচালে। যুদ্ধজয়ী জাতি যখন ভূমি-স্বাধীনতার স্তর পেরিয়ে সার্বভৌমিকতার ষোলোকলা পূরণের ল্যে কর্মপথে যাত্রার সূচনা করে, ষড়যন্ত্রের ঝড়ো দাপটে তখনই প্রগতি-শিখার হঠাৎ নির্বাপণ। জাতিরাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিষ্ঠুরতম অপঘাতে পৃথিবীর আলো-হাওয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে পরাজিত অপশক্তি তার বিষাক্ত ছোবলে বাংলা ভূখণ্ডকে কব্জা করে এবং পঁচাত্তর-পরবর্তী দীর্ঘ 'কালপরিসরে তা অনেকটা সম্ভবপরও হয়েছিল। যে মৌল অপশক্তি এ স্বাধীনতা-বিধ্বংসী হীনকর্মে লিপ্ত হয় তার মধ্যে যেমন ছিল পাকিস্তানের তল্পিবাহক, স্বাধীনতাবিরোধী কূটচক্রী, তেমনি স্বপরে নানা স্তরে ঘাপটি-মারা বিভীষণরা; অধিকন্তু সাম্রাজ্যবাদী দখলদার শক্তির এদেশীয় এজেন্টরা গুপ্তচারী অপকৌশলে বঙ্গবন্ধুর ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে ইন্ধন যোগায়। এক ভয়াবহ শোকের কাফনে যখন পুরো জাতি আবৃত-আচ্ছন্ন, তখন মর্মমূল অনুভব করি আমার বিজয়-অহঙ্কার ধূলিস্যাত আমার অস্তিত্বের সম্ভ্রম লুণ্ঠিত, আমার ঝিলি্লমুখর হৃদয়ের উৎসমুখ রক্তাক্ত।জনকহারা সন্তানের আর্তচিৎকারে সেদিন বাংলার আকাশে-বাতাসে যে রক্তবা্#৬৩৭৪৩; ছড়িয়ে পড়েছিল, মুক্তিপিপাসু মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য তা ছিল এমনি প্রতিকূল যে দেশমাতৃকার প্রিয় বন্ধন ছিন্ন করে আমাকে বরণ করে নিতে হয়েছিল দুঃসহ ভারত-নির্বাসন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সে অমানিশা থেকে মুক্তি মেলেনি; কারাবাসের কষ্টযাপন, প্রিয় নেতার রুদ্ধশ্বাস হত্যাস্মৃতি, আদর্শের মর্মপীড়া আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। কিন্তু সামগ্রিক পরিবেশবৈরিতার পাশ কাটিয়ে দূরদৃষ্টির দর্পণে সুদিনের স্বপ্নচিত্র কল্পনা করে করে এগুতে থাকি : এ যেন জীবনের অমোঘ অন্তর্ঘাত উজিয়ে ইউলিসিসের স্বদেশযাত্রার উপাখ্যান। এ সেই স্বদেশ, যার স্বপ্নবীজ বুনে দিয়ে বঙ্গবন্ধু অকালে নশ্বর ইহলোক ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিহীন বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ডের সুবিচার-প্রার্থী বিস্তৃত জনগোষ্ঠী প্রতিার প্রহর গুনতে শুরু করে কিন্তু ঘটনার মাত্র দুই মাসের মাথায় মতা দখলের হঠকারী ছত্রচ্ছায়ায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশ্তাক আহমেদ দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বৈধ বিচার-প্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দেয়। তারপর দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যনাট্যে একের পর এক যা ঘটতে থাকে তা সকলের জানা : সেনাশাসনের কালোছায়া, স্বৈরতন্ত্রের গর্জন ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বুলি-কপচানো জঙ্গীপ্রধান মৌলবাদী অপশাসন। মিথ্যার স্টীমরোলার যতই গড়াতে থাকে জাতীয় ইতিহাসের বুকে, মুক্তিচেতনার সাহসী জনগোষ্ঠী ততই সধৈর্য প্রত্যয়ে গণতন্ত্রের আকাঙ্ায় সম্মুখবর্তী হতে থাকে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধারাবাহিক সংগ্রাম যা পরিচালিত হতে থাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, তারই সূচনামূলক পরিণতি হিসেবে ১৯৯৬ সালে বিপুল জনরায়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্র পরিচালনভার গ্রহণ করে, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারপথ সুগম হতে শুরু করে। আত্মস্বীকৃত খুনীদের মৃতু্যদণ্ডাদেশ ঘোষিত হয় নিন্ম আদালতের ঐতিহাসিক রায়ে; হাইকোর্ট হত্যার রায় বহাল রাখলেও ২০০১ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপরিচালন প্রক্রিয়া থেকে আওয়ামী লীগের সুযোগবঞ্চনার ফলে বিচারপ্রক্রিয়া আবার স্থবিরতার কবলে পড়ে। চারদলীয় লুটেরাবৃত্তির সেই তমসাবৃত গ্রহণকালে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গৌরবদীপ্ত সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রেখে নিরলস নেতৃত্বের দিক-নির্দেশনা দান করতে থাকেন। লড়াই-সংগ্রাম-আত্মত্যাগের অবিচ্ছিন্ন অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতার নতুন মাত্রা হিসেবে যোগ হয় 'ওয়ান ইলেভেন'-এর পরিকল্পিত চক্রান্ত মাইনাস-টু ফমর্ুলার প্রধান ল্যবিন্দু হিসেবে আওয়ামী লীগ দলনেত্রী শেখ হাসিনাকে অপসারণের সমস্ত কলকাঠি সক্রিয় হয়ে ওঠে; সেনাসমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কায়েমী শক্তি তাঁকে কারারুদ্ধ করে মিথ্যা অভিযোগে জনগণের সামনে হেয়প্রতিপন্ন করার সকল প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু জনগণের প্রতি অবিচল আস্থা, অপরিমেয় দেশপ্রেম ও স্পষ্টবাদী সত্যোচ্চারণের মাধ্যমে তিনি জনতার আন্দোলনকে ঘনীভূত করেন। চারদলীয় অপশাসনের শেষ প্রান্তে নীলনকশার নির্বাচন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যৌক্তিক দাবি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যখন আপসহীন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনি ওয়ান ইলেভেনের কূটচালে সে উদ্যোগ নস্যাত করে বিকল্প অগণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার অপপ্রয়াস চালাতে থাকে। গণতান্ত্রিক সংস্কারের নামে তারা সূক্ষ্ম কৌশলে দেশের দীর্ঘ-চর্চিত রাজনৈতিক ঐতিহ্যের উৎপাটনে তৎপর হয়ে ওঠে। গণমাধ্যমের অপপ্রচারণায় রাজনৈতিক চরিত্রহানির সব-রকম ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে তারা দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সাধারণ নির্বাচনে যুগান্তকারী বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ও গণসম্পৃক্তি প্রশ্নটির পুননি্#৬৩৭৪৩;ত্তি ঘটে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সম্পৃক্ত যে অঙ্গীকার আওয়ামী লীগ তার দিনবদলের সনদ নামক নির্বাচনী ইশ্তেহারে লিপিবদ্ধ ও ঘোষণা করেছিল তা বাস্তবায়নের প েঅভূতপূর্ব জনরায় ঘোষিত হয়। সনদে যে সামগ্রিক অঙ্গীকার নিহিত তার সংপ্তিসার হিসেবে এ মর্মবাণী আমরা পেতে পারি যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে হতে হবে সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্র্যবিজয়ী, আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও ইহজাগতিক। কল্পচিত্রের এ সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে বাস্তব দৃশ্যপটে হাজির করতে চাইলে যে জিনিসটি সর্বাগ্রে প্রয়োজন হিসেবে সামনে আসে তা হলো জাতিরাষ্ট্রের আস্থা ও শক্তির প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীদের আইনি শাস্তি নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে অপশক্তির প্রাণ-শেকড়টিকে কেটে ফেলা। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনে মাননীয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হত্যা-আসামিদের বিচারিক রায় কার্যকর করার সফল কর্মপন্থা অবলম্বন করেন।
২৮ জানুয়ারি ২০১০ রাত ১২টা ১ মিনিটে আত্মস্বীকৃত পাঁচ হত্যাকারীর ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতিগত দায়মুক্তির মহান কর্তব্যটি নি্#৬৩৭৪৩;ন্ন হলো। একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে সে জাতির মৌলিক সম্ভ্রমকেই মূলত হত্যা করা হয়। কাজেই জাতি রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড কোন ব্যক্তি বা পরিবারের হত্যা নয়, এটা জাতির যৌথস্বপ্ন, সামষ্টিক কল্পনা, জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রদর্শন ধ্বংসের হীন চক্রান্তেরই নামান্তর মাত্র। হত্যার ভারমুক্ত বাংলাদেশে ২৮ জানুয়ারির প্রভাত সেই হীন চক্রান্তের দায়মুক্তির সুপ্রভাত।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে হ্যালোজেন বাতির ধবধবে শাদা আলোয় হাজারো মানুষ কলঙ্কমুক্তির উল্লাসে যে বার্তা ঘোষণা করলেন তার মর্ম জাতিকে উপলব্ধি করতে হবে। তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ও জারিকৃত রেড এ্যালার্টের ভেতরেও মানুষের উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে দীর্ঘ চৌত্রিশ বছরের প্রতীা তাদেরকে ধৈর্যের প্রান্তসীমায় এনে দাঁড় করিয়েছে। উল্লাসমুখর এ জনগোষ্ঠী এরপর বর্তমান সরকারের কাছে যে দাবিটি সর্বাগ্রে উত্থাপন করতে চাইবেন তা নিঃসন্দেহে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ঘাতকগোষ্ঠীর বিচার প্রক্রিয়ার নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি। সেটা বাস্তবায়ন করতে পারলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জাতি আরও গভীর মনোনিবেশের সুযোগ পাবে বলে আমরা ধরে নিতে পারি।
অভিশাপমুক্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুনত্তক নিবেদন করতে গিয়ে মনে হলো আমরা এখনও যেন সত্যিকার দায়মুক্ত হতে পারিনি। বিটিভি আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলি, হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিকারে ১৫ আগস্টের প্রভাতে যাদের গর্জে ওঠার দায়িত্ব ছিল, ওয়ান ইলেভেনে অবৈধ, অসাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা ও ১৬ জুলাই ২০০৭ বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতীয় নেতা শেখ হাসিনার গ্রেফতারের পর যাদের দায় ছিল প্রতিরোধ গড়ে তোলার। চিৎকার করে বলার কথা ছিল শেখ হাসিনার কারাদন্ডের অর্থই হলো গণতন্ত্র ও গণঅধিকার হরণ। তারা ৭৫-এ পলায়নী মনোবৃত্তি দেখিয়েছে, ওয়ান ইলেভেনের (ৗইকও) সেজে সংস্কারের দাঁত ফুটিয়েছে, টকশো-তে অসাংবিধানিক, অপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় তিন বছর থাকার লাইসেন্স প্রদানের 'মামাবাড়ির আবদার' করেছে।
একটি মানুষের জীবনে যা পাওয়ার থাকে, নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আজকে আমি তা পেয়ে গেছি। আজকে আমার শুধুই চাওয়ার রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার দিনবদলের ডিজিটাল বাংলাদেশের সংশ্লেষণ ও সমন্বয়ে বাঙালী জাতিরাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা, সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় পশ্চাৎপদতা, রাজনৈতিক মিথ্যাচার ও প্রতিহিংসাপরায়ণতা, অসাংবিধানিক রাষ্ট্রমতাদখল প্রবণতা দূর হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুস্থ রাষ্ট্রিক সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করুক। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের স্বীকৃত খুনীরাই শুধু নয়, খুনীদের সহায়তাকারী, পরিপোষক এবং চেতনার ধারক যারা, তারা বারবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের স্বপ্ন ও শেখ হাসিনার পরিকল্পনাকে বিঘি্নত করতে হাজারো অন্তরায় খাড়া করবে। তাই প্রত্যেকটি দেশপ্রেমিক গণমানুষকে ইস্পাত-কঠিন ঐক্য নিয়ে সুবিধাভোগী সুযোগ-সন্ধানী স্বার্থপর সমাজশত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্য-মোর্চা গঠন করতে হবে। শিতি ঘৃণিত বৈরী শক্তির বিরুদ্ধে অবৈরী শক্তিকে এই লড়াইয়ে মিত্র হিসেবে পাশে পেতে হবে।
লেখক : মাননীয় মন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
No comments