বিএনপিকে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা
গত শনিবার ১২টি ডানপন্থী রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণতান্ত্রিক সমাজে যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্বীকৃত। সে অনুযায়ী দলগুলো যেসব রাজনৈতিক দাবি পেশ করেছে, সে সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য নেই। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে কেউ আইন ও বিচারব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
আমাদের আরও উদ্বেগের কারণ হলো, যেসব রাজনৈতিক দল এই হুংকার দিয়েছে, তাদের চেহারা-চরিত্র অজানা নয়। এর আগেও তারা দেশ অচল করে দেওয়ার কাগুজে হুংকার ছেড়েছে, যদিও দেশের মানুষ তাতে বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। এসব দলে এমন নেতাও আছেন, যাঁরা প্রধান বিরোধী দলটির সঙ্গে রাজনৈতিক সখ্য আছে বলে দাবি করেন। এঁদের কারও কারও দলীয় সমাবেশে বিএনপির নেতাদেরও বক্তৃতা দিতে কিংবা মানববন্ধনে শামিল হতে দেখা যায়। গত শনিবারে সমাবেশে একজন নেতা বলেছেন: ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নেওয়ার পর “ভারতীয় এজেন্টদের” বিচার করা হবে।’
এসব আবোলতাবোল বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো, দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। জনবিচ্ছিন্ন এই দলগুলোর আস্ফাালনে শঙ্কিত হওয়ার কিছু ছিল না, যদি না তারা বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতো। বিএনপির প্রস্তাবিত বৃহৎ জোটেও এদের কারও কারও নাম এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করা জরুরি বলে মনে করি। কেননা, উল্লিখিত সভায় বিএনপির নেতাদের নামও ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের যতদূর জানা, বিএনপি বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আপত্তি করলেও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধী নয়। তাদের ভাষায়, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু তা হতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে।’ কিন্তু তাদের সহযোগী বলে দাবিদার দলগুলো সরাসরি যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ভণ্ডুল করতে চাইছে।
আমরা মনে করি, এই চ্যালেঞ্জ কেবল সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে। দেশের ন্যায়বিচারকামী প্রত্যেক মানুষের বিরুদ্ধেও। যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে সমগ্র জাতির আবেগ জড়িত। বিচারপ্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই এর বিরোধিতাকারীদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।
এসব আবোলতাবোল বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো, দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। জনবিচ্ছিন্ন এই দলগুলোর আস্ফাালনে শঙ্কিত হওয়ার কিছু ছিল না, যদি না তারা বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতো। বিএনপির প্রস্তাবিত বৃহৎ জোটেও এদের কারও কারও নাম এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করা জরুরি বলে মনে করি। কেননা, উল্লিখিত সভায় বিএনপির নেতাদের নামও ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের যতদূর জানা, বিএনপি বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আপত্তি করলেও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধী নয়। তাদের ভাষায়, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু তা হতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে।’ কিন্তু তাদের সহযোগী বলে দাবিদার দলগুলো সরাসরি যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ভণ্ডুল করতে চাইছে।
আমরা মনে করি, এই চ্যালেঞ্জ কেবল সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে। দেশের ন্যায়বিচারকামী প্রত্যেক মানুষের বিরুদ্ধেও। যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে সমগ্র জাতির আবেগ জড়িত। বিচারপ্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই এর বিরোধিতাকারীদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।
No comments