শিশুর জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ by মোঃ আবদুর রহমান
শিশুরা আমাদের আনন্দ, সৌন্দর্য ও ভবিষ্যৎ জীবনধারার শ্রেষ্ঠ সম্পদ। পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠা তাদের জন্মগত অধিকার। অথচ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এ বাংলাদেশের মাটির ফুলরূপ শিশুরা আজ মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউনিসেফের এক তথ্যমতে, এ দেশের প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ৯ জনই অপুষ্টির শিকার।
যাদের বয়স অনূর্ধ্ব ৫ বছর। অপুষ্টির কারণে দেশে প্রতিদিন ৬ বছর বয়সের প্রায় ৭শ' শিশু অপরিণত বয়সে মারা যায়। প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু লৌহের অভাবে রক্তশূন্যতায় ভুগছে। আবার ভিটামিন 'এ'র অভাবে আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিশু অন্ধ হয়ে যায়। অপুষ্টির জন্য এ দেশের শিশুরা রাতকানা, চর্মরোগ, ম্যারাসম্যাস, কোয়াশিয়কর, বেরিবেরি, মুখ ও ঠোঁটের কোণে ঘা, স্কার্ভি প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হয়।
শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ পৃথিবীর সেরা পুষ্টিকর খাদ্য। তাই ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই নবজাত শিশুকে মায়ের বুকের প্রথম দুধ বা শালদুধ খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্য এই শালদুধ খুবই পুষ্টিকর, নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধক। এতে রয়েছে অতিরিক্ত প্রোটিন ও ভিটামিন 'এ'। শালদুধ কুষ্ঠ পরিষ্কার হিসেবে কাজ করে এবং শিশুকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। নবজাত শিশুর জন্য শালদুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবারের প্রয়োজন নেই। জন্মের পর থেকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুকে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কারণ, শিশুর জন্য অত্যাবশ্যকীয় সকল পুষ্টি উপাদান যথা_ প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ ও পানি মায়ের দুধে সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। শিশুর বয়স পাঁচ মাস পূর্ণ হলে শুধু মায়ের বুকের দুধ শিশুর শরীরের চাহিদা মেটে না। তাই পাঁচ মাস পূর্ণ হলে শরীরের প্রয়োজন মেটানোর জন্য মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবারও খাওয়াতে হয়। ভাত, রুটি, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, আলু ও মৌসুমি ফল উপযোগী করে খাওয়াতে হবে।
দেশের মাটির ফুলরূপ শিশুর এই নির্মল হাসিমুখ দেখতে হলে জন্মের পর থেকে প্রতিটি শিশুকে মায়ের বুকের দুধ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে দিতে হবে। এ ছাড়া শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং আদর-যত্ন দিয়ে তাদের লালন-পালনের প্রতি সকল মা-বাবারই আরও বেশি সচেষ্ট ও যত্নবান হওয়া একান্ত অপরিহার্য। এর ফলে শিশু ফুলের মতো বিকশিত হয়ে ভবিষ্যতের জন্য একজন সুস্থ-সবল, কর্মক্ষম ও বুদ্ধিমান নাগরিক হয়ে বেড়ে ওঠে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম হবে।
য় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিস
রূপসা, খুলনাশিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ পৃথিবীর সেরা পুষ্টিকর খাদ্য। তাই ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই নবজাত শিশুকে মায়ের বুকের প্রথম দুধ বা শালদুধ খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্য এই শালদুধ খুবই পুষ্টিকর, নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধক। এতে রয়েছে অতিরিক্ত প্রোটিন ও ভিটামিন 'এ'। শালদুধ কুষ্ঠ পরিষ্কার হিসেবে কাজ করে এবং শিশুকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। নবজাত শিশুর জন্য শালদুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবারের প্রয়োজন নেই। জন্মের পর থেকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুকে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কারণ, শিশুর জন্য অত্যাবশ্যকীয় সকল পুষ্টি উপাদান যথা_ প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ ও পানি মায়ের দুধে সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। শিশুর বয়স পাঁচ মাস পূর্ণ হলে শুধু মায়ের বুকের দুধ শিশুর শরীরের চাহিদা মেটে না। তাই পাঁচ মাস পূর্ণ হলে শরীরের প্রয়োজন মেটানোর জন্য মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবারও খাওয়াতে হয়। ভাত, রুটি, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, আলু ও মৌসুমি ফল উপযোগী করে খাওয়াতে হবে।
দেশের মাটির ফুলরূপ শিশুর এই নির্মল হাসিমুখ দেখতে হলে জন্মের পর থেকে প্রতিটি শিশুকে মায়ের বুকের দুধ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে দিতে হবে। এ ছাড়া শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং আদর-যত্ন দিয়ে তাদের লালন-পালনের প্রতি সকল মা-বাবারই আরও বেশি সচেষ্ট ও যত্নবান হওয়া একান্ত অপরিহার্য। এর ফলে শিশু ফুলের মতো বিকশিত হয়ে ভবিষ্যতের জন্য একজন সুস্থ-সবল, কর্মক্ষম ও বুদ্ধিমান নাগরিক হয়ে বেড়ে ওঠে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম হবে।
য় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিস
No comments