তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ব্যবহারে আরেক ধাপ অগ্রগতি-মুঠোফোনে খুদেবার্তা কার্যক্রমের উদ্বোধন
বাংলা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গের স্মৃতিবিজড়িত দিন একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে এক চমৎকার আহ্বান উচ্চারিত হলো। সেদিন বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত সব উদ্ভাবন ও প্রয়োগে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানটি মূলত তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি। কিন্তু এ আহ্বানের একটি সর্বজনীন আবেদন রয়েছে। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা বলেই শুধু নয়, বাংলায় লিখতে ও পড়তে জানে, এমন মানুষেরাই এ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানটি তাৎপর্যপূর্ণ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের যোগাযোগের ভাষাটি তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহারের সুযোগ ছিল না বলেই এত দিন মানুষ ইংরেজি ব্যবহারে বাধ্য হয়েছে। বিশেষত, মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা আদান-প্রদানে ইংরেজি হরফের ব্যবহারে মানুষ বাধ্য হয়েছে বাংলা হরফ ব্যবহারের সুযোগ ছিল না বলে। এখন কারিগরি এ সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে; সেদিনই প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে মুঠোফোনে খুদেবার্তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়া এ মাস থেকেই সব ব্র্যান্ডের বেসিক মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেটে পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-প্যাড সংযোজন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুঠোফোনে বাংলা ভাষার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারে কোনো সমস্যাই রইল না। এখন এ ক্ষেত্রে ব্যবহারবান্ধব হ্যান্ডসেটের কারিগরি উৎকর্ষসাধনে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রহণ করে বিশ্বের যেসব দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তারা মূলত মাতৃভাষাই ব্যবহার করছে। জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স প্রভৃতি উন্নত জাতি তো বটেই, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী চীন, থাইল্যান্ডের মানুষও তথ্যপ্রযুক্তিকে মাতৃভাষায় ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে। এবং তারা শুধু মুঠোফোনের মধ্যেই মাতৃভাষার ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখেনি, ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে দিয়েছে। ই-ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও তাদের যোগাযোগের মাধ্যম মাতৃভাষা। আমাদেরও সেই পথে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অনেক বাংলা ব্লগ চালু হয়েছে, উইকিপিডিয়া, গুগল ইত্যাদির বাংলা সংস্করণও বিকশিত হচ্ছে, ফেসবুকেও বাংলায় যোগাযোগ চলছে; কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন ঘটেনি। এ ক্ষেত্রে কারিগরি দিক থেকে অনেক করণীয় রয়েছে। সে জন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ের জোরালো উদ্যোগ এবং বিশেষত জরুরি প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, সফটওয়্যার-প্রণেতা এবং এই খাতের ব্যবসায়ী মহলের আন্তরিক তৎপরতা।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রহণ করে বিশ্বের যেসব দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তারা মূলত মাতৃভাষাই ব্যবহার করছে। জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স প্রভৃতি উন্নত জাতি তো বটেই, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী চীন, থাইল্যান্ডের মানুষও তথ্যপ্রযুক্তিকে মাতৃভাষায় ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে। এবং তারা শুধু মুঠোফোনের মধ্যেই মাতৃভাষার ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখেনি, ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে দিয়েছে। ই-ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও তাদের যোগাযোগের মাধ্যম মাতৃভাষা। আমাদেরও সেই পথে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অনেক বাংলা ব্লগ চালু হয়েছে, উইকিপিডিয়া, গুগল ইত্যাদির বাংলা সংস্করণও বিকশিত হচ্ছে, ফেসবুকেও বাংলায় যোগাযোগ চলছে; কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন ঘটেনি। এ ক্ষেত্রে কারিগরি দিক থেকে অনেক করণীয় রয়েছে। সে জন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ের জোরালো উদ্যোগ এবং বিশেষত জরুরি প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, সফটওয়্যার-প্রণেতা এবং এই খাতের ব্যবসায়ী মহলের আন্তরিক তৎপরতা।
No comments