জ্বালানি সমস্যা সমাধান-আন্তরিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন
দেশের বিশাল এলাকাজুড়ে মাটির নিচের গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে আর কত দিন গ্যাস সরবরাহ করা যাবে? প্রশ্ন এমন পর্যায়েই হতে পারে দেশে গ্যাসের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। অনুমাননির্ভর পরিসংখ্যান দিয়ে যেভাবে আমাদের দেশের গ্যাসকে দ্রুত নিঃশেষ করার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তেমনি অনুমাননির্ভরই আমরা আজও রয়ে গেছি।
শুধু তা-ই নয়, জ্বালানি সমস্যা নিরসনের জন্য নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে যেমন আমরা সংশয় কাটাতে পারিনি, তেমনি মাটির নিচে পড়ে থাকা কয়লাও উত্তোলন করতে পারছি না নিজেদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে। খোলামুখ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা যাবে না_এমন দাবি জানিয়ে আসছে একটি গোষ্ঠী। সরকার সিদ্ধান্তহীনতার বেড়াজাল ডিঙিয়ে যেতে পারছে না। টানাপড়েন চলছে কয়লা উত্তোলন নিয়ে। অথচ জ্বালানি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে নিত্যদিন। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি থাকলেও সরকার পেরে উঠছে না জ্বালানি সমস্যার কারণে। এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে দেশের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে কতটা সাফল্য আসবে, তা-ও থেকে যাচ্ছে সন্দেহের মধ্যে।
গ্যাস অনুসন্ধান আর কয়লা উত্তোলন নিয়ে সরকার, জনগণ এবং রাজনৈতিক শক্তি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে। ফুলবাড়ীতে প্রাপ্ত কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে, তা ভোলার মতো নয়। হালে সরকার গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য কনোকো-ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। জ্বালানির বিষয়টি নিয়ে প্রতিটি সরকারকেই এ ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়। অথচ এই খাতে বিদেশনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। শুধু প্রযুক্তি সুবিধাই নয়, এর সঙ্গে যে আর্থিক সংগতি প্রয়োজন, তা-ও নেই বাংলাদেশের। কনোকো-ফিলিপসের মতো কোনো না কোনো বিদেশি কম্পানির ওপর বাংলাদেশকে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্ভর করতেই হবে। এর প্রমাণও পাওয়া যায় বাপেঙ্রে প্রধান নির্বাহীর কথায়। তিনি স্পষ্টতই বলে দিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব নয়। দেশের প্রতিষ্ঠান বাপেঙ্কে আরো শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। বাপেঙ্ এখন স্থলভাগে ড্রিলিং করতে গিয়ে চার হাজার মিটারের বেশি গভীরে যেতে পারে না। ফলে আন্তরিকতা থাকলেও বাপেঙ্ আমাদের আশার আলো দেখাতে পারবে বলে মনে হয় না। তাই জ্বালানি সমস্যা কাটানোর প্রয়োজনে বাপেঙ্কে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। সর্বোপরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও আন্তরিক হওয়া অপরিহার্য।
গ্যাস অনুসন্ধান আর কয়লা উত্তোলন নিয়ে সরকার, জনগণ এবং রাজনৈতিক শক্তি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে। ফুলবাড়ীতে প্রাপ্ত কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে, তা ভোলার মতো নয়। হালে সরকার গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য কনোকো-ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। জ্বালানির বিষয়টি নিয়ে প্রতিটি সরকারকেই এ ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়। অথচ এই খাতে বিদেশনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। শুধু প্রযুক্তি সুবিধাই নয়, এর সঙ্গে যে আর্থিক সংগতি প্রয়োজন, তা-ও নেই বাংলাদেশের। কনোকো-ফিলিপসের মতো কোনো না কোনো বিদেশি কম্পানির ওপর বাংলাদেশকে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্ভর করতেই হবে। এর প্রমাণও পাওয়া যায় বাপেঙ্রে প্রধান নির্বাহীর কথায়। তিনি স্পষ্টতই বলে দিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব নয়। দেশের প্রতিষ্ঠান বাপেঙ্কে আরো শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। বাপেঙ্ এখন স্থলভাগে ড্রিলিং করতে গিয়ে চার হাজার মিটারের বেশি গভীরে যেতে পারে না। ফলে আন্তরিকতা থাকলেও বাপেঙ্ আমাদের আশার আলো দেখাতে পারবে বলে মনে হয় না। তাই জ্বালানি সমস্যা কাটানোর প্রয়োজনে বাপেঙ্কে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। সর্বোপরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও আন্তরিক হওয়া অপরিহার্য।
No comments