পবিত্র কোরআনের আলো-যাদের মনের ভেতর কুফরি রয়েছে আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল
৫৯. ক্বুল ইয়া-আহলাল কিতাবি হাল তানকি্বমূনা মিন্না ইল্লা আন আ-মান্না বিল্লাহি ওয়া মা উনযিলা ইলাইনা ওয়া মা উনযিলা মিন ক্বাবলু; ওয়া আন্না আকছারাকুম ফাছিক্বূন। ৬০. ক্বুল হাল উনাবি্বউকুম বিশার্রিম্ মিন যালিকা মাছূবাতান ই'নদাল্লাহি; মান লা'আনাতুল্লাহু ওয়া গাদ্বিবা 'আলাইহি ওয়া জা'আলা মিনহুমুল কি্বরাদাতা ওয়ালখানাযীরা ওয়া 'আবাদাত্ ত্বাগূত; উলা-য়িকা শার্রুম্ মাকা-নাওঁ ওয়া আদ্বাল্লু 'আন ছাওয়া-য়িচ্ছাবীল।
৬১. ওয়া ইযা জা-ঊকুম ক্বা-লূ আমান্না ওয়া ক্বাদ্ দাখালূ বিলকুফরি ওয়া হুম ক্বাদ খারাজূ বিহি; ওয়াল্লাহু 'আলামু বিমা কা-নূ ইয়াকতুমূন।
[সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ৫৯-৬১]
অনুবাদ : ৫৯. (হে রাসুল!) আপনি এদের বলে দিন, হে কিতাবধারীরা, তোমরা আমাদের কাছ থেকে আপত্তিকর কী পাচ্ছ, এটা ছাড়া যে আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, আর ইমান এনেছি যা আমাদের ওপর নাজিল করা হয়েছে এবং এর আগে যা নাজিল করা হয়েছিল। তোমাদের অধিকাংশই তো হচ্ছ পাপাচারী।
৬০. (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমি কি তোমাদের বলে দেব, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রতিদান কে পাবে? সে ব্যক্তি হচ্ছে : যার ওপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ দিয়েছেন। যার ওপর আল্লাহর ক্রোধ রয়েছে এবং যাদের কিছু মানুষকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিয়েছেন, আর যারা মিথ্যা মাবুদের আনুগত্য করছে_এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের অবস্থান হবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং এরা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছে।
৬১. তারা যখন তোমাদের সামনে আসে তখন বলে, আমরা ইমান এনেছি। আসলে তারা অবাধ্যতা নিয়েই তোমাদের কাছে প্রবেশ করেছিল এবং অবাধ্যতা নিয়েই বের হয়ে গেছে। তারা যা কিছু মনের ভেতরে গোপন করে রেখেছিল, আল্লাহ তায়ালা সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছেন।
ব্যাখ্যা : ৫৯ নম্বর আয়াতে আহলে কিতাব তথা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের একটি যৌক্তিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা হয়েছে। রাসুলকে বলে দেওয়া হচ্ছে তিনি যেন এদের জিজ্ঞেস করেন, তারা যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হচ্ছে, সেটা কেন? মুসলমানদের আসলে খারাপ কাজগুলো কী? আসলে তাদের বিরোধের জায়গাগুলো কী? সেগুলো কি এই নয় যে আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, আর ইমান এনেছি বর্তমানে নাজিলকৃত কোরআনের ওপর এবং সেই সঙ্গে আগে যা নাজিল হয়েছিল, সেই সব কিতাব অর্থাৎ তাওরাত ও ইনজিলের ওপর। তাহলে এখানে আহলে কিতাবের সঙ্গে মুসলমানদের বিরোধটা কোথায়? আসলে যৌক্তিক কোনো বিরোধ নেই মুসলমানদের সঙ্গে আহলে কিতাবের শত্রুতার। বিরোধটা হচ্ছে, আহলে কিতাবের আত্মশ্লাঘা ও অহমিকার মধ্যে। অহমিকার কারণেই এদের অনেকেই পাপাচারী। এরপর ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে শিখিয়ে দিচ্ছেন, আপনি এদের বলুন, আমি কি তোমাদের বলে দেব, আল্লাহর কাছ থেকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রতিদান পাবে যারা, তারা আসলে কারা? এরপর বলা হচ্ছে, তারা হলো সেই সব লোক, যারা আল্লাহর অভিশাপে নিপতিত হয়েছে, যাদের ওপর আল্লাহর ক্রোধ রয়েছে, আর যেসব মানুষকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিয়েছেন কোনো কোনো নবীর আমলে। আর যারা মিথ্যা মাবুদের আনুগত্য করে_এদের পরিণতি হবে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। কারণ এরা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। তারা ভ্রান্তপথে পরিচালিত হয়ে নিজেদের সঠিক পথের অনুসারী বলে দাবি করে, এটাই তাদের নিকৃষ্ট পরিণতির কারণ। এসব লোক যখন মুসলমানদের কাছে আসে তখন বলে, 'আমরা ইমান এনেছি। কিন্তু আসলে তাদের মনের ভেতর দুরভিসন্ধি।' তারা আল্লাহর হুকুমের প্রতি অবাধ্যতার মনোভাব নিয়েই আসে এবং অবাধ্যতার মনোভাব নিয়েই ফিরে যায়। কিন্তু তারা জানে না, তাদের মনের ভেতরে যে দুরভিসন্ধি তারা লুকিয়ে রাখতে চায়, সে ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সম্যক অবগত। আল্লাহ তাদের মনের খবর রাখেন, আর এভাবেই তাদের পরিণতি হবে সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ৫৯-৬১]
অনুবাদ : ৫৯. (হে রাসুল!) আপনি এদের বলে দিন, হে কিতাবধারীরা, তোমরা আমাদের কাছ থেকে আপত্তিকর কী পাচ্ছ, এটা ছাড়া যে আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, আর ইমান এনেছি যা আমাদের ওপর নাজিল করা হয়েছে এবং এর আগে যা নাজিল করা হয়েছিল। তোমাদের অধিকাংশই তো হচ্ছ পাপাচারী।
৬০. (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমি কি তোমাদের বলে দেব, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রতিদান কে পাবে? সে ব্যক্তি হচ্ছে : যার ওপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ দিয়েছেন। যার ওপর আল্লাহর ক্রোধ রয়েছে এবং যাদের কিছু মানুষকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিয়েছেন, আর যারা মিথ্যা মাবুদের আনুগত্য করছে_এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের অবস্থান হবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং এরা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছে।
৬১. তারা যখন তোমাদের সামনে আসে তখন বলে, আমরা ইমান এনেছি। আসলে তারা অবাধ্যতা নিয়েই তোমাদের কাছে প্রবেশ করেছিল এবং অবাধ্যতা নিয়েই বের হয়ে গেছে। তারা যা কিছু মনের ভেতরে গোপন করে রেখেছিল, আল্লাহ তায়ালা সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছেন।
ব্যাখ্যা : ৫৯ নম্বর আয়াতে আহলে কিতাব তথা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের একটি যৌক্তিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা হয়েছে। রাসুলকে বলে দেওয়া হচ্ছে তিনি যেন এদের জিজ্ঞেস করেন, তারা যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হচ্ছে, সেটা কেন? মুসলমানদের আসলে খারাপ কাজগুলো কী? আসলে তাদের বিরোধের জায়গাগুলো কী? সেগুলো কি এই নয় যে আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, আর ইমান এনেছি বর্তমানে নাজিলকৃত কোরআনের ওপর এবং সেই সঙ্গে আগে যা নাজিল হয়েছিল, সেই সব কিতাব অর্থাৎ তাওরাত ও ইনজিলের ওপর। তাহলে এখানে আহলে কিতাবের সঙ্গে মুসলমানদের বিরোধটা কোথায়? আসলে যৌক্তিক কোনো বিরোধ নেই মুসলমানদের সঙ্গে আহলে কিতাবের শত্রুতার। বিরোধটা হচ্ছে, আহলে কিতাবের আত্মশ্লাঘা ও অহমিকার মধ্যে। অহমিকার কারণেই এদের অনেকেই পাপাচারী। এরপর ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে শিখিয়ে দিচ্ছেন, আপনি এদের বলুন, আমি কি তোমাদের বলে দেব, আল্লাহর কাছ থেকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রতিদান পাবে যারা, তারা আসলে কারা? এরপর বলা হচ্ছে, তারা হলো সেই সব লোক, যারা আল্লাহর অভিশাপে নিপতিত হয়েছে, যাদের ওপর আল্লাহর ক্রোধ রয়েছে, আর যেসব মানুষকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিয়েছেন কোনো কোনো নবীর আমলে। আর যারা মিথ্যা মাবুদের আনুগত্য করে_এদের পরিণতি হবে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। কারণ এরা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। তারা ভ্রান্তপথে পরিচালিত হয়ে নিজেদের সঠিক পথের অনুসারী বলে দাবি করে, এটাই তাদের নিকৃষ্ট পরিণতির কারণ। এসব লোক যখন মুসলমানদের কাছে আসে তখন বলে, 'আমরা ইমান এনেছি। কিন্তু আসলে তাদের মনের ভেতর দুরভিসন্ধি।' তারা আল্লাহর হুকুমের প্রতি অবাধ্যতার মনোভাব নিয়েই আসে এবং অবাধ্যতার মনোভাব নিয়েই ফিরে যায়। কিন্তু তারা জানে না, তাদের মনের ভেতরে যে দুরভিসন্ধি তারা লুকিয়ে রাখতে চায়, সে ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সম্যক অবগত। আল্লাহ তাদের মনের খবর রাখেন, আর এভাবেই তাদের পরিণতি হবে সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments