‘গ্রেনেড হামলার আগে হাওয়া ভবনে যান এনএসআই প্রধান আব্দুর রহিম’
একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কয়েকদিন আগে এনএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান আব্দুর রহিম হাওয়া ভবনে গিয়েছিলেন বলে গতকাল রবিবার আদালতে সাক্ষ্যে জানালেন ওই সংস্থার সহকারী পরিচালক ইউসুফ হোসেন।
পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে এই মামলার বিচারে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের কাছে তিনি মামলাটির ৬৬তম সাক্ষী হিসেবে এ সাক্ষ্য দেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার ৫২ আসামির মধ্যে আব্দুর রহিম।ইউসুফ জবানবন্দীতে বলেন, আব্দুর রহিম ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ রহিমের তত্ত্বাবধানে। ২০০৪ সালের ১২ আগস্টের পর ২১ আগস্টের আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন আব্দুর রহিম হাওয়া ভবনে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমি ও কনস্টেবল মনোয়ার সিএমএইচে ডিজি (রহিম) স্যারের দেখভালের জন্য রোস্টার ডিউটি করতাম। আমাদের সঙ্গে ওয়াকিটকি থাকত। ‘ডিউটি চলার সময় একদিন ড্রাইভারকে (রহিমের গাড়িচালক) ওয়েটিং রুমে পাইনি। ফিরে এলে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, স্যারকে নিয়ে সে বনানীতে হাওয়া ভবনে গিয়েছিল।’
তিনি আরও জানান, ২১ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি তাঁর ওয়াকিটকিতে শুনতে পান যে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। খবরটি ডিজি স্যারকে জানালে তিনি (রহিম) শেখ হাসিনার খবর জানতে চাইলে বলি, তিনি বেঁচে থাকলেও গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইউসুফের জবানবন্দীর পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা শুরু করেন। তবে জেরা অসমাপ্ত রেখেই আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
রবিবার সাক্ষ্যগ্রহণকালে সাবেক মন্ত্রী জামায়াতনেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ এ মামলায় কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
রবিবার জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মোঃ আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আদালতে হাজির হন।
No comments