নির্বাচন আর পরীক্ষার ফাঁদে বিএনপির আন্দোলন by তানভীর সোহেল
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বিএনপির আন্দোলন। দলটির নেতারা মনে করছেন, আগামী বছর অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফাঁদে ফেলে বিএনপিকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার কৌশল নিতে যাচ্ছে সরকার।
বিএনপির নেতাদের দাবি, আগামী ডিসেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে এ বছরের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, আগামী বছরে মার্চের পরে সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং আগস্ট থেকে সব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের খসড়া রূপরেখায়ও এমনটা বলা হয়েছে। মামলা থাকায় ওই রূপরেখায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর বাইরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে আন্দোলনে বিরতি দিতে হতে পারে দলটিকে।
বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, নানা দিক বিবেচনায় রেখে তাঁরা আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন। আন্দোলনে বিরূপ প্রভাব পড়ে—এমন কোনো কাজ নেতা-কর্মীদের করতে দেওয়া হবে না। দলটি আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ মাসের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে কোরবানির ঈদ, বিভিন্ন পরীক্ষা, আগামী বছরের রোজা, দুটি ঈদ, বৃষ্টি এমনকি বন্যার মতো বিষয়গুলোকেও চিন্তার মধ্যে রাখা হচ্ছে। এ দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলন নিয়ে ভাবছে দলটি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো তাদের কাছে উপদ্রবের মতো মনে হচ্ছে। অবশ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ঈদের পর আন্দোলন নতুন মাত্রায় শুরু হবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। বিএনপি মনে করছে, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদের সর্বশেষ অধিবেশন হবে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ওই অধিবেশনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তা না হলে আর সময় পাওয়া যাবে না। এ কারণে দলটি আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়। ওই সময়টায় টানা হরতাল, অবরোধ ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি থাকবে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর বিএনপি টানা পাঁচ মাস আন্দোলনের সুযোগ পাবে। অক্টোবরের শেষে কোরবানির ঈদ ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তাদের আন্দোলনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু সাংগঠনিক কর্মসূচিও থাকবে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জেলা সফর, কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ, দেশব্যাপী সমাবেশ এবং ছোট আকারে হলেও একটি জাতীয় কাউন্সিল করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
দেশের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত রাখতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দলটিকে। প্রথম আলোকে দলের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারি দলকে মাঠ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। আবার সবাই নির্বাচনমুখী হলে নেতা-কর্মীরা আন্দোলনবিমুখ হতে পারেন, এমন আশঙ্কাও আছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, বর্তমান সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো দলীয় নির্বাচন নয়। তিনি বলেন, বিএনপির কাছে আন্দোলনই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, নানা দিক বিবেচনায় রেখে তাঁরা আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন। আন্দোলনে বিরূপ প্রভাব পড়ে—এমন কোনো কাজ নেতা-কর্মীদের করতে দেওয়া হবে না। দলটি আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ মাসের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে কোরবানির ঈদ, বিভিন্ন পরীক্ষা, আগামী বছরের রোজা, দুটি ঈদ, বৃষ্টি এমনকি বন্যার মতো বিষয়গুলোকেও চিন্তার মধ্যে রাখা হচ্ছে। এ দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলন নিয়ে ভাবছে দলটি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো তাদের কাছে উপদ্রবের মতো মনে হচ্ছে। অবশ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ঈদের পর আন্দোলন নতুন মাত্রায় শুরু হবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। বিএনপি মনে করছে, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদের সর্বশেষ অধিবেশন হবে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ওই অধিবেশনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তা না হলে আর সময় পাওয়া যাবে না। এ কারণে দলটি আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়। ওই সময়টায় টানা হরতাল, অবরোধ ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি থাকবে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর বিএনপি টানা পাঁচ মাস আন্দোলনের সুযোগ পাবে। অক্টোবরের শেষে কোরবানির ঈদ ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তাদের আন্দোলনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু সাংগঠনিক কর্মসূচিও থাকবে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জেলা সফর, কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ, দেশব্যাপী সমাবেশ এবং ছোট আকারে হলেও একটি জাতীয় কাউন্সিল করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
দেশের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত রাখতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দলটিকে। প্রথম আলোকে দলের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারি দলকে মাঠ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। আবার সবাই নির্বাচনমুখী হলে নেতা-কর্মীরা আন্দোলনবিমুখ হতে পারেন, এমন আশঙ্কাও আছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, বর্তমান সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো দলীয় নির্বাচন নয়। তিনি বলেন, বিএনপির কাছে আন্দোলনই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
No comments