জান্নাতের খোশ খবরি by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর মকবুল নেক বান্দাদের জন্য জান্নাতে যাওয়ার খোশ খবর দিয়েছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে_ অর্থাৎ আল্লাহপাক তাঁর ঈমানদার বান্দাদের প্রতি সুসংবাদ জানিয়ে বলেন, যে বা যারা মহান আল্লাহপাককে সৃষ্টিকর্তা ও একমাত্র প্রতিপালক অতি অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের (সা.) নির্দেশিত হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।
এসব লোকের ফেরেশতারা খোশ খবর বয়ে আনবে এবং বলবে_ হে আল্লাহর বান্দারা, তোমাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, চিন্তা-ভাবনা নেই, কোনো শঙ্কা নেই। তোমরা জান্নাতে যাওয়ার খোশ খবর শোন যে, আল্লাহপাক তোমাদের (এক সময় না এক সময়) জান্নাতে (বেহেশতে) প্রবেশ করাবেন। দুনিয়ায় যেমন আমি তোমাদের বন্ধু, পরওয়ারদেগার ছিলাম, আখেরাতেও বন্ধু থাকব। জান্নাতবাসী হয়ে সেখানে যা চাইবে, কামনা করবে তা-ই তোমাদের তাৎক্ষণিক দেওয়া হবে। এটিই হবে তোমাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের বড় নেয়ামত, খোশ খবরি অর্থাৎ সুসংবাদ।
এ সম্পর্কে হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, অনেকে মহান স্রষ্টা আল্লাহকে স্বীকার করে পরে আবার আল্লাহপাক প্রদত্ত হুকুম, নিয়মনীতি অর্জন করে চলে, তাদের জন্য আখেরাতে দুঃখ-দুর্দশা আপতিত হবে এবং যে বা যারা আল্লাহপাকের আদেশ-নিষেধ মৃত্যু পর্যন্ত মেনে চলবে তাদের জন্য মহাশুভবার্তা।
এ ছাড়া বিভিন্ন হাদিস সূত্রে জান্নাতের খোশ খবর সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য জানা যায়, হজরত আবু আলিয়া (রা.) বর্ণনা করেছেন_ জনৈক ব্যক্তি মহানবীর (সা.) কাছে জিজ্ঞেস করলে, হে রাসূলুল্লাহ (সা.) আপনি আমাকে দীন ইসলামের এমন কোনো বিষয় শিক্ষা দেন যে, আর কারও কাছে জিজ্ঞেস করতে যেন না হয়। হজরত রাসূলে পাক (সা.) বললেন, মন-দিলে আল্লাহকে স্বীকার করো, তারপর এটিতে স্থির থাক। এভাবে যে বা যারা আল্লাহপাকের ওপর অবিচল আস্থা, বিশ্বাস, দৃঢ় ঈমান রাখবে এবং যাবতীয় অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকবে_ মৃত্যু মুহূর্তে তখন ফেরেশতা এসে খোশ খবরি জানাবে যে, তোমরা আখেরাতের মনজিলের দিকে যাত্রা করছ, সেখানে তোমাদের কোনো ভয়ভীতি, চিন্তা, শঙ্কার কারণ নেই। তুমি যে সাধের পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাচ্ছ, এতে তোমার ভয়, দুঃখ, চিন্তার কারণ নেই। তোমার ধন-সম্পদ এবং সন্তান-সন্ততির জন্যও কোনো চিন্তা, শঙ্কা, ভয়ভীতির কারণ নেই। সবকিছুই যিনি এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তিনিই দেখাশোনা করবেন এবং প্রতিপালন ও হেফাজত করবেন। আমরা আল্লাহর ফেরেশতা, তাই এই খোশ খবরি (সুসংবাদটি) দিতে আসছি যে, তুমি এক সময় জান্নাতবাসী হবে। হজরত সাবেত (রা.) বর্ণনা করেছেন, রোজ কেয়ামতে মোমিন ব্যক্তি কবর থেকে উত্থিত হবেন এবং দুনিয়ার জীবনে যে ফেরেশতা তার সঙ্গে অবস্থান করছিল সে বলবে, হে দোস্ত, তুমি ভয় পেয়ো না, চিন্তাযুক্ত হয়ো না, তুমি খুশি হও, তুমি জান্নাতি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেসব ওয়াদা দিয়েছিলেন সবই পূরণ হবে, এতে সত্যিকার কামেলে ইনসানের অন্তর-মন-দিল আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠবে। তখন সে দুনিয়ার জীবনে নামাজ, রোজা, হজ-জাকাতসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগির নেক আমলের পুরস্কার নিজ চক্ষেই অবলোকন করতে পারবে। এমনকি যখন যা চিন্তা করবে, চাইবে, আকাঙ্ক্ষা, কামনা, বাসনা করবে সঙ্গে সঙ্গে তা পেয়ে যাবে। এত সব চাহিদা নেয়ামতরাশি শুধু নেক বান্দাদেরই আল্লাহ অকাতরে দান করবেন।
অতএব আসুন, দুনিয়ার জীবন সর্বরকম সৎ কর্ম এবং ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত রাখি এবং মহান আল্লাহ পাক ও তদীয় রাসূলের (সা.) শিক্ষা, আদর্শ, সুন্নত, তরিকা কথা-কাজে-কর্মে পরিচালনার মধ্য দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি।
এ সম্পর্কে হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, অনেকে মহান স্রষ্টা আল্লাহকে স্বীকার করে পরে আবার আল্লাহপাক প্রদত্ত হুকুম, নিয়মনীতি অর্জন করে চলে, তাদের জন্য আখেরাতে দুঃখ-দুর্দশা আপতিত হবে এবং যে বা যারা আল্লাহপাকের আদেশ-নিষেধ মৃত্যু পর্যন্ত মেনে চলবে তাদের জন্য মহাশুভবার্তা।
এ ছাড়া বিভিন্ন হাদিস সূত্রে জান্নাতের খোশ খবর সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য জানা যায়, হজরত আবু আলিয়া (রা.) বর্ণনা করেছেন_ জনৈক ব্যক্তি মহানবীর (সা.) কাছে জিজ্ঞেস করলে, হে রাসূলুল্লাহ (সা.) আপনি আমাকে দীন ইসলামের এমন কোনো বিষয় শিক্ষা দেন যে, আর কারও কাছে জিজ্ঞেস করতে যেন না হয়। হজরত রাসূলে পাক (সা.) বললেন, মন-দিলে আল্লাহকে স্বীকার করো, তারপর এটিতে স্থির থাক। এভাবে যে বা যারা আল্লাহপাকের ওপর অবিচল আস্থা, বিশ্বাস, দৃঢ় ঈমান রাখবে এবং যাবতীয় অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকবে_ মৃত্যু মুহূর্তে তখন ফেরেশতা এসে খোশ খবরি জানাবে যে, তোমরা আখেরাতের মনজিলের দিকে যাত্রা করছ, সেখানে তোমাদের কোনো ভয়ভীতি, চিন্তা, শঙ্কার কারণ নেই। তুমি যে সাধের পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাচ্ছ, এতে তোমার ভয়, দুঃখ, চিন্তার কারণ নেই। তোমার ধন-সম্পদ এবং সন্তান-সন্ততির জন্যও কোনো চিন্তা, শঙ্কা, ভয়ভীতির কারণ নেই। সবকিছুই যিনি এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তিনিই দেখাশোনা করবেন এবং প্রতিপালন ও হেফাজত করবেন। আমরা আল্লাহর ফেরেশতা, তাই এই খোশ খবরি (সুসংবাদটি) দিতে আসছি যে, তুমি এক সময় জান্নাতবাসী হবে। হজরত সাবেত (রা.) বর্ণনা করেছেন, রোজ কেয়ামতে মোমিন ব্যক্তি কবর থেকে উত্থিত হবেন এবং দুনিয়ার জীবনে যে ফেরেশতা তার সঙ্গে অবস্থান করছিল সে বলবে, হে দোস্ত, তুমি ভয় পেয়ো না, চিন্তাযুক্ত হয়ো না, তুমি খুশি হও, তুমি জান্নাতি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেসব ওয়াদা দিয়েছিলেন সবই পূরণ হবে, এতে সত্যিকার কামেলে ইনসানের অন্তর-মন-দিল আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠবে। তখন সে দুনিয়ার জীবনে নামাজ, রোজা, হজ-জাকাতসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগির নেক আমলের পুরস্কার নিজ চক্ষেই অবলোকন করতে পারবে। এমনকি যখন যা চিন্তা করবে, চাইবে, আকাঙ্ক্ষা, কামনা, বাসনা করবে সঙ্গে সঙ্গে তা পেয়ে যাবে। এত সব চাহিদা নেয়ামতরাশি শুধু নেক বান্দাদেরই আল্লাহ অকাতরে দান করবেন।
অতএব আসুন, দুনিয়ার জীবন সর্বরকম সৎ কর্ম এবং ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত রাখি এবং মহান আল্লাহ পাক ও তদীয় রাসূলের (সা.) শিক্ষা, আদর্শ, সুন্নত, তরিকা কথা-কাজে-কর্মে পরিচালনার মধ্য দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি।
No comments