অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণে আবেদনের সময় বৃদ্ধির দাবি- কওখ তালিকার গেজেট পাওয়া যাচ্ছে না সংবাদ সম্মেলনে নয় সংগঠন
অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ ও ‘খ’ তালিকার গেজেট
এখনও বহু উপজেলায় প্রকাশ করা হয়নি। আবার অনেক উপজেলায় পাওয়াও যাচ্ছে না। এ
অবস্থা বিবেচনা করে অর্পিত সম্পত্তির উভয় তফসিলের সম্পত্তি প্রত্যর্পণের
জন্য আবেদন দাখিলের সময়সীমা আরও ১৮০ দিন বাড়াতে হবে।
এ জন্য অবিলম্বে আইন সংশোধন করতে হবে। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ৯টি সংগঠন এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, এএলআরডি, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলন, ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নিজে করি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও এইচডিআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরকার ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলের গেজেট সম্পন্ন করতে না পারায় দু’দফায় গেজেট প্রকাশের সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারপরেও ‘ক’ তফসিলের গেজেট প্রকাশ করা হলেও ‘খ’ তফসিলের গেজেট বহু উপজেলায় এখনও প্রকাশ করা হয়নি কিংবা পাওয়াই যাচ্ছে না। এর ফলে জনগণের ভোগান্তি ও হয়রানি বহুগুণে বেড়েই চলেছে। আইনে বলা হয়েছে, গেজেট প্রকাশের তিন শ’ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগীকে জেলা কমিটি কিংবা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেত হবে। তবে বহু খোঁজাখুঁজি করেও অনেক উপজেলায় ‘খ’ তফসিলের গেজেট ভুক্তভোগী জনগণ পাচ্ছেন না। বিজি প্রেস থেকেও ‘খ’ তালিকার কোন কপি সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই জনগণের ভোগান্তি লাঘবে গেজেট প্রকাশের সময়সীমা না বাড়িয়ে ভুক্তভোগীদের ট্রাইব্যুনাল কিংবা জেলা কমিটিতে আবেদন দাখিল করার সময়সীমা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় তারা ন্যয়বিচারপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলের গেজেট অসংখ্য ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে ভরা। এটা ভূমি প্রশাসনের অনিচ্ছাকৃত না কিছু মতলববাজ দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তার দুরভিসন্ধিমূলক কারসাজির ফল তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।
৯ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশের তিন শ’ দিনের মধ্যে সম্পত্তির দাবির বিষয়ে আবেদন না করা হলে উক্ত সম্পত্তি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে গেজেটপ্রাপ্তির দুষ্প্রাপ্যতা, দুর্নীতি ও প্রশাসনের দুষ্টচক্রের নানা কারসাজি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের অনাবহিত থাকার কথা বিবেচনা করে এই বিধান অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাস করা হয়েছে যারা আইনের ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগী তাদের সম্পত্তি ফেরত দেয়ার জন্য। এই সম্পত্তি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া এই আইনের উদ্দেশ্যে নয়। এটা বিবেচনা করেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত জেলা কমিটি এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে সকল আদালতের বাৎসরিক ছুটি থাকায় আদালত বন্ধ ছিল। ফলে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত অনেক আবেদনকারী আবেদন দাখিল করতে পারেননি। অথচ আবেদনের সময়সীমা ৩০০ দিন পার হয়ে গেছে অথবা খুব শীঘ্রই সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে বিচারপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করার সময়সীমা যুক্তিসঙ্গত কারণেই বাড়াতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, এএলআরডি, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলন, ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নিজে করি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও এইচডিআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরকার ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলের গেজেট সম্পন্ন করতে না পারায় দু’দফায় গেজেট প্রকাশের সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারপরেও ‘ক’ তফসিলের গেজেট প্রকাশ করা হলেও ‘খ’ তফসিলের গেজেট বহু উপজেলায় এখনও প্রকাশ করা হয়নি কিংবা পাওয়াই যাচ্ছে না। এর ফলে জনগণের ভোগান্তি ও হয়রানি বহুগুণে বেড়েই চলেছে। আইনে বলা হয়েছে, গেজেট প্রকাশের তিন শ’ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগীকে জেলা কমিটি কিংবা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেত হবে। তবে বহু খোঁজাখুঁজি করেও অনেক উপজেলায় ‘খ’ তফসিলের গেজেট ভুক্তভোগী জনগণ পাচ্ছেন না। বিজি প্রেস থেকেও ‘খ’ তালিকার কোন কপি সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই জনগণের ভোগান্তি লাঘবে গেজেট প্রকাশের সময়সীমা না বাড়িয়ে ভুক্তভোগীদের ট্রাইব্যুনাল কিংবা জেলা কমিটিতে আবেদন দাখিল করার সময়সীমা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় তারা ন্যয়বিচারপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলের গেজেট অসংখ্য ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে ভরা। এটা ভূমি প্রশাসনের অনিচ্ছাকৃত না কিছু মতলববাজ দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তার দুরভিসন্ধিমূলক কারসাজির ফল তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।
৯ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশের তিন শ’ দিনের মধ্যে সম্পত্তির দাবির বিষয়ে আবেদন না করা হলে উক্ত সম্পত্তি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে গেজেটপ্রাপ্তির দুষ্প্রাপ্যতা, দুর্নীতি ও প্রশাসনের দুষ্টচক্রের নানা কারসাজি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের অনাবহিত থাকার কথা বিবেচনা করে এই বিধান অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাস করা হয়েছে যারা আইনের ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগী তাদের সম্পত্তি ফেরত দেয়ার জন্য। এই সম্পত্তি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া এই আইনের উদ্দেশ্যে নয়। এটা বিবেচনা করেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত জেলা কমিটি এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে সকল আদালতের বাৎসরিক ছুটি থাকায় আদালত বন্ধ ছিল। ফলে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত অনেক আবেদনকারী আবেদন দাখিল করতে পারেননি। অথচ আবেদনের সময়সীমা ৩০০ দিন পার হয়ে গেছে অথবা খুব শীঘ্রই সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে বিচারপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করার সময়সীমা যুক্তিসঙ্গত কারণেই বাড়াতে হবে।
No comments