আড়াই শ’ বছরের পুরনো ব্যাপক চাহিদা, সুনাম বিদেশেও- গৌরনদীর ঐতিহ্যবাহী দই, মিষ্টি by খোকন আহম্মেদ হীরা
ভোজনবিলাসীদের কাছে বরিশালের গৌরনদীর দই-মিষ্টি ছাড়া রসনা যেন অসমাপ্ত থেকে যায়। ঐতিহ্যগত কারণে ক্রেতাসাধারণের কাছে গৌরনদীর দই-মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। লোভনীয় এ খাবার দেখলে জিভে জল আসে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর।
গৌরনদীর দধি, মিষ্টি ও ঘির ঐতিহ্য এখন শুধু দেশেই নয়; আন্তর্জাতিকভাবেও খ্যাতি অর্জন করেছে। ফলে সুদূর আমেরিকায়ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গৌরনদী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামের প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে পুরো আমেরিকায় গৌরনদী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারটি বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
নতুন জামাইকে আপ্যায়ন, অফিসের বস্কে খুশি কিংবা কোন কাজের তদ্বিরে গৌরনদীর দধি, মিষ্টির বেশ চাহিদা। আড়াই শ‘ বছরের পুরনো দেশের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী এই দধি, মিষ্টি ও ঘির কোন বিকল্প নেই। বিবাহ, বৌভাত, জন্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন তদ্বিরে গৌরনদীর দধির জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন গৌরনদীতে। প্রতিদিন শত শত মণ দধি, মিষ্টি এখান থেকে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, দিনাজপুর, সিলেটসহ বিভিন্নস্থানে যায়। দেশের বাইরেও ব্যাপকভাবে গৌরনদীর দধি, মিষ্টি, ঘির সুনাম রয়েছে। গৌরনদীর দধির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১০/১৫ দিনেও স্বাভাবিক আবহাওয়ায় নষ্ট হয় না। যে কোন যানবাহনে সহজে বহন করা যায়। শুকনো মিষ্টি এক মাসে ও ঘি এক বছরেও নষ্ট হয় না।
চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে অধিক মুনাফার কথা না ভেবে গুণগত মান ও সুনামকে ধরে রাখতে গৌরনদীর ঐতিহ্য দধি-মিষ্টি ও ঘি তৈরি করে আসছেন স্বর্গীয় সুশীল ঘোষ প্রতিষ্ঠিত গৌরনদী বন্দরের শ্রী গুরু মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী বলরাম ঘোষ। সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করায় ইতোমধ্যে বরিশাল জেলার দীর্ঘমেয়াদী সেরা করদাতা হিসেবে একাধিকবার ওই প্রতিষ্ঠানটি পদকপ্রাপ্ত হয়েছে। বলরাম ঘোষ বলেন, বাবার (সুশীল ঘোষের) পাশাপাশি গত ২০ বছর ধরে আমি এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। সম্প্রতি বাবার মৃত্যুর পর আমিই তাঁর পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছি। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সুশীল ঘোষ ১শ’ ২০ প্রকারের লোভনীয় মিষ্টি তৈরি করতে পারতেন। সুশীল ঘোষ বংশপরম্পরায় দীর্ঘ ৫০ বছর সুনামের সঙ্গে এ ব্যবসা করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁরই প্রতিষ্ঠিত গৌরনদী বন্দরের শ্রী গুরু মিষ্টান্ন ভা-ারের সুনাম ধরে রেখেছেন সুশীল ঘোষের পুত্র বলরাম ঘোষ। বর্তমানে তাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ প্রকারের মিষ্টান্ন দ্রব্য তৈরি করা হয়। এর মধ্যে দধি, চমচম, কালোজাম, শুকনো মিষ্টি, লাদেন মিষ্টি, বড় রসগোল্লা, রসমালাই, রশমঞ্জরি, ছানার সন্দেশ, ক্ষীরপুরী, মাওয়া, ছানার জিলাপি উল্লেখযোগ্য।
সূত্র মতে, প্রায় আড়াই শ’ বছর পূর্বে ডাওরী ঘোষ নামের এক ঘোষ গৌরনদীতে তৈরি করেন এ লোভনীয় খাবার। পরবর্তীতে বংশপরম্পরায় গৌরনদীর এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন সুশীল ঘোষ। বর্তমানে সুশীল ঘোষের উত্তরসূরি হিসেবে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন বলরাম ঘোষ। তিনি ঐতিহ্যবাহী দধি, মিষ্টি, ঘি তৈরি করে সারাদেশে সরবরাহ করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
নতুন জামাইকে আপ্যায়ন, অফিসের বস্কে খুশি কিংবা কোন কাজের তদ্বিরে গৌরনদীর দধি, মিষ্টির বেশ চাহিদা। আড়াই শ‘ বছরের পুরনো দেশের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী এই দধি, মিষ্টি ও ঘির কোন বিকল্প নেই। বিবাহ, বৌভাত, জন্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন তদ্বিরে গৌরনদীর দধির জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন গৌরনদীতে। প্রতিদিন শত শত মণ দধি, মিষ্টি এখান থেকে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, দিনাজপুর, সিলেটসহ বিভিন্নস্থানে যায়। দেশের বাইরেও ব্যাপকভাবে গৌরনদীর দধি, মিষ্টি, ঘির সুনাম রয়েছে। গৌরনদীর দধির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১০/১৫ দিনেও স্বাভাবিক আবহাওয়ায় নষ্ট হয় না। যে কোন যানবাহনে সহজে বহন করা যায়। শুকনো মিষ্টি এক মাসে ও ঘি এক বছরেও নষ্ট হয় না।
চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে অধিক মুনাফার কথা না ভেবে গুণগত মান ও সুনামকে ধরে রাখতে গৌরনদীর ঐতিহ্য দধি-মিষ্টি ও ঘি তৈরি করে আসছেন স্বর্গীয় সুশীল ঘোষ প্রতিষ্ঠিত গৌরনদী বন্দরের শ্রী গুরু মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী বলরাম ঘোষ। সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করায় ইতোমধ্যে বরিশাল জেলার দীর্ঘমেয়াদী সেরা করদাতা হিসেবে একাধিকবার ওই প্রতিষ্ঠানটি পদকপ্রাপ্ত হয়েছে। বলরাম ঘোষ বলেন, বাবার (সুশীল ঘোষের) পাশাপাশি গত ২০ বছর ধরে আমি এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। সম্প্রতি বাবার মৃত্যুর পর আমিই তাঁর পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছি। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সুশীল ঘোষ ১শ’ ২০ প্রকারের লোভনীয় মিষ্টি তৈরি করতে পারতেন। সুশীল ঘোষ বংশপরম্পরায় দীর্ঘ ৫০ বছর সুনামের সঙ্গে এ ব্যবসা করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁরই প্রতিষ্ঠিত গৌরনদী বন্দরের শ্রী গুরু মিষ্টান্ন ভা-ারের সুনাম ধরে রেখেছেন সুশীল ঘোষের পুত্র বলরাম ঘোষ। বর্তমানে তাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ প্রকারের মিষ্টান্ন দ্রব্য তৈরি করা হয়। এর মধ্যে দধি, চমচম, কালোজাম, শুকনো মিষ্টি, লাদেন মিষ্টি, বড় রসগোল্লা, রসমালাই, রশমঞ্জরি, ছানার সন্দেশ, ক্ষীরপুরী, মাওয়া, ছানার জিলাপি উল্লেখযোগ্য।
সূত্র মতে, প্রায় আড়াই শ’ বছর পূর্বে ডাওরী ঘোষ নামের এক ঘোষ গৌরনদীতে তৈরি করেন এ লোভনীয় খাবার। পরবর্তীতে বংশপরম্পরায় গৌরনদীর এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন সুশীল ঘোষ। বর্তমানে সুশীল ঘোষের উত্তরসূরি হিসেবে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন বলরাম ঘোষ। তিনি ঐতিহ্যবাহী দধি, মিষ্টি, ঘি তৈরি করে সারাদেশে সরবরাহ করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
No comments