ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন হযরত আলী
প্রাতর্ভ্রমণে বের হওয়া দুই নারীর মুঠোফোন ও চুড়ি ছিনতাই করছিল একদল দুর্বৃত্ত। নিজের চোখে এ দৃশ্য দেখে ইট হাতে নিয়ে প্রতিরোধে নেমেছিলেন হযরত আলী (৪০)। কিন্তু ছিনতাইকারীর ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। গতকাল শুক্রবার সকালে মিরপুর চিড়িয়াখানা সড়কের পাশে রাইনখোলা আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, হযরত আলী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক (সেলস সুপারভাইজার)। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকতেন মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের রাইনখোলায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে সাতটার দিকে প্রবাসী আত্মীয়র নির্মাণাধীন বাড়ি দেখতে এসেছিলেন হযরত আলী। বাসায় ফেরার পথে দেখতে পান, একদল দুর্বৃত্ত কয়েকজন নারীর কাছ থেকে মালামাল ছিনতাই করছে। এ ঘটনা দেখে হাতে একটি ইট নিয়ে প্রতিরোধের জন্য এগোতে থাকেন তিনি। ততক্ষণে ছিনতাইকারীরাও পালানোর জন্য তাঁর দিকেই এগিয়ে আসতে থাকে। কাছাকাছি এলে হযরত আলী হাতের ইট ছুড়তে উদ্যত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে বাঁ পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিচে লুটিয়ে পড়েন। পরে মিরপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছিনতাইয়ের শিকার তৌহিদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ফজরের নামাজের পর তিনি হাঁটতে বের হয়ে পথে দুই নারী প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় সিলভার রঙের একটি প্রাইভেট কার তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে থাকা চার যুবকের তিনজন বের হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ছোরার মুখে তাঁদের জিম্মি করে ফেলে। তাঁরা মুঠোফোন ও হাতের চুড়ি দিয়ে দিলে যুবকেরা গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পথে গুলি করে। তাঁরা সামনে এগিয়ে দেখেন, এক লোক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, এ এলাকায় ছিনতাইয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ঘটনা এ প্রথম। পুলিশের দুটি দল ছিনতাইকারী ধরতে মাঠে নেমেছে।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, হযরত আলীর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের বল্লি গ্রামে।
গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি এলাকায় সরকারদলীয় এক সাংসদের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর মৌলভীবাজারে ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হন মো. বাবুল (৩২) নামের আরেক ছিনতাইকারী। এ ছাড়া চলতি বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে সাতটার দিকে প্রবাসী আত্মীয়র নির্মাণাধীন বাড়ি দেখতে এসেছিলেন হযরত আলী। বাসায় ফেরার পথে দেখতে পান, একদল দুর্বৃত্ত কয়েকজন নারীর কাছ থেকে মালামাল ছিনতাই করছে। এ ঘটনা দেখে হাতে একটি ইট নিয়ে প্রতিরোধের জন্য এগোতে থাকেন তিনি। ততক্ষণে ছিনতাইকারীরাও পালানোর জন্য তাঁর দিকেই এগিয়ে আসতে থাকে। কাছাকাছি এলে হযরত আলী হাতের ইট ছুড়তে উদ্যত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে বাঁ পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিচে লুটিয়ে পড়েন। পরে মিরপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছিনতাইয়ের শিকার তৌহিদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ফজরের নামাজের পর তিনি হাঁটতে বের হয়ে পথে দুই নারী প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় সিলভার রঙের একটি প্রাইভেট কার তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে থাকা চার যুবকের তিনজন বের হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ছোরার মুখে তাঁদের জিম্মি করে ফেলে। তাঁরা মুঠোফোন ও হাতের চুড়ি দিয়ে দিলে যুবকেরা গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পথে গুলি করে। তাঁরা সামনে এগিয়ে দেখেন, এক লোক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, এ এলাকায় ছিনতাইয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ঘটনা এ প্রথম। পুলিশের দুটি দল ছিনতাইকারী ধরতে মাঠে নেমেছে।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, হযরত আলীর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের বল্লি গ্রামে।
গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি এলাকায় সরকারদলীয় এক সাংসদের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর মৌলভীবাজারে ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হন মো. বাবুল (৩২) নামের আরেক ছিনতাইকারী। এ ছাড়া চলতি বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
No comments