সাগরের নতুন কূপ থেকে এপ্রিলেই গ্যাস সরবরাহ!
বঙ্গোপসাগরের ১৬ নম্বর ব্লকে অবস্থিত সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রের বর্তমান প্ল্যাটফর্মের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে নতুন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলীয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সান্তোস। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসের প্রেসিডেন্ট জন চেম্বারস এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, চার হাজার ২০০ মিটার কূপ খননের পর এ গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মেলে। বর্তমান প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
তবে এ গ্যাসের পুরোটা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জানা যায়, সান্তোস বর্তমানে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র থেকে পেট্রোবাংলার কাছে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস বিক্রি করে দুই দশমিক নয় মার্কিন ডলারে। প্রতিষ্ঠানটি আর এ দরে গ্যাস বিক্রি করতে চায় না। সান্তোসের প্রেসিডেন্ট জন চেম্বারস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যে দরে গ্যাস নিতে চায়, তা আমাদের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। কাজেই এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে আরও বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা গত ছয় মাসে বঙ্গোপসাগরে এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে তিনটি কূপ খনন করেছি। একটিতে গ্যাস পাওয়া গেছে। যে গ্যাস পাওয়া গেছে, তা আমাদের খরচের এক-ষষ্ঠাংশও উঠে আসবে না।’
সান্তোসের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) এ বি এ সিরাজউদ্দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম গড়ে ১০ ডলার। বাংলাদেশ সরকার যদি পাঁচ থেকে ছয় ডলারও পরিশোধ করে, তাহলে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে আসবে। আমরাও সরকারের কাছে ওই মূল্য চাইব।’
জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী, নতুন যে গ্যাস পাওয়া গেছে তার অর্ধেক সরাসরি পেট্রোবাংলা পাবে। সান্তোসের কর্মকর্তারা জানান, অবশিষ্ট গ্যাস সর্বোচ্চ বাজার দরে বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ যে দর দিতে সম্মত হবে, সে দরেই বিক্রি করবে তারা। তবে ওই দরে কেনার জন্য সরকারের শর্ত অনুযায়ী, প্রথমে পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে। পেট্রোবাংলা ওই দরে কিনতে সম্মত না হলে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে।
জন চেম্বারস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি একজন ভূতাত্ত্বিক হিসেবে বলতে পারেন বঙ্গোপসাগরে অনেক গ্যাস রয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের চিত্র তুলে ধরে বলেন, গ্যাস পাওয়ার আশায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সাগর উপকূলে হাজার হাজার কূপ খনন করা হয়েছে। এরপর সেসব জায়গায় গ্যাস পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে এ পর্যন্ত মাত্র ১৫টি কূপ খনন করা হয়েছে। পাওয়া গেছে একটি গ্যাসক্ষেত্র। তবে বিবিয়ানা কিংবা তিতাসের মতো বড় গ্যাসক্ষেত্র বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যাবে না দাবি করে তিনি বলেন, হিমালয়ের বেশির ভাগ পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সাগরে যায়। ফলে এখানে গ্যাসের বড় মজুদ থাকলেও তা পানির সঙ্গে সরে গেছে। এখন ছোট মজুদগুলো একত্র করে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।
জানা যায়, সাগরবক্ষে দেশের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গুর ১০টি কূপের মধ্যে নয়টিই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। একটি কূপ থেকে দিনে দুই থেকে তিন মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায়। এটিও যেকোনো সময় পরিত্যক্ত হতে পারে।
তবে এ গ্যাসের পুরোটা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জানা যায়, সান্তোস বর্তমানে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র থেকে পেট্রোবাংলার কাছে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস বিক্রি করে দুই দশমিক নয় মার্কিন ডলারে। প্রতিষ্ঠানটি আর এ দরে গ্যাস বিক্রি করতে চায় না। সান্তোসের প্রেসিডেন্ট জন চেম্বারস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যে দরে গ্যাস নিতে চায়, তা আমাদের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। কাজেই এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে আরও বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা গত ছয় মাসে বঙ্গোপসাগরে এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে তিনটি কূপ খনন করেছি। একটিতে গ্যাস পাওয়া গেছে। যে গ্যাস পাওয়া গেছে, তা আমাদের খরচের এক-ষষ্ঠাংশও উঠে আসবে না।’
সান্তোসের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) এ বি এ সিরাজউদ্দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম গড়ে ১০ ডলার। বাংলাদেশ সরকার যদি পাঁচ থেকে ছয় ডলারও পরিশোধ করে, তাহলে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে আসবে। আমরাও সরকারের কাছে ওই মূল্য চাইব।’
জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী, নতুন যে গ্যাস পাওয়া গেছে তার অর্ধেক সরাসরি পেট্রোবাংলা পাবে। সান্তোসের কর্মকর্তারা জানান, অবশিষ্ট গ্যাস সর্বোচ্চ বাজার দরে বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ যে দর দিতে সম্মত হবে, সে দরেই বিক্রি করবে তারা। তবে ওই দরে কেনার জন্য সরকারের শর্ত অনুযায়ী, প্রথমে পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে। পেট্রোবাংলা ওই দরে কিনতে সম্মত না হলে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে।
জন চেম্বারস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি একজন ভূতাত্ত্বিক হিসেবে বলতে পারেন বঙ্গোপসাগরে অনেক গ্যাস রয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের চিত্র তুলে ধরে বলেন, গ্যাস পাওয়ার আশায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সাগর উপকূলে হাজার হাজার কূপ খনন করা হয়েছে। এরপর সেসব জায়গায় গ্যাস পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে এ পর্যন্ত মাত্র ১৫টি কূপ খনন করা হয়েছে। পাওয়া গেছে একটি গ্যাসক্ষেত্র। তবে বিবিয়ানা কিংবা তিতাসের মতো বড় গ্যাসক্ষেত্র বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যাবে না দাবি করে তিনি বলেন, হিমালয়ের বেশির ভাগ পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সাগরে যায়। ফলে এখানে গ্যাসের বড় মজুদ থাকলেও তা পানির সঙ্গে সরে গেছে। এখন ছোট মজুদগুলো একত্র করে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।
জানা যায়, সাগরবক্ষে দেশের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গুর ১০টি কূপের মধ্যে নয়টিই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। একটি কূপ থেকে দিনে দুই থেকে তিন মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায়। এটিও যেকোনো সময় পরিত্যক্ত হতে পারে।
No comments