হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন-একটি ইতিবাচক কাজ
অনেক নেতিবাচক সংবাদের মধ্যে দু-একটি সুখকর সংবাদও আমরা দেখতে পাই। তেমনি একটি খবর হলো, ২ জানুয়ারি সমন্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন।
সারা দেশে যোগাযোগব্যবস্থার নাজেহাল পরিস্থিতি ও ঢাকায় স্থবির জীবনযাত্রার চলমান সংকটের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধনের পর জনমনে একটি স্বস্তি ও খুশির আমেজ লক্ষ করা গেছে। ৩০২ একর জমির ওপর বিস্তৃত এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেল এলাকা থেকে শুরু করে বেগুনবাড়ী, মগবাজার, গুলশান ও রামপুরা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা। হাতিরঝিলে তৈরি হয়েছে যানবাহন চলাচলের জন্য এক্সপ্রেস রোড, সার্ভিস রোড, দুই প্রান্তে যোগাযোগ সহজ করার নিমিত্তে তৈরি হয়েছে চারটি সুদর্শন ব্রিজ, পথচারীদের চলাচলের জন্য তৈরি হয়েছে প্রায় ৯ কিলোমিটার ফুটপাত এবং লেকের ধারে নির্মিত হয়েছে ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে একদিকে যেমন ঢাকার একটি বিস্তৃত এলাকার যানজটের কিছুটা হলেও নিরসন হবে, তেমনি কর্মজীবী মানুষের একটু খোলা হাওয়া বিচরণের ফুরসতও তৈরি হলো। এ কারণেই প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ব্রিজ, ওয়াকওয়ে দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকেই। বনানী ওভারপাস উদ্বোধনের ছয় দিন পর বুধবার এ প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি সরকারের সফলতা বলেই মনে করা হচ্ছে। নির্বিঘ্নে প্রকল্প প্রায় সমাপ্ত করার জন্য আমরাও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
এ প্রকল্পের সবচেয়ে বড় দিক ছিল দ্রুত বাস্তবায়ন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, এলজিইডির পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনী এ কাজে নিয়োজিত থাকায় দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজের বেশির ভাগ অংশই সম্পন্ন করা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলে দেওয়া হলেও এখনো কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। গুলশান-মেরুল বাড্ডা লিংক রোডের একটি ব্রিজ ও প্রগতি সরণিতে দুটি ইউলুপের কাজ চলছে। ২০১৩ সালের মধ্যেই তা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সে কাজ যেন সমান গতিতেই সম্পন্ন করা হয়, সেদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখা দরকার। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করায় কাজে এখন যেন কোনো ঢিলেমি দেখা না দেয়। শুধু এ প্রকল্পই নয়, কুড়িল উড়াল সড়ক, মেয়র হানিফ উড়াল সড়ক, মিরপুর-বিমানবন্দর উড়াল সড়ক, মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কসহ যেসব কাজ চলছে বা কাজের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, তা যেন নির্বিঘ্নে, হাতিরঝিলের মতোই দ্রুত সম্পন্ন হয়, আমরা সে আশাই করি। উত্তরা ও পল্লবী হয়ে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজও শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জনগণ অধীর অপেক্ষায় রয়েছে এ কাজ কোনো জটিলতা ছাড়াই দ্রুত শুরু হবে, সেই আশায়।
এ প্রকল্পের সবচেয়ে বড় দিক ছিল দ্রুত বাস্তবায়ন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, এলজিইডির পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনী এ কাজে নিয়োজিত থাকায় দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজের বেশির ভাগ অংশই সম্পন্ন করা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলে দেওয়া হলেও এখনো কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। গুলশান-মেরুল বাড্ডা লিংক রোডের একটি ব্রিজ ও প্রগতি সরণিতে দুটি ইউলুপের কাজ চলছে। ২০১৩ সালের মধ্যেই তা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সে কাজ যেন সমান গতিতেই সম্পন্ন করা হয়, সেদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখা দরকার। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করায় কাজে এখন যেন কোনো ঢিলেমি দেখা না দেয়। শুধু এ প্রকল্পই নয়, কুড়িল উড়াল সড়ক, মেয়র হানিফ উড়াল সড়ক, মিরপুর-বিমানবন্দর উড়াল সড়ক, মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কসহ যেসব কাজ চলছে বা কাজের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, তা যেন নির্বিঘ্নে, হাতিরঝিলের মতোই দ্রুত সম্পন্ন হয়, আমরা সে আশাই করি। উত্তরা ও পল্লবী হয়ে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজও শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জনগণ অধীর অপেক্ষায় রয়েছে এ কাজ কোনো জটিলতা ছাড়াই দ্রুত শুরু হবে, সেই আশায়।
No comments