খালেদা জিয়াকে বললেন প্রণব মুখার্জি-তিস্তা চুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের চেষ্টা করছে ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি করতে ভারতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব হলে এই চুক্তি করা হবে। ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি এ কথা বলেছেন বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে।
সফররত ভারতের মন্ত্রী গতকাল রোববার বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তাঁরা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রণব মুখার্জি বলেন, তাঁর দেশ একক কোনো দল বা গোষ্ঠীর সঙ্গে নয়, সব দলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চায়। খালেদা জিয়া বলেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
শমসের মবিন বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে জানতে চান। তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় এ দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় সৃষ্ট বিপর্যয়ের কথা ভারতের অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। জবাবে তিনি তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাঁর সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরেন। এখন পর্যন্ত চুক্তির অগ্রগতির বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতা জানতে চাইলে প্রণব মুখার্জি বলেন, এ নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা চলছে। অগ্রগতি হলে জানানো হবে।
খালেদা জিয়া ভারতের অর্থমন্ত্রীকে বলেন, তাঁদের দেশের নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই একটি সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন-প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে প্রণব মুখার্জি বলেন, ‘এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সাধারণ মানুষ যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে, সেটাই গণতন্ত্রের জন্য ভালো।’
বিএনপির চেয়ারপারসন ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রণব মুখার্জি বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। আলোচনার পর্যায়ে আছে। প্রকল্পটি করার আগে যৌথ নদী কমিশনের আওতায় একটি কমিটি করা হবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে। কমিটি যৌথ সমীক্ষা করে প্রকল্পের কারণে দুই দেশের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, এই কমিটিতে যেন শুধু সরকারের লোক না থাকে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, এই প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। প্রকল্পটি নিয়ে ভারতেও বিরোধিতা চলছে।
সাক্ষাতে ভারতের অর্থমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে বলেন, অস্ত্র ও মাদকসংক্রান্ত কিছু পণ্য ছাড়া বেশির ভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ভারত বাংলাদেশকে দিয়েছে। ফলে সে দেশে বাংলাদেশের পণ্যের ব্যবসা বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রণব মুখার্জি খালেদা জিয়াকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে প্রণব মুখার্জি খালেদা জিয়াকে বলেন, এটি কমিয়ে আনতে তাঁদের সরকার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে। জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, কমানো নয়, এটি বন্ধ করতে হবে। এ ঘটনা ভারত সম্পর্কে এ দেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। দুই নেতাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের কথা বলেন।
আলোচনার সময় শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রণব মুখার্জি বলেন, তাঁর দেশ একক কোনো দল বা গোষ্ঠীর সঙ্গে নয়, সব দলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চায়। খালেদা জিয়া বলেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
শমসের মবিন বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে জানতে চান। তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় এ দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় সৃষ্ট বিপর্যয়ের কথা ভারতের অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। জবাবে তিনি তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাঁর সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরেন। এখন পর্যন্ত চুক্তির অগ্রগতির বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতা জানতে চাইলে প্রণব মুখার্জি বলেন, এ নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা চলছে। অগ্রগতি হলে জানানো হবে।
খালেদা জিয়া ভারতের অর্থমন্ত্রীকে বলেন, তাঁদের দেশের নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই একটি সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন-প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে প্রণব মুখার্জি বলেন, ‘এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সাধারণ মানুষ যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে, সেটাই গণতন্ত্রের জন্য ভালো।’
বিএনপির চেয়ারপারসন ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রণব মুখার্জি বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। আলোচনার পর্যায়ে আছে। প্রকল্পটি করার আগে যৌথ নদী কমিশনের আওতায় একটি কমিটি করা হবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে। কমিটি যৌথ সমীক্ষা করে প্রকল্পের কারণে দুই দেশের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, এই কমিটিতে যেন শুধু সরকারের লোক না থাকে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, এই প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। প্রকল্পটি নিয়ে ভারতেও বিরোধিতা চলছে।
সাক্ষাতে ভারতের অর্থমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে বলেন, অস্ত্র ও মাদকসংক্রান্ত কিছু পণ্য ছাড়া বেশির ভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ভারত বাংলাদেশকে দিয়েছে। ফলে সে দেশে বাংলাদেশের পণ্যের ব্যবসা বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রণব মুখার্জি খালেদা জিয়াকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে প্রণব মুখার্জি খালেদা জিয়াকে বলেন, এটি কমিয়ে আনতে তাঁদের সরকার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে। জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, কমানো নয়, এটি বন্ধ করতে হবে। এ ঘটনা ভারত সম্পর্কে এ দেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। দুই নেতাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের কথা বলেন।
আলোচনার সময় শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ উপস্থিত ছিলেন।
No comments