সনাক ও ইয়েস-এর জাতীয় সম্মেলন শুরু-সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার ডাক
দুর্নীতি ও সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আহ্বান জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল।‘দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে জন-অংশগ্রহণ: অর্জন, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সুলতানা কামাল এ আহ্বান জানান।
টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্টের (ইয়েস) দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন ২০১২-এর অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার—সব ক্ষেত্রে চরম অস্থিরতা। বেশির ভাগ মানুষ আশা হারিয়ে ফেলছে। অনেকেই ভাবছে, এ দেশের কিছু হবে না। কারণ, দুর্নীতি। দুর্নীতি মানে কেবল অর্থনৈতিক দুর্নীতি নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে শুরু করে সব অন্যায়ই দুর্নীতি।
সুলতানা কামাল বলেন, পাখি হয়ে জন্ম নিলে সারা জীবন পাখি হয়ে থাকা যায়, কিন্তু মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। প্রতিদিনের কাজ ও মানবিকতার মধ্য দিয়ে মানুষ হতে হয়। তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সবাই মিলে প্রতিবাদ করলে নিশ্চয়ই অন্যায় ঠেকানো যাবে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থী চেয়েছিলাম। এ জন্য আইনের পরিবর্তন ও সংস্কার করেছিলাম। কিন্তু দলগুলো যে প্রার্থী দিয়েছে, তাঁরা সবাই যোগ্য নন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, ব্যক্তিজীবনে এর চর্চা করতে হবে। সাধারণ মানুষ হিসেবে সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আপনারা কোথাও ঘুষ দেবেন না, কারও কাছ থেকে ঘুষ নেবেন না।’
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন বলেন, দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও দুর্বল করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণকে একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সোচ্চার নাগরিক ও সক্রিয় তরুণসমাজের অনেক ক্ষমতা। দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রাম ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তারা বিরাট শক্তি। তাই তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও টিআইবির থিম সংগীতভিত্তিক কোরিওগ্রাফি প্রদর্শনের পর এ সম্মেলন শুরু হয়। এবারের সনাক ও ইয়েস জাতীয় সম্মেলনকে টিআইবির সাবেক চেয়ারপারসন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য তাঁদের দুজনকেই মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মোজাফ্ফর আহমদের স্ত্রী রওশন জাহান সম্মাননা গ্রহণ করে বলেন, ‘আজ যাঁর এই শপথ পাঠ করানোর কথা ছিল, তিনি নেই। আমি সারা জীবন তাঁকে নির্ভীক ও আশাবাদী মানুষ হিসেবে দেখেছি।’ পরে তিনি অংশগ্রহণকারীদের দুর্নীতিবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপারসন ড. হিউগেট ল্যাবেলের শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে দিনভর আলোচনায় দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সারা দেশের ৪৫টি অঞ্চল থেকে সনাকের সাত শতাধিক সদস্য এ সম্মেলনে যোগ দেন। আজ শনিবার একই স্থানে ইয়েস সম্মেলনে দুই হাজারের বেশি সদস্য অংশ নেবেন।
সুলতানা কামাল বলেন, সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার—সব ক্ষেত্রে চরম অস্থিরতা। বেশির ভাগ মানুষ আশা হারিয়ে ফেলছে। অনেকেই ভাবছে, এ দেশের কিছু হবে না। কারণ, দুর্নীতি। দুর্নীতি মানে কেবল অর্থনৈতিক দুর্নীতি নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে শুরু করে সব অন্যায়ই দুর্নীতি।
সুলতানা কামাল বলেন, পাখি হয়ে জন্ম নিলে সারা জীবন পাখি হয়ে থাকা যায়, কিন্তু মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। প্রতিদিনের কাজ ও মানবিকতার মধ্য দিয়ে মানুষ হতে হয়। তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সবাই মিলে প্রতিবাদ করলে নিশ্চয়ই অন্যায় ঠেকানো যাবে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থী চেয়েছিলাম। এ জন্য আইনের পরিবর্তন ও সংস্কার করেছিলাম। কিন্তু দলগুলো যে প্রার্থী দিয়েছে, তাঁরা সবাই যোগ্য নন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, ব্যক্তিজীবনে এর চর্চা করতে হবে। সাধারণ মানুষ হিসেবে সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আপনারা কোথাও ঘুষ দেবেন না, কারও কাছ থেকে ঘুষ নেবেন না।’
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন বলেন, দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও দুর্বল করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণকে একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সোচ্চার নাগরিক ও সক্রিয় তরুণসমাজের অনেক ক্ষমতা। দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রাম ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তারা বিরাট শক্তি। তাই তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও টিআইবির থিম সংগীতভিত্তিক কোরিওগ্রাফি প্রদর্শনের পর এ সম্মেলন শুরু হয়। এবারের সনাক ও ইয়েস জাতীয় সম্মেলনকে টিআইবির সাবেক চেয়ারপারসন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য তাঁদের দুজনকেই মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মোজাফ্ফর আহমদের স্ত্রী রওশন জাহান সম্মাননা গ্রহণ করে বলেন, ‘আজ যাঁর এই শপথ পাঠ করানোর কথা ছিল, তিনি নেই। আমি সারা জীবন তাঁকে নির্ভীক ও আশাবাদী মানুষ হিসেবে দেখেছি।’ পরে তিনি অংশগ্রহণকারীদের দুর্নীতিবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপারসন ড. হিউগেট ল্যাবেলের শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে দিনভর আলোচনায় দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সারা দেশের ৪৫টি অঞ্চল থেকে সনাকের সাত শতাধিক সদস্য এ সম্মেলনে যোগ দেন। আজ শনিবার একই স্থানে ইয়েস সম্মেলনে দুই হাজারের বেশি সদস্য অংশ নেবেন।
No comments