বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড: তদন্ত বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা পরিবারের- অর্ধেকের বেশি অভিযুক্ত এখনো গ্রেপ্তার হয়নি by কাজী আনিছ
বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনায় নাম আসা অর্ধেকের বেশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শুরুতে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল, হঠাৎ তা থেমে গেছে।
বিশ্বজিতের পরিবারের আশঙ্কা, সবাইকে গ্রেপ্তারে কালক্ষেপণ করা হলে তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে।
এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে তাঁরা গত ৯ ডিসেম্বর পিকেটিং ঠেকাতে গিয়েছিলেন। ওই দুজনের উপস্থিতিতেই বিশ্বজিৎকে কোপানো ও পেটানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জবানবন্দিতে শরীফুল ও সিরাজুলের নাম এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত বা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা দরজি দোকানি বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী কাইয়ুম মিয়া, এস এম কিবরিয়া, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, সাইফুল ইসলাম ও ইমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে রয়েছেন।
জবানবন্দি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত নাম-ছবি অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ হত্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ইউনুছ আলী, রাজন তালুকদার, ওবায়দুল কাদের, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, নূরে আলম, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরও কয়েকজন ছিলেন; যাঁরা এখনো গ্রেপ্তার হননি।
বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, জড়িত অন্য ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। পত্রিকায় দেখছি, বিভিন্ন ঘটনার বড় বড় আসামি ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার বিচার যদি দ্রুত না করা হয়, তবে এই মামলার আসামিরা ছাড়া পাবে না—এ নিশ্চয়তা কে দেবে?’
গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল, শাওন ও নাহিদ গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে তাঁরা বিশ্বজিৎ হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর ইমদাদুল আদালতে জবানবন্দিতে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেকোনো মূল্যে পিকেটিং প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফুল ও সিরাজুল দাবি করেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশ তাঁরা দেননি।
ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, আইনগতভাবে কোনো নির্দিষ্ট অপরাধে কারও নাম এলে ওই অপরাধে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্টতার মাত্রা খতিয়ে দেখা হয় এবং তাকেও নির্দিষ্ট মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রেও যদি তা হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্বজিৎ হত্যার পরদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কামরুল আলম খানকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর অশোক কুমার সাহাকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১২ ও ২০ ডিসেম্বর দুই দফায় সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং দুজনের সনদ বাতিল করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রশংসিতও হয়েছে। তবে অভিযুক্ত অন্যদের বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে ইউনুছ, মামুন, আজিজুর এবং গ্রেপ্তার হওয়া কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে একজন সদস্যের আপত্তির কারণে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত সোমবারও বৈঠক হয়। বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
অশোক কুমার সাহা জানান, কমিটির কাজে কারও চাপ বা আপত্তি নেই। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে তাঁরা গত ৯ ডিসেম্বর পিকেটিং ঠেকাতে গিয়েছিলেন। ওই দুজনের উপস্থিতিতেই বিশ্বজিৎকে কোপানো ও পেটানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জবানবন্দিতে শরীফুল ও সিরাজুলের নাম এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত বা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা দরজি দোকানি বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী কাইয়ুম মিয়া, এস এম কিবরিয়া, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, সাইফুল ইসলাম ও ইমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে রয়েছেন।
জবানবন্দি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত নাম-ছবি অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ হত্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ইউনুছ আলী, রাজন তালুকদার, ওবায়দুল কাদের, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, নূরে আলম, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরও কয়েকজন ছিলেন; যাঁরা এখনো গ্রেপ্তার হননি।
বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, জড়িত অন্য ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। পত্রিকায় দেখছি, বিভিন্ন ঘটনার বড় বড় আসামি ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার বিচার যদি দ্রুত না করা হয়, তবে এই মামলার আসামিরা ছাড়া পাবে না—এ নিশ্চয়তা কে দেবে?’
গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল, শাওন ও নাহিদ গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে তাঁরা বিশ্বজিৎ হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর ইমদাদুল আদালতে জবানবন্দিতে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেকোনো মূল্যে পিকেটিং প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফুল ও সিরাজুল দাবি করেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশ তাঁরা দেননি।
ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, আইনগতভাবে কোনো নির্দিষ্ট অপরাধে কারও নাম এলে ওই অপরাধে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্টতার মাত্রা খতিয়ে দেখা হয় এবং তাকেও নির্দিষ্ট মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রেও যদি তা হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্বজিৎ হত্যার পরদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কামরুল আলম খানকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর অশোক কুমার সাহাকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১২ ও ২০ ডিসেম্বর দুই দফায় সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং দুজনের সনদ বাতিল করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রশংসিতও হয়েছে। তবে অভিযুক্ত অন্যদের বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে ইউনুছ, মামুন, আজিজুর এবং গ্রেপ্তার হওয়া কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে একজন সদস্যের আপত্তির কারণে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত সোমবারও বৈঠক হয়। বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
অশোক কুমার সাহা জানান, কমিটির কাজে কারও চাপ বা আপত্তি নেই। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments