ফুল-জ্যাকারান্ডার স্নিগ্ধ শোভা by মোকারম হোসেন
জ্যাকারান্ডা ফুল নিয়ে সবার কৌতূহলের শেষ নেই। কারণ ফুলটি অনেকের কাছেই অচেনা। ঢাকাসহ সারা দেশে আছে হাতেগোনা কয়েকটি গাছ। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব পাশে এবং সড়ক ভবনের প্রবেশপথের ধারে দুটি পরিণত গাছ ছিল। এখন একটিও নেই।
তবে উদ্যানে ছবির হাট লাগোয়া পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত পথটির পাশে একটি গাছ দেখা যায়। তা ছাড়া তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাঙ্গণ, ধানমন্ডি এলাকাসহ রমনা পার্ক ও মিরপুরের উদ্ভিদ উদ্যানেও কয়েকটি গাছ চোখে পড়ে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরে পরিকল্পিতভাবে জ্যাকারান্ডাগাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে জ্যাকারান্ডার নীলচে বেগুনি রঙের পাশে সিলভার ওকের হলদে সোনালি রং বর্ণবৈচিত্র্য তৈরি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়া জ্যাকারান্ডার শহর নামে পরিচিত। অবশ্য বাণিজ্যিক রাজধানী কেপটাউনেও অসংখ্য জ্যাকারান্ডা রয়েছে। এ গাছ অপেক্ষাকৃত কম শীতের দেশগুলোতে ভালো জন্মায়; আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি ও জাম্বিয়ায় বেশ সহজলভ্য। আলংকরিক বৃক্ষ হিসেবে বর্তমানে সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয় জ্যাকারান্ডা।
জ্যাকারান্ডা Black Poui নামেও পরিচিত। এ গাছ দেশি নয়; জন্ম ব্রাজিলে। এই সুদর্শন গাছটি আমাদের দেশে প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে এলেও ঠিক ততটা বিস্তার লাভ করেনি। প্রধান কারণ হিসেবে জলাবদ্ধতাকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে আমাদের দেশে উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা ঘন ঘন বন্যাকে এই গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা মনে করেন।
জ্যাকারান্ডা (Jakaranda mimosifolia) মাঝারি আকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। কাণ্ড মসৃণ ও হালকা ধূসর রঙের। পাতা চিরল চিরল, কারুকার্যময় ও বিন্যাস বিপ্রতীপ। গ্রীষ্মের প্রথমভাগেই নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। তার পরপরই প্রায়-পাতাহীন ডালের ডগায় গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফুটতে শুরু করে। পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত জ্যাকারান্ডার জৌলুশ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তা ছাড়া এ ফুল চটজলদি ঝরেও পড়ে না। অনেক দিন ধরেই এ শোভা উপভোগ করা যায়। ফুলের রং বেগুনি, দেখতে নলাকার, দুই ইঞ্চি লম্বা। এ গাছের কাঠ দামি ও সুগন্ধি। ভেতরের আঁশ বেগুনি ও কালো রেখায় চিত্রিত। ব্রাজিলে এ গাছের পাতা বক্ষরোগ ও ক্ষতচিকিৎসায় ব্যবহূত হয়। বাকলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন রোগের ওষুধ। দেশের যেসব স্থানে বন্যার পানি জমে না, সেসব স্থানে এবং পাহাড়ি এলাকায় এই গাছ আরও অনেক বেশি পরিমাণে রোপণ করা যায়। ঢাকার কোনো একটি পথের ধারে এক সারি জ্যাকারান্ডা রোপণ করে তার প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা যেতে পারে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরে পরিকল্পিতভাবে জ্যাকারান্ডাগাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে জ্যাকারান্ডার নীলচে বেগুনি রঙের পাশে সিলভার ওকের হলদে সোনালি রং বর্ণবৈচিত্র্য তৈরি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়া জ্যাকারান্ডার শহর নামে পরিচিত। অবশ্য বাণিজ্যিক রাজধানী কেপটাউনেও অসংখ্য জ্যাকারান্ডা রয়েছে। এ গাছ অপেক্ষাকৃত কম শীতের দেশগুলোতে ভালো জন্মায়; আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি ও জাম্বিয়ায় বেশ সহজলভ্য। আলংকরিক বৃক্ষ হিসেবে বর্তমানে সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয় জ্যাকারান্ডা।
জ্যাকারান্ডা Black Poui নামেও পরিচিত। এ গাছ দেশি নয়; জন্ম ব্রাজিলে। এই সুদর্শন গাছটি আমাদের দেশে প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে এলেও ঠিক ততটা বিস্তার লাভ করেনি। প্রধান কারণ হিসেবে জলাবদ্ধতাকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে আমাদের দেশে উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা ঘন ঘন বন্যাকে এই গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা মনে করেন।
জ্যাকারান্ডা (Jakaranda mimosifolia) মাঝারি আকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। কাণ্ড মসৃণ ও হালকা ধূসর রঙের। পাতা চিরল চিরল, কারুকার্যময় ও বিন্যাস বিপ্রতীপ। গ্রীষ্মের প্রথমভাগেই নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। তার পরপরই প্রায়-পাতাহীন ডালের ডগায় গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফুটতে শুরু করে। পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত জ্যাকারান্ডার জৌলুশ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তা ছাড়া এ ফুল চটজলদি ঝরেও পড়ে না। অনেক দিন ধরেই এ শোভা উপভোগ করা যায়। ফুলের রং বেগুনি, দেখতে নলাকার, দুই ইঞ্চি লম্বা। এ গাছের কাঠ দামি ও সুগন্ধি। ভেতরের আঁশ বেগুনি ও কালো রেখায় চিত্রিত। ব্রাজিলে এ গাছের পাতা বক্ষরোগ ও ক্ষতচিকিৎসায় ব্যবহূত হয়। বাকলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন রোগের ওষুধ। দেশের যেসব স্থানে বন্যার পানি জমে না, সেসব স্থানে এবং পাহাড়ি এলাকায় এই গাছ আরও অনেক বেশি পরিমাণে রোপণ করা যায়। ঢাকার কোনো একটি পথের ধারে এক সারি জ্যাকারান্ডা রোপণ করে তার প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা যেতে পারে।
No comments