সাক্ষাৎকার-ধরতে হবে মূল ব্যক্তিকে by বনজ কুমার মজুমদার
প্রথম আলো: নগরে ইয়াবা সরবরাহ বেড়েছে। শহরে এই মাদক প্রবেশ রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে? পুলিশ বিভাগের কেউ কেউ ডগ স্কোয়াড ব্যবহারের কথাও বলেছেন। আপনার অভিমত জানতে চাই। বনজ কুমার মজুমদার: ডগ স্কোয়াড দিয়ে নগরের প্রবেশপথে যানবাহনে তল্লাশি চালানো যেতে পারে।
তবে এতে মাদক পরিবহনকারীরা রুট পরিবর্তন করে নৌ-পথে ইয়াবা পাচার করতে পারে। নগরের প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তার চৌকি আছে। সেখানে শুরুর দিকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ হয়েছিল। সন্ত্রাসীরা অবস্থা বেগতিক দেখে বিকল্পপথে অস্ত্র আনা-নেওয়ার কাজ করছে। নিরাপত্তার চৌকিগুলোতে সেই তুলনায় এখন অস্ত্র ধরা পড়ছে কম। একইভাবে ডগ স্কোয়াড দিয়ে কাজ শুরু করলে সড়কপথে ইয়াবা পরিবহন অনেক কমে যাবে। আমার মতে, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের গোড়ায় হাত দিতে হবে। মূল ব্যক্তি যিনি তাঁকে ধরতে হবে।
প্রথম আলো: আপনি মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ধরার কথা বলছেন। সেটি কেন সম্ভব হচ্ছে না?
বনজ কুমার মজুমদার: ইয়াবা পরিবহন বন্ধ করতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আমি কক্সবাজারের এসপি থাকাকালে এই চক্রের গানটি এম এন আখতারের আরেক অমর সৃষ্টি। যে গানের জনপ্রিয়তা চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন প্রজন্মের অনেক জনপ্রিয় শিল্পী তাঁর গান গেয়েই আসর মাতিয়ে রাখেন। তাঁর লেখা ও সুরে গান গেয়েছেন এ দেশের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পীরা।
শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের অসংখ্য গানের স্রষ্টা এম এন আখতার। তাঁর গান গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, আবিদা সুলতানা, রবি চৌধুরী, রন্টি, সালমা, আবদুল মান্নান রানা, অঞ্জু ঘোষ, কান্তা নন্দী, কল্যাণী ঘোষ, উমাখান, সেলিম নিজামীসহ অনেক গুণী শিল্পী। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত এই শিল্পী শুধু গান নয়, লিখেছেন আঞ্চলিক নাটকও। তাঁর নাটকে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনকাহিনি শৈল্পিকভাবে ফুটে উঠেছে।
কোনো রাষ্ট্রীয় কিংবা বড় প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি হয়তো তিনি পাননি। কিন্তু নিজের সৃজনশীলতায় তিনি লাখো মানুষের হূদয়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল সাংস্কৃতিক অঙ্গন। তাঁরই এক সময়ের সহযাত্রী শিল্পী আবদুল মান্নান রানা বলেন, ‘‘কইলজার ভিতর বাঁধি রাইখ্যম’ গানটা প্রথমে তিনি ও সাবিনা ইয়াসমিন করেছিলেন। পরে আমি যখন গানটি গাইতে চেয়েছিলাম, তখন তিনি সরাসরি আমার অফিসে এসে সাহায্য করেছিলেন। নিজেই আমাকে গানটি তুলে দেন।’
শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ বলেন, ‘আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয়তার পেছনে তাঁর অবদান অবস্মরণীয়। এম এন আখতারের অমূল্য সৃষ্টিগুলো সংরক্ষণ করা উচিত।’
প্রথম আলো: আপনি মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ধরার কথা বলছেন। সেটি কেন সম্ভব হচ্ছে না?
বনজ কুমার মজুমদার: ইয়াবা পরিবহন বন্ধ করতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আমি কক্সবাজারের এসপি থাকাকালে এই চক্রের গানটি এম এন আখতারের আরেক অমর সৃষ্টি। যে গানের জনপ্রিয়তা চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন প্রজন্মের অনেক জনপ্রিয় শিল্পী তাঁর গান গেয়েই আসর মাতিয়ে রাখেন। তাঁর লেখা ও সুরে গান গেয়েছেন এ দেশের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পীরা।
শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের অসংখ্য গানের স্রষ্টা এম এন আখতার। তাঁর গান গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, আবিদা সুলতানা, রবি চৌধুরী, রন্টি, সালমা, আবদুল মান্নান রানা, অঞ্জু ঘোষ, কান্তা নন্দী, কল্যাণী ঘোষ, উমাখান, সেলিম নিজামীসহ অনেক গুণী শিল্পী। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত এই শিল্পী শুধু গান নয়, লিখেছেন আঞ্চলিক নাটকও। তাঁর নাটকে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনকাহিনি শৈল্পিকভাবে ফুটে উঠেছে।
কোনো রাষ্ট্রীয় কিংবা বড় প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি হয়তো তিনি পাননি। কিন্তু নিজের সৃজনশীলতায় তিনি লাখো মানুষের হূদয়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল সাংস্কৃতিক অঙ্গন। তাঁরই এক সময়ের সহযাত্রী শিল্পী আবদুল মান্নান রানা বলেন, ‘‘কইলজার ভিতর বাঁধি রাইখ্যম’ গানটা প্রথমে তিনি ও সাবিনা ইয়াসমিন করেছিলেন। পরে আমি যখন গানটি গাইতে চেয়েছিলাম, তখন তিনি সরাসরি আমার অফিসে এসে সাহায্য করেছিলেন। নিজেই আমাকে গানটি তুলে দেন।’
শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ বলেন, ‘আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয়তার পেছনে তাঁর অবদান অবস্মরণীয়। এম এন আখতারের অমূল্য সৃষ্টিগুলো সংরক্ষণ করা উচিত।’
No comments