বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা জরুরি by নাজিম মৃধা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সব বিতর্কের ঊধর্ে্ব রাখা অতিশয় জরুরি। যে বা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকেন তাদের উচিত নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখা। অথচ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
বিষয়টি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও বুঝতে পারেন, কিন্তু তারা না বোঝার ভান করেন। অথচ তারা কীভাবে প্রশাসন চালাচ্ছেন। তারা যা করছেন সবই সমাজের কাছে স্পষ্ট। এর অবসান জরুরি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২৭৯তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংস্কৃতিকর্মীর ওপর অযাচিত হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তা বিচারের নামে প্রহসনই বটে। বিচারের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে নাকি সংস্কৃতিকর্মীরা আবার আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছেন। আসলে কোনো লাভ নেই। যেখানে দিনদুপুরে বিশ্বজিতকে কুপিয়ে হত্যাকারীদের ত্বরিত শাস্তি না দিয়ে স্বয়ং সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের বাঁচানোর জন্য তারা কে কী দল করে সে বিষয়ে বারবার মিডিয়াতে বক্তব্য দেয়_ সেখানে হামলায় আহত হওয়ার বিচার আর কি পাওয়া যাবে এ দেশে?
নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম আর সন্ত্রাসী লালনের আখড়ায় পরিণত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়_ এমন খবর দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। ২০০৯ সালে বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এসব ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও তার একটিও আলোর মুখ দেখেনি। অনেকের ধারণা, এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে বর্তমান উপাচার্যের কোনো মাথাব্যথা নেই। বর্তমান উপাচার্যের সময়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন প্রায় কয়েক ডজন সাংবাদিক; আহত হয়েছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ একাডেমিক শাস্তি দেওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশবিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। যদিও জনগণ বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের আইনি সুরাহা চান।
সর্বোপরি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষক নিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বায়ত্তশাসিত ও স্বাধীন জায়গায় উন্নত মানসিকতার চর্চা হবে_ এমনটাই কাম্য সব মহলের। তাই এর বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে কোনো রকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দিয়ে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কর্তাব্যক্তিদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।
য়নাজিম মৃধা
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
nazimlawru@gmail.com
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২৭৯তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংস্কৃতিকর্মীর ওপর অযাচিত হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তা বিচারের নামে প্রহসনই বটে। বিচারের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে নাকি সংস্কৃতিকর্মীরা আবার আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছেন। আসলে কোনো লাভ নেই। যেখানে দিনদুপুরে বিশ্বজিতকে কুপিয়ে হত্যাকারীদের ত্বরিত শাস্তি না দিয়ে স্বয়ং সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের বাঁচানোর জন্য তারা কে কী দল করে সে বিষয়ে বারবার মিডিয়াতে বক্তব্য দেয়_ সেখানে হামলায় আহত হওয়ার বিচার আর কি পাওয়া যাবে এ দেশে?
নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম আর সন্ত্রাসী লালনের আখড়ায় পরিণত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়_ এমন খবর দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। ২০০৯ সালে বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এসব ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও তার একটিও আলোর মুখ দেখেনি। অনেকের ধারণা, এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে বর্তমান উপাচার্যের কোনো মাথাব্যথা নেই। বর্তমান উপাচার্যের সময়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন প্রায় কয়েক ডজন সাংবাদিক; আহত হয়েছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ একাডেমিক শাস্তি দেওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশবিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। যদিও জনগণ বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের আইনি সুরাহা চান।
সর্বোপরি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষক নিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বায়ত্তশাসিত ও স্বাধীন জায়গায় উন্নত মানসিকতার চর্চা হবে_ এমনটাই কাম্য সব মহলের। তাই এর বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে কোনো রকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দিয়ে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কর্তাব্যক্তিদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।
য়নাজিম মৃধা
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
nazimlawru@gmail.com
No comments