বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আজ শুরু by মাসুদ রানা
গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগতীরে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দ্বিতীয় পর্বের আমবয়ান শুরু হয়েছে।
গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। ইজতেমায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের স্রোত এখন টঙ্গীর তুরাগতীরে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন।
ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের চারদিকে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে পাঁচ স্তরে নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
মাঠে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পর্যাপ্ত মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনসহ টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরে থাকবে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণে থাকছে দমকল বাহিনী।
মাঠের আশপাশে চলছে মুসল্লিদের অজু, গোসল আর রান্নার আয়োজন। বিভিন্ন রাস্তায় লাঠি হাতে অসংখ্য তাবলিগি স্বেচ্ছাসেবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন জানান, ইজতেমাস্থলে বিদেশি ও সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, আনসার, র্যাব সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রণকক্ষ, সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।
র্যাব-১-এর উপপরিচালক মেজর নিশাদুল ইসলাম জানান, এবারও খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা অবস্থান করবেন। থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম ও পেট্রোল ডিউটি। র্যাব পাঁচটি সেক্টরে তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে। ইজতেমা মাঠের প্রবেশপথে ও আশপাশে অর্ধশতাধিক সিসিটিভিতে সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র ধারণ করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. হাবিবউল্লাহ জানান, দ্বিতীয় পর্বের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমা এলাকায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৫০টির মতো ফ্রি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া হোটেলে খাবারের মান ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্যানিটেশন টিম কাজ করছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপক (টঙ্গী-পশ্চিম) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইজতেমা এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সব প্রস্তুতি রয়েছে। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে মূল ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে যেকোনো একটি গ্রিড অকেজো হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত না হয়। এ ছাড়া ইজতেমা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বিদ্যুৎ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
গাজীপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তফা জানান, ইজতেমা এলাকায় ইতিমধ্যে একই ধরনের ১১টি উৎপাদন নলকূপ সচল রয়েছে। ১২টি নলকূপ থেকে প্রতিদিন ৬৭ লাখ ২০ হাজার গ্যালন পানি সরবরাহ করা যাবে। পুরো ইজতেমা এলাকায় ১১ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে ওই পানি অজু-গোসলের হাউস ও টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় স্থানে সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া টঙ্গী পৌরসভা ও ওয়াসা ইজতেমা এলাকায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, গত পর্বের মতো এবারও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ময়দানে কয়েক লাখ মুসল্লি তাঁদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থায় নিচ্ছেন।
ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের চারদিকে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে পাঁচ স্তরে নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
মাঠে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পর্যাপ্ত মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনসহ টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরে থাকবে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণে থাকছে দমকল বাহিনী।
মাঠের আশপাশে চলছে মুসল্লিদের অজু, গোসল আর রান্নার আয়োজন। বিভিন্ন রাস্তায় লাঠি হাতে অসংখ্য তাবলিগি স্বেচ্ছাসেবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন জানান, ইজতেমাস্থলে বিদেশি ও সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, আনসার, র্যাব সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রণকক্ষ, সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।
র্যাব-১-এর উপপরিচালক মেজর নিশাদুল ইসলাম জানান, এবারও খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা অবস্থান করবেন। থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম ও পেট্রোল ডিউটি। র্যাব পাঁচটি সেক্টরে তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে। ইজতেমা মাঠের প্রবেশপথে ও আশপাশে অর্ধশতাধিক সিসিটিভিতে সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র ধারণ করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. হাবিবউল্লাহ জানান, দ্বিতীয় পর্বের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমা এলাকায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৫০টির মতো ফ্রি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া হোটেলে খাবারের মান ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্যানিটেশন টিম কাজ করছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপক (টঙ্গী-পশ্চিম) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইজতেমা এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সব প্রস্তুতি রয়েছে। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে মূল ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে যেকোনো একটি গ্রিড অকেজো হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত না হয়। এ ছাড়া ইজতেমা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বিদ্যুৎ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
গাজীপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তফা জানান, ইজতেমা এলাকায় ইতিমধ্যে একই ধরনের ১১টি উৎপাদন নলকূপ সচল রয়েছে। ১২টি নলকূপ থেকে প্রতিদিন ৬৭ লাখ ২০ হাজার গ্যালন পানি সরবরাহ করা যাবে। পুরো ইজতেমা এলাকায় ১১ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে ওই পানি অজু-গোসলের হাউস ও টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় স্থানে সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া টঙ্গী পৌরসভা ও ওয়াসা ইজতেমা এলাকায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, গত পর্বের মতো এবারও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ময়দানে কয়েক লাখ মুসল্লি তাঁদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থায় নিচ্ছেন।
No comments