কম বীজে বেশি ফলন-আমনের নতুন জাত 'ব্রি-ধান ৪৯' by মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন,
আমন ধানের নতুন জাত 'ব্রি-ধান ৪৯'। পরীক্ষামূলক চাষে কম বীজে অধিক উৎপাদনের সফলতা পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় নতুন এ জাতের ধান পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে এ জাতের ধান উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে সাত টন। অন্যান্য জাতের তুলনায় এর পরিমাণ প্রায় দেড় থেকে দুই টন বেশি।
মিরসরাইয়ের ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মধ্যম আজমনগর গ্রামের কৃষক মনির আহমদ চাষ করেন 'ব্রি-ধান ৪৯'।
মিরসরাইয়ের ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মধ্যম আজমনগর গ্রামের কৃষক মনির আহমদ চাষ করেন 'ব্রি-ধান ৪৯'।
গতকাল তাঁর সোনালী মাঠে প্রথম ধান কাটা শুরু হয়েছে। নতুন জাতের এ বীজে কী পরিমাণ ফলন হচ্ছে_তা পরীক্ষা করতে প্রথমে ২০ বর্গমিটার এলাকার ধান কাটা হয়। পরিমাপ করে দেখা যায়, এই আয়তনের জমিতে উৎপাদিত ধানের পরিমাণ ১৫ কেজি। সেই হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে এ জাতের ধান হবে প্রায় সাড়ে সাত টন। অন্যান্য বীজে সমপরিমাণ জমিতে ধান উৎপাদন হতো সর্বোচ্চ ছয় টন।
গতকাল সকালে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠে নতুন জাতের ধান কাটা উদ্বোধন করেন। এরপর পাশের আরেকটি জমিতে উদ্বুদ্ধকরণ সভায় নতুন জাতটি সম্পর্কে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা। স্থানীয় কৃষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক শামছুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজধানীর খামারবাড়ীর অতিরিক্ত পরিচালক আবদুল কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন খামারবাড়ীর উপপরিচালক পীযূষ কান্তি সরকার, চট্টগ্রামের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ প্রণব ভট্টাচার্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, সুষম সারে বেশি ফলন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তৈমুর হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী।
নতুন জাতের বীজটি ব্যবহারে কৃষক অধিক লাভবান হবেন উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক তৈমুর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ব্রি-ধান ৪৯' ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ উদ্ভাবন। পরীক্ষামূলকভাবে নতুন জাতটি চাষ করা হলো। সুষমভাবে সার প্রয়োগের মাধ্যমে কম বীজে অধিক পরিমাণ ধান ফলন করা সম্ভব হবে।
৪৫ বছরের কৃষক জীবনে মনির আহমদ নানা জাতের ধান চাষ করেছেন। কিন্তু সর্বনিম্ন ব্যয়ে সর্বাধিক ফলন এর আগে অন্য কোনো জাতের বীজে তিনি পাননি। তিনি বলেন, 'নতুন বীজ সম্পর্কে প্রথমত আমি বুঝতে পারিনি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বীজ, কীটনাশক সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা পেয়েছি।' ২৪ শতক জমিতে চাষ করতে নতুন এ জাতের বীজ প্রয়োজন হয়েছে তিন কেজি। এর আগের বছর একই পরিমাণ জমিতে চাষ করতে 'বিআর ১১' জাতের বীজ প্রয়োজন হয়েছিল ছয় কেজি। ওই জাতের বীজে তিনি উৎপাদন করেছিলেন ৪৪২ কেজি (৩৪ আড়ি; স্থানীয়ভাবে প্রতি আড়ি ধানের পরিমাণ ১৩ কেজি) ধান। নতুন জাতের বীজে আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ধান পাবেন বলে আশা করছেন মনির আহমদ।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, মনির আহমদের জমিতে নতুন জাতের বীজটি ব্যবহার করার সময় ২০ কেজি করে ইউরিয়া ও টিএসপি সার, ২৫ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি জিপসাম, এক কেজি দস্তা এবং ৩০ কেজি ডলোলাইম ব্যবহার করা হয়েছে। ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে ২০০ কেজিরও বেশি পরিমাণ 'ব্রি-ধান ৪৯' জাতের বীজ এনে রাখা হয়েছে মিরসরাইয়ের কৃষকদের জন্য।
গতকাল সকালে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠে নতুন জাতের ধান কাটা উদ্বোধন করেন। এরপর পাশের আরেকটি জমিতে উদ্বুদ্ধকরণ সভায় নতুন জাতটি সম্পর্কে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা। স্থানীয় কৃষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক শামছুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজধানীর খামারবাড়ীর অতিরিক্ত পরিচালক আবদুল কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন খামারবাড়ীর উপপরিচালক পীযূষ কান্তি সরকার, চট্টগ্রামের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ প্রণব ভট্টাচার্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, সুষম সারে বেশি ফলন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তৈমুর হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী।
নতুন জাতের বীজটি ব্যবহারে কৃষক অধিক লাভবান হবেন উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক তৈমুর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ব্রি-ধান ৪৯' ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ উদ্ভাবন। পরীক্ষামূলকভাবে নতুন জাতটি চাষ করা হলো। সুষমভাবে সার প্রয়োগের মাধ্যমে কম বীজে অধিক পরিমাণ ধান ফলন করা সম্ভব হবে।
৪৫ বছরের কৃষক জীবনে মনির আহমদ নানা জাতের ধান চাষ করেছেন। কিন্তু সর্বনিম্ন ব্যয়ে সর্বাধিক ফলন এর আগে অন্য কোনো জাতের বীজে তিনি পাননি। তিনি বলেন, 'নতুন বীজ সম্পর্কে প্রথমত আমি বুঝতে পারিনি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বীজ, কীটনাশক সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা পেয়েছি।' ২৪ শতক জমিতে চাষ করতে নতুন এ জাতের বীজ প্রয়োজন হয়েছে তিন কেজি। এর আগের বছর একই পরিমাণ জমিতে চাষ করতে 'বিআর ১১' জাতের বীজ প্রয়োজন হয়েছিল ছয় কেজি। ওই জাতের বীজে তিনি উৎপাদন করেছিলেন ৪৪২ কেজি (৩৪ আড়ি; স্থানীয়ভাবে প্রতি আড়ি ধানের পরিমাণ ১৩ কেজি) ধান। নতুন জাতের বীজে আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ধান পাবেন বলে আশা করছেন মনির আহমদ।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, মনির আহমদের জমিতে নতুন জাতের বীজটি ব্যবহার করার সময় ২০ কেজি করে ইউরিয়া ও টিএসপি সার, ২৫ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি জিপসাম, এক কেজি দস্তা এবং ৩০ কেজি ডলোলাইম ব্যবহার করা হয়েছে। ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে ২০০ কেজিরও বেশি পরিমাণ 'ব্রি-ধান ৪৯' জাতের বীজ এনে রাখা হয়েছে মিরসরাইয়ের কৃষকদের জন্য।
No comments