এখনও আতঙ্কে থাকেন মুম্বাইবাসী
মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তিন বছর পূর্তি হলো গতকাল শনিবার। সেদিনের কথা স্মরণ করে এখনও আঁতকে ওঠেন মুুম্বাইয়ের মানুষ। ২৬/১১ হিসেবে পরিচিত ২০০৮ সালের এই দিনে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ১৬৬ নিরীহ ব্যক্তি। সেই ঘটনার তিন বছর পরও বিচার পাননি ভুক্তভোগীরা।হামলার তিন বছর পূর্তিতে ঘটনার হোতাদের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় আনতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা বলেন, 'এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের হোতাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করার মতো যথেষ্ট প্রমাণাদি পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে। আমরা পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।' তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার বানানোর স্থান নেই। এটি ধ্বংসাত্মক। খবর এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া। মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত আসামি আজমল আমির কাসাবের ফাঁসি কার্যকর হয়নি এখনও। কাসাবের পেছনে গত তিন বছরে মহারাষ্ট্র সরকারের ব্যয় প্রায় ১৮ কোটি রুপি। মহারাষ্ট্রের আর্থার রোড জেলে বন্দি কাসাবের জন্য বিশেষ সেল নির্মাণ, অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন, খাবার ও চিকিৎসার পেছনে এ পরিমাণ ব্যয় হয়েছে। সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও কাসাবের পেছনে ব্যয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র বিভাগ। কাসাবের দণ্ড কার্যকর না হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ এ হামলায় ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী দেবিকা রতনের প্রশ্ন, 'এখনও কাসাবকে কেন ফাঁসি দেওয়া হয় না? আমরা কি আরও একটি ২৬/১১ ধরনের হামলার জন্য অপেক্ষা করছি?' কাসাবের দণ্ড কার্যকর না হওয়ায় মুম্বাই হামলায় স্বামী হারানো কল্পনা সাহাও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, 'তিন বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও আমরা বিচার পাইনি।'
মুম্বাই হামলার মতো ঘটনার পর উপকূলের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত।
উপকূলবর্তী স্থানীয় জেলেদের সংগঠনের মতে, পাকিস্তানের ১০ সন্ত্রাসী একটি ছোট নৌকায় চড়ে ভারতে এসেছিল। উপকূল এতই অরক্ষিত যে, তারা আরও বড় মাত্রায় এখানে আসতে পারে।
মুম্বাই হামলা নিয়ে অবহেলার এখানেই শেষ নয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় যেসব প্রভাবশালী রাজনীতিবিদকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, তিন বছর পর তারা এখন আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর কাসাবসহ ১০ সশস্ত্র ব্যক্তি মুম্বাইয়ে ওই ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ১৬৬ ব্যক্তি নিহত হয়। বিশেষ আদালত কাসাবকে মৃত্যুদ দেন। ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ আদেশ বহাল রাখেন। ২০১১ সালের ৩০ জুলাই হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে কাসাব। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
ভুক্তভোগী দেবিকা রতনের প্রশ্ন, 'এখনও কাসাবকে কেন ফাঁসি দেওয়া হয় না? আমরা কি আরও একটি ২৬/১১ ধরনের হামলার জন্য অপেক্ষা করছি?' কাসাবের দণ্ড কার্যকর না হওয়ায় মুম্বাই হামলায় স্বামী হারানো কল্পনা সাহাও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, 'তিন বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও আমরা বিচার পাইনি।'
মুম্বাই হামলার মতো ঘটনার পর উপকূলের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত।
উপকূলবর্তী স্থানীয় জেলেদের সংগঠনের মতে, পাকিস্তানের ১০ সন্ত্রাসী একটি ছোট নৌকায় চড়ে ভারতে এসেছিল। উপকূল এতই অরক্ষিত যে, তারা আরও বড় মাত্রায় এখানে আসতে পারে।
মুম্বাই হামলা নিয়ে অবহেলার এখানেই শেষ নয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় যেসব প্রভাবশালী রাজনীতিবিদকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, তিন বছর পর তারা এখন আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর কাসাবসহ ১০ সশস্ত্র ব্যক্তি মুম্বাইয়ে ওই ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ১৬৬ ব্যক্তি নিহত হয়। বিশেষ আদালত কাসাবকে মৃত্যুদ দেন। ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ আদেশ বহাল রাখেন। ২০১১ সালের ৩০ জুলাই হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে কাসাব। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
No comments