বিশ্বমানের বিমানবন্দর বিশাল জলরাশি পাহাড় বন- পর্যটন নগরী কক্সবাজার-শেষ
মেরিন ড্রাইভওয়ে আর আনত্মর্জর্াতিক বিমানবন্দর_ বিশ্বের সেরা পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্টমার্টিনকে ঘিরে।
মেরিন ড্রাইভওয়ের কারণে একদিকে সুলভে, স্বল্প সময়ে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যনত্ম বিশ্বের দর্ীঘতম অভগ্ন সমুদ্রসৈকত দেখার অবারিত সুযোগ; অন্যদিকে কক্সবাজারে আনত্মর্জাতিকমানের নির্মর্াণাধীন বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াতের ৰেত্রে মানসম্মত সেবাপ্রাপ্তি উন্মোচিত করতে যাচ্ছে সেখানে পর্যটনের নতুন দ্বার। আগামী দুই বছরের মধ্যে এ দু'টির পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। সংশিস্নষ্টরা বলছেন, বিমানবন্দর ও মেরিন ড্রাইভওয়ে যোগাযোগে আনবে নতুন মাত্রা। স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতেও যুগানত্মকারী ভূমিকা রাখবে।সংশিস্নষ্টরা জানান, শুধু পর্যটন বিকাশ আর কক্সবাজার-টেকনাফের বিকল্প সড়ক নয়, আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে মেরিন ড্রাইভওয়ে টেকনাফ রিজার্ভ ফরেস্ট হতে বনজ সম্পদ ও বঙ্গোপসাগর হতে সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য সম্পদ আহরণ ও পরিবহনে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন, আমরা সতেরো বছর ধরে এ জন্য অপো করছি। যত দ্রম্নত মেরিন ড্রাইভের কাজ শেষ হবে, তত তাড়াতাড়ি সেখানে পর্যটনসহ অন্যান্য ৰেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে; যা জাতীয় অর্থনীতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যেতে বামপাশে সুবিশাল জলরাশি আর ডানদিকে সুউচ্চ পাহাড়, বন অপূর্ব মাধুর্য তৈরি করে মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। যান্ত্রিক কোলাহলের বাইরে এ যেন অন্য এক জগত। শুধু এ পথেই সমুদ্রসৈকত বিচিত্র রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে। মেরিন ড্রাইভওয়ে ধরে দু'ঘণ্টাব্যাপী চলার পথে কখনও জলের পাশে শুধু রূপালি বালির সৈকত, কখনও ছোট পাথরবেষ্টিত সৈকত, কখনও বড় পাথর, কখনও সূচালো পাথর চলে এসেছে সৈকতের শেষ প্রানত্ম পর্যনত্ম।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী জি এম কাদের জনকণ্ঠকে বলেন, মেরিন ড্রাইভওয়ে নিমর্াণের কাজ দু্রত শেষ হতে যাচ্ছে। এ সড়কটি হলে পর্যটনের ৰেত্রে এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। একদিকে দেশী-বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে, অন্যদিকে এ খাতে বিনিয়োগও বাড়বে।
কক্সবাজারের বাস টার্মিনালের মতো ছোট ও সুযোগসুবিধা বঞ্চিত বিমানবন্দরটি আধুনিক বিমানবন্দরে পরিণত হতে যাচ্ছে। ডেভেলপমেন্ট অব কক্সবাজার এ্যায়াপোর্ট নামে সিভিল এ্যাভিয়েশনের ৩০২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরম্ন হবে চলতি বছরই। শেষ হবে ২০১২ সালের জুন মাসে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈঘর্্য ও প্রস্থ বাড়িয়ে তাতে বোয়িং ও জাম্বো জেট নামানোর উপযোগী করা হবে। বর্তমানে রানওয়ের দৈঘর্্য ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২৫ ফুট। নতুন পরিকল্পনায় তা বাড়িয়ে দৈঘ্যর্ে ১০ হাজার ফুট এবং প্রস্থে ২০০ ফুট করা হবে। বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের পিসিএম হচ্ছে ১৯। বড় উড়োজাহাজ নামার জন্য একেবারেই তা উপযোগী নয়। বড় উড়োজাহাজের জন্য রানওয়ের ভিত ৬০ থেকে ৭০ পিসিএম মানের হতে হয়। নতুন পরিকল্পনায় পিসিএম বাড়িয়ে ৭০ করা হচ্ছে; যা ঢাকা ও চট্টগ্রামের চেয়েও বেশি। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পিসিএম মান ৬৬ এবং জিয়া আনত্মর্জাতিক বিমানবন্দরের পিসিএম ৬৫। সূত্র জানায়, দু'টি পযর্ায়ে বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে করা হবে রানওয়েসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার উন্নয়ন। এর পর করা হবে টার্মিনাল ভবনের উন্নয়ন। বর্তমানে যে টার্মিনাল ভবনটি রয়েছে তা সরিয়ে নেয়া হবে পশ্চিম দিকে।
No comments