সাহায্যের অর্থে লাভবান হচ্ছে করপোরেট প্রতিষ্ঠান!
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আফ্রিকার দেশগুলোকে ব্রিটেন যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, তা উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারছে না। সহায়তার অর্থ আসলে বড় ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে চলে যাচ্ছে।
উন্নয়নের পক্ষে প্রচার চালানো ব্রিটিশ এনজিও ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (ডাব্লিউডিএম) এ তথ্য জানিয়েছে।
দোহায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে গরিব দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তার অঙ্গীকার করেছে ব্রিটেন। সে অনুযায়ী আগামী দুই বছরে ২০০ কোটি পাউন্ড দেবে তারা। তবে ডাব্লিউডিএম দাবি করছে, এ অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর হাতে পেঁৗছাবে না; বরং বড় আকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোই এর ফায়দা লুটবে। উদাহরণ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের হাত হয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে এনজিওটি। প্রকল্পটি ছিল, ৩৮ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের। ডাব্লিউডিএম জানায়, বায়ুকলের টারবাইন ও সৌরচুলি্লর প্যানেল তৈরির জন্য ব্যক্তিমালিকানার কম্পানিগুলোই এ অর্থের বেশির ভাগ খরচ করে। মেক্সিকোর ওয়াহাকা রাজ্যের একটি টারবাইন প্রস্তুতকারী কম্পানি প্রায় এক কোটি পাউন্ড পায়। আর স্থানীয় লোকজনের পরিবর্তে এ টারবাইনগুলো থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় সবটাই ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট।
আফ্রিকায় সৌর প্যানেল তৈরির একটি প্রকল্পে ব্রিটেন আরো প্রায় ১৫ কোটি পাউন্ড সহায়তা দিয়েছে। ডাব্লিউডিএমের নীতিনির্ধারণবিষয়ক কর্মকর্তা অ্যালেক্স স্ক্রিভেনার আশঙ্কা করছেন, এ সহায়তার বড় একটি অংশও ব্যক্তিমালিকানাধীন কম্পানিগুলোর হাতে চলে যাবে। তিনি বলেন, 'ব্রিটিশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য আর্থিক সাহায্যের অঙ্গীকার পালন করছে, এটা ভালো কথা; কিন্তু অর্থ খরচের ব্যাপারে তারা আগের মতোই ভুল পথে চলছে বলে মনে হচ্ছে। সাহায্যের বেশির ভাগ অর্থই এমন সব প্রকল্পে যাচ্ছে, যেখানে গরিবদের পরিবর্তে বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হচ্ছে। বড় কম্পানিগুলোকে প্রকল্পে যুক্ত করার প্রবণতা ব্রিটেন যদি ছাড়তে না পারে, তাহলে গরিবদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো তহবিল সংকটে পড়বে।'
ব্রিটেনের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী গ্রেগ বার্কার জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব মোকাবিলা করতে গরিব জনগোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রাখবেন তাঁরা; কিন্তু ব্যক্তিমালিকানার কম্পানিগুলোর মাধ্যমে এই সহায়তার অর্থ পাঠানো হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি ব্রিটেনের অর্থনীতিও লাভবান হয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান।
দোহায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে গরিব দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তার অঙ্গীকার করেছে ব্রিটেন। সে অনুযায়ী আগামী দুই বছরে ২০০ কোটি পাউন্ড দেবে তারা। তবে ডাব্লিউডিএম দাবি করছে, এ অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর হাতে পেঁৗছাবে না; বরং বড় আকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোই এর ফায়দা লুটবে। উদাহরণ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের হাত হয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে এনজিওটি। প্রকল্পটি ছিল, ৩৮ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের। ডাব্লিউডিএম জানায়, বায়ুকলের টারবাইন ও সৌরচুলি্লর প্যানেল তৈরির জন্য ব্যক্তিমালিকানার কম্পানিগুলোই এ অর্থের বেশির ভাগ খরচ করে। মেক্সিকোর ওয়াহাকা রাজ্যের একটি টারবাইন প্রস্তুতকারী কম্পানি প্রায় এক কোটি পাউন্ড পায়। আর স্থানীয় লোকজনের পরিবর্তে এ টারবাইনগুলো থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় সবটাই ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট।
আফ্রিকায় সৌর প্যানেল তৈরির একটি প্রকল্পে ব্রিটেন আরো প্রায় ১৫ কোটি পাউন্ড সহায়তা দিয়েছে। ডাব্লিউডিএমের নীতিনির্ধারণবিষয়ক কর্মকর্তা অ্যালেক্স স্ক্রিভেনার আশঙ্কা করছেন, এ সহায়তার বড় একটি অংশও ব্যক্তিমালিকানাধীন কম্পানিগুলোর হাতে চলে যাবে। তিনি বলেন, 'ব্রিটিশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য আর্থিক সাহায্যের অঙ্গীকার পালন করছে, এটা ভালো কথা; কিন্তু অর্থ খরচের ব্যাপারে তারা আগের মতোই ভুল পথে চলছে বলে মনে হচ্ছে। সাহায্যের বেশির ভাগ অর্থই এমন সব প্রকল্পে যাচ্ছে, যেখানে গরিবদের পরিবর্তে বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হচ্ছে। বড় কম্পানিগুলোকে প্রকল্পে যুক্ত করার প্রবণতা ব্রিটেন যদি ছাড়তে না পারে, তাহলে গরিবদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো তহবিল সংকটে পড়বে।'
ব্রিটেনের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী গ্রেগ বার্কার জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব মোকাবিলা করতে গরিব জনগোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রাখবেন তাঁরা; কিন্তু ব্যক্তিমালিকানার কম্পানিগুলোর মাধ্যমে এই সহায়তার অর্থ পাঠানো হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি ব্রিটেনের অর্থনীতিও লাভবান হয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান।
No comments