ভারতে ভিআইপি চলাচলে রাস্তা বন্ধের সমালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট
রশাসন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করায় প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। রাস্তায় শত শত যান আটকা পড়ায় তৈরি হয় অসহনীয় যানজট। ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করার এ চর্চার কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
গুরুত্বের ভিত্তিতে ভারতে ব্যক্তিবিশেষের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। এই ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে, জেড প্লাস, জেড, ওয়াই ও এক্স। এর মধ্যে জেড প্লাস সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারিকে দেওয়া জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়। গত সোমবার আদালতে বিচারপতি জিএস সিংভি ও বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিস্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ওই আবেদনের শুনানি হয়। আদালত সমালোচনা করে বলেন, ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজে যদি অনেক বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা অদ্ভুদ ঘটনা যে দাগী অপরাধীর নিরাপত্তার দায়িত্বেও অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ভিআইপিদের যাতায়াতের কারণে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তার উদাহরণ টেনে আদালত বলেন, গুরুতর আহত কোনো ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন। তবে ভিআইপির জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ সময় ওই রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার স্বজনরা পুলিশকে বললে তারা শুধু দুঃখ প্রকাশ করে। কিন্তু রোগী তো মা-বাবার একমাত্র সন্তান হতে পারে এবং সিগন্যালে পড়ে সে মারাও যেতে পারে। আদালত আবেদনকারীর আইনজীবীকে এ বিষয়ে আরো তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে বলেছেন। এ বিষয়ে আগামী জানুয়ারিতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারিকে দেওয়া জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়। গত সোমবার আদালতে বিচারপতি জিএস সিংভি ও বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিস্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ওই আবেদনের শুনানি হয়। আদালত সমালোচনা করে বলেন, ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজে যদি অনেক বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা অদ্ভুদ ঘটনা যে দাগী অপরাধীর নিরাপত্তার দায়িত্বেও অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ভিআইপিদের যাতায়াতের কারণে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তার উদাহরণ টেনে আদালত বলেন, গুরুতর আহত কোনো ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন। তবে ভিআইপির জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ সময় ওই রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার স্বজনরা পুলিশকে বললে তারা শুধু দুঃখ প্রকাশ করে। কিন্তু রোগী তো মা-বাবার একমাত্র সন্তান হতে পারে এবং সিগন্যালে পড়ে সে মারাও যেতে পারে। আদালত আবেদনকারীর আইনজীবীকে এ বিষয়ে আরো তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে বলেছেন। এ বিষয়ে আগামী জানুয়ারিতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments