কমিউনিটি ক্লিনিক-বাসিন্দাদের বাদ দিয়ে অন্য উপজেলার লোক নিয়োগ! by প্রণব বল
শর্ত ভঙ্গ করে চট্টগ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ১২৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও দুজন চাকরি পেয়েছেন। পরে বিষয়টি ধরা পড়ায় ওই দুজনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তবে ১২৪ জনের বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত সিএইচসিপি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান শর্ত হিসেবে উল্লেখ ছিল ‘আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক এবং একই ইউনিয়নের (ওয়ার্ড/পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের) স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।’ কিন্তু এই ১২৪ জন বাইরের ইউনিয়ন এমনকি আরেক উপজেলা থেকে এসে নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাইরের উপজেলা কিংবা অন্য ইউনিয়ন থেকে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান অনিয়মিত হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রামের দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক বলেন, ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেবা দ্রুততর করার জন্য। এখন অন্য উপজেলা থেকে এসে তাঁরা স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১৩ হাজার ৫০০ জনকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামে ওই পদের জন্য ৫০০ জন নির্বাচিত হন। পরে যোগদান করার সময় দেখা যায় এর মধ্যে ১২৪ জনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হয় শর্ত ভঙ্গ করে।
জানা গেছে, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে নিজ নিজ ইউনিয়নের জন্য আবেদনকারীরা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প পরিচালকের ঢাকার দপ্তর থেকে তাঁদের বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়োগ বা যোগদানপত্র পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমাদের এখানে পরীক্ষার পর কে কোন ইউনিয়নে চাকরি করবেন, তা নির্ধারণ করে ঢাকা থেকে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। পরে যোগদান করতে এলে ১২৪ জনের বিষয়টি আমাদের হাতে ধরা পড়ে। এর পর আমরা তা প্রকল্প পরিচালক বরাবরে জানাই। এখন পরিচালকের নির্দেশে তাঁদের বেতন-ভাতা স্থগিত রয়েছে।’
পরে তাঁদের নিজ নিজ ইউনিয়ন কিংবা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে সমন্বয় করা যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, নির্বাচিত ৫০০ সিএইচসিপির যোগদানের শেষ সময় ছিল গত ৩০ অক্টোবর। পরদিন শর্ত লঙ্ঘন করা ১২৪ জনের যোগদানপত্র গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে প্রকল্প পরিচালকের বরাবরে লেখা হয়। এরপর পুনরায় তাঁদের যোগদানপত্র ও বেতন-ভাতা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠায় সিভিল সার্জন কার্যালয়।
পরে গত ১১ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মাখদুমা নার্গিস স্বাক্ষরিত ফিরতি চিঠিতে বলা হয়, ‘১২৪ জন প্রার্থী পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা ইউনিয়ন হতে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’ একই চিঠিতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও নিয়োগ পাওয়া দুজনের নিয়োগপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এই দুজন হচ্ছেন সন্দ্বীপের সাইফুল ইসলাম ও সীমা চৌধুরী। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগদান করতে আসার পর তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তা পরিচালক বরাবরে অবহিত করা হয়।
জানা গেছে, ১২৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সন্দ্বীপের। এই উপজেলায় যোগদান করা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জনই বাইরের উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে। এ ছাড়া ফটিকছড়িতে ১৯ জন, হাটহাজারীতে ১৭ জন ও পটিয়ায় ১০ জন অন্য উপজেলা বা ইউনিয়ন থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘১২৪ জনের বিষয়টা আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে তাদের (প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের) সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রামের দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক বলেন, ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেবা দ্রুততর করার জন্য। এখন অন্য উপজেলা থেকে এসে তাঁরা স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১৩ হাজার ৫০০ জনকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামে ওই পদের জন্য ৫০০ জন নির্বাচিত হন। পরে যোগদান করার সময় দেখা যায় এর মধ্যে ১২৪ জনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হয় শর্ত ভঙ্গ করে।
জানা গেছে, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে নিজ নিজ ইউনিয়নের জন্য আবেদনকারীরা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প পরিচালকের ঢাকার দপ্তর থেকে তাঁদের বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়োগ বা যোগদানপত্র পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমাদের এখানে পরীক্ষার পর কে কোন ইউনিয়নে চাকরি করবেন, তা নির্ধারণ করে ঢাকা থেকে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। পরে যোগদান করতে এলে ১২৪ জনের বিষয়টি আমাদের হাতে ধরা পড়ে। এর পর আমরা তা প্রকল্প পরিচালক বরাবরে জানাই। এখন পরিচালকের নির্দেশে তাঁদের বেতন-ভাতা স্থগিত রয়েছে।’
পরে তাঁদের নিজ নিজ ইউনিয়ন কিংবা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে সমন্বয় করা যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, নির্বাচিত ৫০০ সিএইচসিপির যোগদানের শেষ সময় ছিল গত ৩০ অক্টোবর। পরদিন শর্ত লঙ্ঘন করা ১২৪ জনের যোগদানপত্র গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে প্রকল্প পরিচালকের বরাবরে লেখা হয়। এরপর পুনরায় তাঁদের যোগদানপত্র ও বেতন-ভাতা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠায় সিভিল সার্জন কার্যালয়।
পরে গত ১১ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মাখদুমা নার্গিস স্বাক্ষরিত ফিরতি চিঠিতে বলা হয়, ‘১২৪ জন প্রার্থী পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা ইউনিয়ন হতে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’ একই চিঠিতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও নিয়োগ পাওয়া দুজনের নিয়োগপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এই দুজন হচ্ছেন সন্দ্বীপের সাইফুল ইসলাম ও সীমা চৌধুরী। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগদান করতে আসার পর তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তা পরিচালক বরাবরে অবহিত করা হয়।
জানা গেছে, ১২৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সন্দ্বীপের। এই উপজেলায় যোগদান করা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জনই বাইরের উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে। এ ছাড়া ফটিকছড়িতে ১৯ জন, হাটহাজারীতে ১৭ জন ও পটিয়ায় ১০ জন অন্য উপজেলা বা ইউনিয়ন থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘১২৪ জনের বিষয়টা আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে তাদের (প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের) সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে।’
No comments