প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগ-মাদ্রাসার ঘর পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী
নীলফামারীর বেড়াকুঠি বরুয়া মাদ্রাসার নবনির্মিত ঘর এবং ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রঞ্জিত কুমার রায়ের জন্য একটি ঘরের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ দুটি ঘর নির্মাণের পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তা উদ্বোধন করা হয়।
এলাকাবাসী এবং ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মাদ্রাসার নতুন ঘর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। মাদ্রাসা ও শিক্ষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁরা প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, নীলফামারীর এক মাদ্রাসাশিক্ষক এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শত দারিদ্র্য নিয়েও এক বেলা শ্রম বিক্রি করে অন্য বেলা পাঠদান করে গেছেন বছরের পর বছর। এমন একটি প্রতিবেদন প্রথম আলোতে ছাপা হওয়ার পর দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই শিক্ষককে সহায়তার জন্য পাঠক এগিয়ে আসেন। পাশে দাঁড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্ট। আজ নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের মাদ্রাসার জন্য একটি ঘর এবং তাঁর নিজের জন্য আরেকটি ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করতে পেরে প্রথম আলো গর্বিত।
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে এমন ছোট ছোট ও ভালো উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং এগিয়ে যাই।’ অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য কষ্ট হলেও তাদের স্কুলমুখী করতে হবে। তিনি প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে শিগগিরই মাদ্রাসার জন্য চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মতিউর রহমান বলেন, প্রথম আলো মাদকবিরোধী কার্যক্রম, এসিডদগ্ধ নারীদের সহায়তা এবং এসিড-সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা, ভাষা ও গণিত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভীতি দূর করা, ইন্টারনেটে দক্ষতা অর্জনে ইন্টারনেট উৎসবের আয়োজন, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা—ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করে আসছে।
সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, প্রথম আলো লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি তাঁর এলাকার মাদ্রাসা ও শিক্ষকের জন্য ঘর নির্মাণ করায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করারও আশ্বাস দেন তিনি।
সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুঠি বরুয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আকতার হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান শাহ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহামুদুল হাসান।
মাদ্রাসাশিক্ষক রঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘দারিদ্র্যের তীব্র কশাঘাতে জীবন যখন নিঃশেষ, ঠিক তখনই প্রথম আলোর সঞ্জীবনী আমাকে উজ্জীবিত করেছে, দেখিয়েছে বাঁচার স্বপ্ন। যাঁরা অনুদান দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
মাদ্রাসার ঘর উদ্বোধনের পর সম্পাদক মতিউর রহমান সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহী ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামে শিক্ষক রঞ্জিতের বাড়িতে যান। তাঁরা রঞ্জিতের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার, মাদ্রাসার ঘর নির্মাণকাজের ঠিকাদার আবিদ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘এক বেলা শিক্ষকতা অন্য বেলা দিনমজুরি’ শিরোনামে গত বছরের ৯ মার্চ প্রথম আলোর শেষের পাতায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পাঠক শিক্ষক রঞ্জিতের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা করেন; পাশাপাশি প্রথম আলোকে অনুরোধ করেন শিক্ষক রঞ্জিতের পরিবারের জন্য একটি থাকার ঘর তৈরি করে দিতে। প্রথম আলো পাঠকদের অনুরোধে শিক্ষক রঞ্জিতের জন্য একটি ঘরের পাশাপাশি ওই মাদ্রাসার জন্যও ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে অনেকে হাত বাড়ান। ওই তহবিলে জমা পড়ে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা। ঘর দুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৫ টাকা। বাকি এক লাখ ৮৪ হাজার ১৪৫ টাকা দেওয়া হয় প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, নীলফামারীর এক মাদ্রাসাশিক্ষক এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শত দারিদ্র্য নিয়েও এক বেলা শ্রম বিক্রি করে অন্য বেলা পাঠদান করে গেছেন বছরের পর বছর। এমন একটি প্রতিবেদন প্রথম আলোতে ছাপা হওয়ার পর দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই শিক্ষককে সহায়তার জন্য পাঠক এগিয়ে আসেন। পাশে দাঁড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্ট। আজ নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের মাদ্রাসার জন্য একটি ঘর এবং তাঁর নিজের জন্য আরেকটি ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করতে পেরে প্রথম আলো গর্বিত।
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে এমন ছোট ছোট ও ভালো উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং এগিয়ে যাই।’ অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য কষ্ট হলেও তাদের স্কুলমুখী করতে হবে। তিনি প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে শিগগিরই মাদ্রাসার জন্য চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মতিউর রহমান বলেন, প্রথম আলো মাদকবিরোধী কার্যক্রম, এসিডদগ্ধ নারীদের সহায়তা এবং এসিড-সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা, ভাষা ও গণিত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভীতি দূর করা, ইন্টারনেটে দক্ষতা অর্জনে ইন্টারনেট উৎসবের আয়োজন, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা—ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করে আসছে।
সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, প্রথম আলো লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি তাঁর এলাকার মাদ্রাসা ও শিক্ষকের জন্য ঘর নির্মাণ করায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করারও আশ্বাস দেন তিনি।
সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুঠি বরুয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আকতার হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান শাহ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহামুদুল হাসান।
মাদ্রাসাশিক্ষক রঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘দারিদ্র্যের তীব্র কশাঘাতে জীবন যখন নিঃশেষ, ঠিক তখনই প্রথম আলোর সঞ্জীবনী আমাকে উজ্জীবিত করেছে, দেখিয়েছে বাঁচার স্বপ্ন। যাঁরা অনুদান দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
মাদ্রাসার ঘর উদ্বোধনের পর সম্পাদক মতিউর রহমান সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহী ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামে শিক্ষক রঞ্জিতের বাড়িতে যান। তাঁরা রঞ্জিতের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার, মাদ্রাসার ঘর নির্মাণকাজের ঠিকাদার আবিদ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘এক বেলা শিক্ষকতা অন্য বেলা দিনমজুরি’ শিরোনামে গত বছরের ৯ মার্চ প্রথম আলোর শেষের পাতায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পাঠক শিক্ষক রঞ্জিতের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা করেন; পাশাপাশি প্রথম আলোকে অনুরোধ করেন শিক্ষক রঞ্জিতের পরিবারের জন্য একটি থাকার ঘর তৈরি করে দিতে। প্রথম আলো পাঠকদের অনুরোধে শিক্ষক রঞ্জিতের জন্য একটি ঘরের পাশাপাশি ওই মাদ্রাসার জন্যও ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে অনেকে হাত বাড়ান। ওই তহবিলে জমা পড়ে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা। ঘর দুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৫ টাকা। বাকি এক লাখ ৮৪ হাজার ১৪৫ টাকা দেওয়া হয় প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে।
No comments