আদালতে প্রধানমন্ত্রী গিলানি-প্রেসিডেন্টকে নেকড়ের মুখে নিক্ষেপ করা ঠিক হবে না
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে জনগণ তা থেকে ভালো বার্তা পাবে না। প্রেসিডেন্টকে নেকড়েদের মুখে নিক্ষেপ করা ঠিক হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সুপ্রিম কোর্টে গিলানি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে প্রেসিডেন্ট জারদারির দুর্নীতি মামলা চালু করতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে গিলানিকে তলব করেছিলেন আদালত। আদালতে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে নিজের আইনজীবী ও মন্ত্রিপরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান গিলানি। তিনি আদালতে বলেন, আদালতকে অমান্য করার কোনো উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তবে তিনি মনে করেন, প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়মুক্তি আছে।
গিলানি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি আমার বন্ধুবান্ধব ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত যে, প্রেসিডেন্টের পূর্ণাঙ্গ দায়মুক্তি আছে।’
অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের আদালতে মামলা হয়েছিল জারদারি ও তাঁর স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের আমলে ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্সের (এনআরও) মাধ্যমে একটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এর ফলে জারদারি, বেনজিরসহ শত শত রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যাহতি পান। কিন্তু ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওই এনআরও বাতিল করেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে মামলাটি পুনরায় চালু করার জন্য সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখার জন্য গিলানি সরকারকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি আছে জানিয়ে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আদালত অবমাননার অভিযোগে গিলানিকে তলব করেন সুপ্রিম কোর্ট।
আমি সংকটের মানুষ: গিলানি
ভারতের আইনপ্রণেতার একটি প্রতিনিধিদল গত বুধবার সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করেন গিলানির সঙ্গে। এ সময় তাঁরা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে (গিলানি) একজন শান্তির মানুষ হিসেবেই অভিহিত করেন।
এর জবাবে গিলানি বলেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি একজন সংকটের মানুষ।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
ভারতের প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মণি শংকর আয়ার ও যশোবন্ত সিং। বিবিসি ও হিন্দুস্তান টাইমস।
এর আগে নিজের আইনজীবী ও মন্ত্রিপরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান গিলানি। তিনি আদালতে বলেন, আদালতকে অমান্য করার কোনো উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তবে তিনি মনে করেন, প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়মুক্তি আছে।
গিলানি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি আমার বন্ধুবান্ধব ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত যে, প্রেসিডেন্টের পূর্ণাঙ্গ দায়মুক্তি আছে।’
অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের আদালতে মামলা হয়েছিল জারদারি ও তাঁর স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের আমলে ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্সের (এনআরও) মাধ্যমে একটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এর ফলে জারদারি, বেনজিরসহ শত শত রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যাহতি পান। কিন্তু ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওই এনআরও বাতিল করেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে মামলাটি পুনরায় চালু করার জন্য সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখার জন্য গিলানি সরকারকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি আছে জানিয়ে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আদালত অবমাননার অভিযোগে গিলানিকে তলব করেন সুপ্রিম কোর্ট।
আমি সংকটের মানুষ: গিলানি
ভারতের আইনপ্রণেতার একটি প্রতিনিধিদল গত বুধবার সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করেন গিলানির সঙ্গে। এ সময় তাঁরা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে (গিলানি) একজন শান্তির মানুষ হিসেবেই অভিহিত করেন।
এর জবাবে গিলানি বলেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি একজন সংকটের মানুষ।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
ভারতের প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মণি শংকর আয়ার ও যশোবন্ত সিং। বিবিসি ও হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments