হত্যা-ক্যুর রাজনীতিতে মানুষকে জীবন দিতে হয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতের সামরিক অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘হত্যা-ক্যুর রাজনীতিতে হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়। আর কোনো মায়ের কান্না শুনতে চাই না। গণতন্ত্র চাই, শান্তি চাই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় জেলা নেতারা স্থানীয় উন্নয়ন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বিবরণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৮-১৯টি ক্যু হয়। এতে হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়। একেকটা ক্যুর পর সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদেরই বেশি হত্যা করা হয়। যাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ক্ষমতা দখল করা হয়, তাদেরই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৭ সালে যে ক্যু হয়, তাতে এক দিনে জেনারেল জিয়াউর রহমান বিমানবাহিনীর ১৭ জন কর্মকর্তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে ও কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে হত্যা করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র রক্ষা ও শান্তির জন্য কাজ করছে সরকার। হত্যা-ক্যুর রাজনীতিতে কে লাভবান হয়? একটা মানুষের ক্ষমতার লোভ বা ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়।’
শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কাজ হবে না। মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মজবুত রাখতে পেরেছি।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্ববিরোধিতার অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় তিনি বললেন, তাঁরা এই নির্বাচন মানেন না, ইভিএম মানেন না। কিন্তু যখন তাঁদের প্রার্থী বিজয়ী হলেন, তখন তাঁকে মালা দিয়ে বরণ করলেন। একসময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরম বিরোধিতা করলেও এখন সেটাই চাইছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলই বিএনপির একমাত্র উদ্দেশ্য। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দেশে এসব সংস্কৃতির উদ্ভাবক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে ক্ষমতা দখল করে অসংখ্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতনসহ অনেক ভয়াবহ অপরাধ করেছে, তাদের তিনি ছেড়ে দেন। এমনকি যে ১১ হাজার বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধী ছিল, তিনি তাদেরও ছেড়ে দেন। এরপর তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসান। এভাবে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নষ্ট করে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল। হত্যা, গুম, খুন আর নির্যাতনের মাধ্যমে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছিল। এমনকি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এসব থেমে থাকেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগই এসবের প্রতিবাদ করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রাম করেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে প্রমাণ করেছে, গণতন্ত্র ও জনগণের ক্ষমতায়নে এই দল বিশ্বাস করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গণতন্ত্র চান, গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চান। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়তে চান।
মতবিনিময় সভায় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব উল আলম হানিফসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৭ সালে যে ক্যু হয়, তাতে এক দিনে জেনারেল জিয়াউর রহমান বিমানবাহিনীর ১৭ জন কর্মকর্তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে ও কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে হত্যা করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র রক্ষা ও শান্তির জন্য কাজ করছে সরকার। হত্যা-ক্যুর রাজনীতিতে কে লাভবান হয়? একটা মানুষের ক্ষমতার লোভ বা ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়।’
শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কাজ হবে না। মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মজবুত রাখতে পেরেছি।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্ববিরোধিতার অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় তিনি বললেন, তাঁরা এই নির্বাচন মানেন না, ইভিএম মানেন না। কিন্তু যখন তাঁদের প্রার্থী বিজয়ী হলেন, তখন তাঁকে মালা দিয়ে বরণ করলেন। একসময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরম বিরোধিতা করলেও এখন সেটাই চাইছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলই বিএনপির একমাত্র উদ্দেশ্য। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দেশে এসব সংস্কৃতির উদ্ভাবক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে ক্ষমতা দখল করে অসংখ্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতনসহ অনেক ভয়াবহ অপরাধ করেছে, তাদের তিনি ছেড়ে দেন। এমনকি যে ১১ হাজার বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধী ছিল, তিনি তাদেরও ছেড়ে দেন। এরপর তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসান। এভাবে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নষ্ট করে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল। হত্যা, গুম, খুন আর নির্যাতনের মাধ্যমে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছিল। এমনকি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এসব থেমে থাকেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগই এসবের প্রতিবাদ করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রাম করেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে প্রমাণ করেছে, গণতন্ত্র ও জনগণের ক্ষমতায়নে এই দল বিশ্বাস করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গণতন্ত্র চান, গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চান। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়তে চান।
মতবিনিময় সভায় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব উল আলম হানিফসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments