বদলে যাচ্ছে নীলতিমির গানের সুর- অজানা তথ্য
প্রেমের সুর চিরন্তন। শুধু মানুষ নয়, সমগ্র প্রাণিজগতে প্রেমের এই আবাহন শাশ্বত। বিজ্ঞানীরা বিশ্বের বৃহত্তম প্রাণী নীলতিমির ওপর গবেষণা করে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন।
বদলে গেছে নীলতিমির গানের সুর। বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রাণীর ওপর পরিচালিত নতুন গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। অন্যান্য পুরম্নষ নীলতিমিকে দূরে সরিয়ে মেয়ে নীলতিমিকে কাছে টানতে ব্যবহার করা হয় এই গান। এটা অনেকটা নাড়ির স্পন্দনের মতো। জেট ও হাঙ্গরের চাইতে এটা বড়। বড় ধরনের একটি যন্ত্র থেকে সৃষ্ট শব্দের সঙ্গে তুলনীয়। কিন্তু সত্মন্যপায়ী এই অতিকায় প্রাণীর চিরচেনা গানের সুর পাল্টে যাচ্ছে।স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশেনোগ্রাফির জন হিলডে ব্র্যান্ড তিমিদের শব্দ নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি নতুন সুর শুনছেন। তারা ফ্রিকোয়েন্সি বা শব্দতরঙ্গ পাল্টাচ্ছে। প্রতি বছর কমাচ্ছে গানের স্বরগ্রাম বা লয়। এই লয় পরিবর্তনের ফলে নীলতিমির গানের সুর ঘাটের দশকের চাইতে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ নিচু হয়ে গেছে। তার অভিমত, সারা বিশ্বে নীল তিমির সকল বিচরণস্থলে এই পরিবর্তন সুস্পষ্ট। হিলডে ব্র্যান্ড মনে করেন এই সুর পরিবর্তনের সঙ্গে নীলতিমি শিকার বন্ধ হওয়ার একটি সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৬৬ সালে নীলতিমি শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার আগে এদের সংখ্যা ছিল বিপজ্জনকভাবে কম।
তিনি বলেন, ষাটের দশকের গোড়ার দিকে বিশ্বের নীলতিমির সংখ্যা ছিল সম্ভবত কয়েক হাজার। অর্থাৎ ঐ সময় পুরম্নষ নীলতিমির প্রেমের সুর শোনার মতো মেয়ে প্রজাতির সংখ্যা ছিল নিতানত্মই কম। যার জন্য পুরম্নষ নীলতিমিকে ঐ সময় তাদের গানের শব্দ অনেক বেশি দূরে পেঁৗছাতে হতো। কিন্তু বর্তমানে তাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গানের সুর আর বেশি দূরে পেঁৗছাতে হয় না। প্রেমিকার কাছে পুরম্নষ নীলতিমির প্রেমের শাশ্বত বার্তা পাঠাতে আগের মতো আর গলা ফাটাতে হয় না।
তিমি বিশেষজ্ঞ হিলডে ব্র্যান্ড মনে করেন পুরম্নষ নীলতিমিরা এখন তাদের প্রেম সঙ্গীত হিসেবে নিচু লয়কেই বেছে নিয়েছে।
০ তাহেরা নয়ন
No comments