সাক্ষাৎকার-কওমির আলেমদের জামায়াতবিরোধী অবস্থান আরও জোরালো করতে হবে by মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ
মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। সমাজসেবক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাবেক পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ায় লেখাপড়া শুরু করে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে।
তিনি ঢাকা জামিয়া ইকরার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল। এ ছাড়াও তিনি মানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠা করেন সেবা সংস্থা ইসলাহুল মুসলিমিন বাংলাদেশ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ শোলাকিয়ায় ইমাম এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের কো-চেয়ারম্যান
সমকাল : একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনার বয়স কত ছিল?
মাওলানা মাসউদ : আমার বয়স তখন ১৯-২০ হবে।
সমকাল : কোথায় ছিলেন তখন, কী করতেন?
মাওলানা মাসউদ : আমি তখন কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা করছিলাম।
সমকাল : মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তখনকার কওমি আলেমদের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল?
মাওলানা মাসউদ : এ বিষয়ে বলতে গেলে একটু পেছনের দিক থেকে শুরু করতে হবে। আলেমরা ঐতিহ্যগতভাবেই এক সময় ছিল ঐক্যবদ্ধ। অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিল তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সেখানকার আলেম কাসেম নানুতবী, শাবি্বর আহমদ উসমানী, শাইখুল হিন্দ প্রমুখদের অনুসরণই করত সব আলেম। যখন ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেল বাংলাদেশের আলেমদের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য একটাই পথ খোলা ছিল করাচি। তারা রীতিমতো পাকিস্তানের করাচিতে যেতে শুরু করলেন এবং পাকিস্তানের প্রতি একটা অবধারিত ভালোবাসা জন্মাতে শুরু করল। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাই অনেক বাঙালি আলেম দ্বিধান্বিত অবস্থায় ছিলেন। তবে এটা সত্য যে, কওমির আলেমরা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যাননি। প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও তারা নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।
সমকাল : কিন্তু এখন তো দাড়ি-টুপিওয়ালা দেখলেই রাজাকার বলে ধরে নেওয়া হয়_ এর কারণ কী?
মাওলানা মাসউদ : মূলত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে সংগঠন করে পাকিস্তানকে সর্বতোভাবে সহায়তা করেছে। এখানে কওমি আলেমদের উপস্থিতির কোনো নজির কেউ দেখাতে পারবে না। আসলে সাধারণ মানুষের কাছে এটাই স্পষ্ট নয়, জামায়াত আর কওমি ওলামা দুই সমাজের লোক। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তো কওমি আলেমরা রাজনীতি করতেন না। কাসেম নানুতবীর মুরিদদের মধ্যে যারা রাজনীতি করতেন, তাদের শিষ্যত্ব তিনি বাতিল করে দিতেন। কওমি আলেমদের রাজনীতির সূচনা একাত্তরের অনেক পরে। তাদের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় জড়ানো প্রকাশ্য অন্যায় এবং এমন ভাবাটা সম্পূর্ণ অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য।
সমকাল : আলেম হয়েও আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করেছেন, এই প্রেরণা পেলেন কোত্থেকে?
মাওলানা মাসউদ : ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বই পড়তাম। বাবা ছাত্র জীবনেই আমার হাতে তুলে দিয়েছেন কালিদাস আর মাইকেলের মেঘনাদবধ কাব্যের মতো বই। এসব বই আমাকে সমাজ ভাবনায় অংশীদার করে তোলে। তাছাড়া আমি অনেক আলেমকেই দেখেছি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে। প্রথমদিকে জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের মুহতামিম মাওলানা আশরাফ আলী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তার ওস্তাদ ভারতের শায়খুল হিন্দ তাকে চিঠি দিলে তিনিও প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন।
সমকাল : কওমি আলেমরা যে জামায়াত ও রাজাকার নয়, এটা জোরালোভাবে আসছে না, মানুষ জানছে না, কারণ কী?
মাওলানা মাসউদ : এটা অনেকটা আলেমদের কারণেই হচ্ছে। প্রথমত, জামায়াতের সঙ্গে কওমি ঘরানার আলেমদের রাজনৈতিক ঐক্য মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলছে। অন্যদিকে কওমি আলেমরা মনেপ্রাণে 'জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়'_ এটা বিশ্বাস করলেও জোরালোভাবে তা প্রচার করছে না। যে কারণে মানুষ তাদের জামায়াতের পক্ষাবলম্বনকারী হিসেবে জানছে। এখন তাদের মনের বিশ্বাসের সঙ্গে সর্বস্তরে এ ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ ও প্রচার দিতে হবে যে, জামায়াত আর কওমি এক বিষয় নয়। আর জামায়াত যে ইসলামী দল নয়, এখন তো তারা আরও ভালোভাবে তা বুঝিয়েছে। সম্প্রতি তারা তাদের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ-রাসূল ও ইসলামের কথাগুলো মুছে ফেলেছে। এটা তারা করেছে রাজনীতির স্বার্থে। জামায়াত মূলত একটি রাজনৈতিক দল। নিজেদের স্বার্থে তারা ইসলাম ব্যবহার করে মাত্র।
সমকাল : অনেক কওমি ঘরানার আলেম রাজনীতিক তাদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন?
মাওলানা মাসউদ : এটা আমাদের জন্য অনেক বড় দুর্ভাগ্য। তারা না বুঝে নিজেদের স্বকীয়তা বিসর্জন দিচ্ছেন। এটা অনেক বড় ধরনের ভুল। যে ভুলটা জামায়াত করেছিল একাত্তরে। এটা সময় হলে আলেমরা টের পাবে। তবে তরুণ আলেমদের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে, তারা নিজেদের এই কলুষিত পথ থেকে সরাতে চায়। তারা নিজেদের ওপর নির্ভরশীল এবং প্রতিবাদী।
সমকাল : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন দিকে যাচ্ছে, বিচার আদৌ হবে কি-না এই নিয়ে মানুষ সংশয়ে, আপনি কী মনে করেন?
মাওলানা মাসউদ : আমি কোনো কাজেই নিরাশ হওয়ার মতো লোক নই। আমি প্রচণ্ড আশাবাদী। আমি মনে করি, বিচার কাজ যেভাবে এগোচ্ছে অচিরেই রায় হয়ে যাবে। সে সঙ্গে বাংলাদেশও দায়মুক্ত হবে।
সমকাল : ইসলামে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা কি জোরালোভাবে উঠে এসেছে?
মাওলানা মাসউদ : অবশ্যই। কোরআন-হাদিসের ভাষায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সুন্দর উদাহরণ আমরা ইসলামের ইতিহাস পড়লেই পাই। হাদিসের কিতাবে প্রকাশ্যই এসেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা। রাসূল (সা.) ওরাইনার লোকদের যুদ্ধাপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছেন। আর ইসলামের যুদ্ধনীতিতে প্রকাশ্য এসেছে যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের ক্ষতি করা যাবে না, বৃদ্ধ ও শিশুদের হত্যা করা যাবে না, কোনো গাছগাছালি নষ্ট করা যাবে না। এসব আইনে একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্য যুদ্ধাপরাধ করেছে। সুতরাং তাদের শাস্তি হতেই হবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ :রোকন রাইয়ান
সমকাল : একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনার বয়স কত ছিল?
মাওলানা মাসউদ : আমার বয়স তখন ১৯-২০ হবে।
সমকাল : কোথায় ছিলেন তখন, কী করতেন?
মাওলানা মাসউদ : আমি তখন কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা করছিলাম।
সমকাল : মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তখনকার কওমি আলেমদের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল?
মাওলানা মাসউদ : এ বিষয়ে বলতে গেলে একটু পেছনের দিক থেকে শুরু করতে হবে। আলেমরা ঐতিহ্যগতভাবেই এক সময় ছিল ঐক্যবদ্ধ। অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিল তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সেখানকার আলেম কাসেম নানুতবী, শাবি্বর আহমদ উসমানী, শাইখুল হিন্দ প্রমুখদের অনুসরণই করত সব আলেম। যখন ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেল বাংলাদেশের আলেমদের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য একটাই পথ খোলা ছিল করাচি। তারা রীতিমতো পাকিস্তানের করাচিতে যেতে শুরু করলেন এবং পাকিস্তানের প্রতি একটা অবধারিত ভালোবাসা জন্মাতে শুরু করল। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাই অনেক বাঙালি আলেম দ্বিধান্বিত অবস্থায় ছিলেন। তবে এটা সত্য যে, কওমির আলেমরা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যাননি। প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও তারা নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।
সমকাল : কিন্তু এখন তো দাড়ি-টুপিওয়ালা দেখলেই রাজাকার বলে ধরে নেওয়া হয়_ এর কারণ কী?
মাওলানা মাসউদ : মূলত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে সংগঠন করে পাকিস্তানকে সর্বতোভাবে সহায়তা করেছে। এখানে কওমি আলেমদের উপস্থিতির কোনো নজির কেউ দেখাতে পারবে না। আসলে সাধারণ মানুষের কাছে এটাই স্পষ্ট নয়, জামায়াত আর কওমি ওলামা দুই সমাজের লোক। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তো কওমি আলেমরা রাজনীতি করতেন না। কাসেম নানুতবীর মুরিদদের মধ্যে যারা রাজনীতি করতেন, তাদের শিষ্যত্ব তিনি বাতিল করে দিতেন। কওমি আলেমদের রাজনীতির সূচনা একাত্তরের অনেক পরে। তাদের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় জড়ানো প্রকাশ্য অন্যায় এবং এমন ভাবাটা সম্পূর্ণ অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য।
সমকাল : আলেম হয়েও আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করেছেন, এই প্রেরণা পেলেন কোত্থেকে?
মাওলানা মাসউদ : ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বই পড়তাম। বাবা ছাত্র জীবনেই আমার হাতে তুলে দিয়েছেন কালিদাস আর মাইকেলের মেঘনাদবধ কাব্যের মতো বই। এসব বই আমাকে সমাজ ভাবনায় অংশীদার করে তোলে। তাছাড়া আমি অনেক আলেমকেই দেখেছি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে। প্রথমদিকে জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের মুহতামিম মাওলানা আশরাফ আলী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তার ওস্তাদ ভারতের শায়খুল হিন্দ তাকে চিঠি দিলে তিনিও প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন।
সমকাল : কওমি আলেমরা যে জামায়াত ও রাজাকার নয়, এটা জোরালোভাবে আসছে না, মানুষ জানছে না, কারণ কী?
মাওলানা মাসউদ : এটা অনেকটা আলেমদের কারণেই হচ্ছে। প্রথমত, জামায়াতের সঙ্গে কওমি ঘরানার আলেমদের রাজনৈতিক ঐক্য মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলছে। অন্যদিকে কওমি আলেমরা মনেপ্রাণে 'জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়'_ এটা বিশ্বাস করলেও জোরালোভাবে তা প্রচার করছে না। যে কারণে মানুষ তাদের জামায়াতের পক্ষাবলম্বনকারী হিসেবে জানছে। এখন তাদের মনের বিশ্বাসের সঙ্গে সর্বস্তরে এ ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ ও প্রচার দিতে হবে যে, জামায়াত আর কওমি এক বিষয় নয়। আর জামায়াত যে ইসলামী দল নয়, এখন তো তারা আরও ভালোভাবে তা বুঝিয়েছে। সম্প্রতি তারা তাদের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ-রাসূল ও ইসলামের কথাগুলো মুছে ফেলেছে। এটা তারা করেছে রাজনীতির স্বার্থে। জামায়াত মূলত একটি রাজনৈতিক দল। নিজেদের স্বার্থে তারা ইসলাম ব্যবহার করে মাত্র।
সমকাল : অনেক কওমি ঘরানার আলেম রাজনীতিক তাদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন?
মাওলানা মাসউদ : এটা আমাদের জন্য অনেক বড় দুর্ভাগ্য। তারা না বুঝে নিজেদের স্বকীয়তা বিসর্জন দিচ্ছেন। এটা অনেক বড় ধরনের ভুল। যে ভুলটা জামায়াত করেছিল একাত্তরে। এটা সময় হলে আলেমরা টের পাবে। তবে তরুণ আলেমদের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে, তারা নিজেদের এই কলুষিত পথ থেকে সরাতে চায়। তারা নিজেদের ওপর নির্ভরশীল এবং প্রতিবাদী।
সমকাল : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন দিকে যাচ্ছে, বিচার আদৌ হবে কি-না এই নিয়ে মানুষ সংশয়ে, আপনি কী মনে করেন?
মাওলানা মাসউদ : আমি কোনো কাজেই নিরাশ হওয়ার মতো লোক নই। আমি প্রচণ্ড আশাবাদী। আমি মনে করি, বিচার কাজ যেভাবে এগোচ্ছে অচিরেই রায় হয়ে যাবে। সে সঙ্গে বাংলাদেশও দায়মুক্ত হবে।
সমকাল : ইসলামে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা কি জোরালোভাবে উঠে এসেছে?
মাওলানা মাসউদ : অবশ্যই। কোরআন-হাদিসের ভাষায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সুন্দর উদাহরণ আমরা ইসলামের ইতিহাস পড়লেই পাই। হাদিসের কিতাবে প্রকাশ্যই এসেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা। রাসূল (সা.) ওরাইনার লোকদের যুদ্ধাপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছেন। আর ইসলামের যুদ্ধনীতিতে প্রকাশ্য এসেছে যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের ক্ষতি করা যাবে না, বৃদ্ধ ও শিশুদের হত্যা করা যাবে না, কোনো গাছগাছালি নষ্ট করা যাবে না। এসব আইনে একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্য যুদ্ধাপরাধ করেছে। সুতরাং তাদের শাস্তি হতেই হবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ :রোকন রাইয়ান
No comments