চিকিৎসকদের আন্দোলন-রোগীদের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে
দুর্ভাগ্যজনকভাবে খুন হয়েছেন বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত (নিতাই)। বাসভবনে নাগরিকের খুন হওয়ার তালিকা বেড়ে যাওয়ারই ধারাবাহিকতা যেন এই নৃশংস ঘটনা। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে কোনোমতেই লঘু করে দেখা যায় না।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুর কারণে চিকিৎসক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হবে- এটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁদের আন্দোলনের মাধ্যমে। ফলে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই প্রায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে কয়েক দিন ধরে। এতে রোগীদের পড়তে হয় মারাত্মক দুর্ভোগে। হাসপাতালে আসা ও হাসপাতালে থাকা রোগীদের দুর্ভোগ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীদের চিকিৎসাসেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবছেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় চিকিৎসক নেতারা যখন সহকর্মী খুনের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ওই সময়ই বহির্বিভাগে বসে কাতরাচ্ছিলেন অনেক রোগী। তাঁদের অনেকেই এসেছিলেন ঢাকার বাইরে থেকে। দু-তিন দিন ঢাকায় থেকে চিকিৎসা করবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল কারো কারো। কিন্তু ডাক্তার নিতাই খুন হওয়ার পর প্রেক্ষাপট পাল্টে যায়। নিত্যই কর্মবিরতি, না হয় সমাবেশ চলতে থাকে হাসপাতালগুলোতে। ফলে রোগীদের চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। চিকিৎসকদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক; কিন্তু রোগীদের জিম্মি করে কি আন্দোলন করাটা যৌক্তিক? জীবন বাঁচানোর মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকদের কর্মযজ্ঞ যেমন অন্যদের চেয়ে পৃথক, তেমনি তাঁদের কর্মদায়িত্ব ও কর্তব্য অন্যদের চেয়ে আলাদা। সংগত কারণেই অন্য পেশাজীবীরা যেমন ক্ষোভ প্রকাশ কিংবা দাবি আদায়ের জন্য হুটহাট আন্দোলনে নেমে যেতে পারেন, চিকিৎসকদের সেই সুযোগ নেই। তাই তাঁদের আন্দোলন কিংবা দাবি আদায়ের জন্য কিছু করতে হলে রোগীর কথাটা বিবেচনা করতে হবে সবার আগে। আন্দোলনের এমন পদ্ধতি বেছে নিতে হবে, যাতে করে রোগীদের কোনো অসুবিধা না হয়।
চিকিৎসক নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছে। মন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে- এই ঘটনা চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনার সময় সংঘটিত হয়েছে। সে অনুযায়ী সন্দেহভাজন কয়েকজনকে তারা গ্রেপ্তারও করেছে। সুতরাং এ ব্যাপারে সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেই, তাও বলা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করা যায় না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্র ধরে সেখানে যেভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং রোগীদের যেমন অস্বাভাবিক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তেমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, সেটাই কাম্য ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে আবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু হলো। এতে রোগীদেরও কষ্ট বাড়তে থাকল। এমন পরিস্থিতিতে বিএমএসহ চিকিৎসকদের উচিত হবে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং রোগীদের কষ্ট না দিয়ে বিকল্প পথ বের করা।
চিকিৎসক নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছে। মন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে- এই ঘটনা চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনার সময় সংঘটিত হয়েছে। সে অনুযায়ী সন্দেহভাজন কয়েকজনকে তারা গ্রেপ্তারও করেছে। সুতরাং এ ব্যাপারে সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেই, তাও বলা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করা যায় না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্র ধরে সেখানে যেভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং রোগীদের যেমন অস্বাভাবিক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তেমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, সেটাই কাম্য ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে আবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু হলো। এতে রোগীদেরও কষ্ট বাড়তে থাকল। এমন পরিস্থিতিতে বিএমএসহ চিকিৎসকদের উচিত হবে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং রোগীদের কষ্ট না দিয়ে বিকল্প পথ বের করা।
No comments