আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের
আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা আফগানিস্তানে থাকবে না। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন কথা শোনা গেল।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাক্ষাতের দুই দিন আগে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
কর্মকর্তারা জানান, ওবামার সব মনোযোগ এখন ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের দিকে। এরপর দেশটিতে মার্কিন সেনা থাকবে কি না বা থাকলেও তাদের সংখ্যা কেমন হবে- তা নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বিষয়টি নির্ভর করবে কৌশলগত প্রয়োজনের ওপর।
জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপউপদেষ্টা বেন রডস বলেন, সেনা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত সবগুলো দিক নিয়েই ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সব সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তাদের ভাবনায় আছে। কারজাইয়ের সফরের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গত মঙ্গলবার তিনি আরো বলেন, 'আমরা কোনো সম্ভাবনাই বাদ দিচ্ছি না। আফগানিস্তানে কত সেনা রাখা যেতে পারে- তার ওপর নির্ভর করে আমরা চালিত হচ্ছি না। বরং প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নির্দেশনা অনুসারেই চলছি আমরা।' বর্তমানে চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন কারজাই। আগামীকাল শুক্রবার তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটার সঙ্গেও বসার কথা রয়েছে তাঁর।
রডস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, 'আল-কায়েদাকে ভেঙে দেওয়া, ধ্বংস করা এবং পরাজিত করা। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে তারা যাতে আর ফিরতে না পারে, তাও নিশ্চিত করা।' তবে সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনা উপস্থিতি ছাড়া ২০১৪ সালে পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এমনকি সীমিত লক্ষ্য অর্জনও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত সপ্তাহে তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, আফগানিস্তানে সীমিতসংখ্যক সেনা রাখার পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। মার্কিন সেনা রাখার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে আফগান নেতাদেরও। তবে সেনাদের দায়মুক্তি নিয়ে এখনো দুই পক্ষের সমঝোতা হয়নি। এর আগে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়ও এ শর্ত জুড়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরাক সরকার রাজি না হওয়ায় সেখান থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ওবামা।
আবারও বিচারের মুখোমুখি পোলিশ সেনারা : দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে আট বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে পোল্যান্ডের চার সেনাকে আবারও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। এর আগে প্রমাণের অভাবে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। পোল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট সামরিক আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার আবারও বিচারের সিদ্ধান্ত জানান। সূত্র : বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস।
কর্মকর্তারা জানান, ওবামার সব মনোযোগ এখন ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের দিকে। এরপর দেশটিতে মার্কিন সেনা থাকবে কি না বা থাকলেও তাদের সংখ্যা কেমন হবে- তা নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বিষয়টি নির্ভর করবে কৌশলগত প্রয়োজনের ওপর।
জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপউপদেষ্টা বেন রডস বলেন, সেনা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত সবগুলো দিক নিয়েই ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সব সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তাদের ভাবনায় আছে। কারজাইয়ের সফরের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গত মঙ্গলবার তিনি আরো বলেন, 'আমরা কোনো সম্ভাবনাই বাদ দিচ্ছি না। আফগানিস্তানে কত সেনা রাখা যেতে পারে- তার ওপর নির্ভর করে আমরা চালিত হচ্ছি না। বরং প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নির্দেশনা অনুসারেই চলছি আমরা।' বর্তমানে চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন কারজাই। আগামীকাল শুক্রবার তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটার সঙ্গেও বসার কথা রয়েছে তাঁর।
রডস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, 'আল-কায়েদাকে ভেঙে দেওয়া, ধ্বংস করা এবং পরাজিত করা। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে তারা যাতে আর ফিরতে না পারে, তাও নিশ্চিত করা।' তবে সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনা উপস্থিতি ছাড়া ২০১৪ সালে পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এমনকি সীমিত লক্ষ্য অর্জনও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত সপ্তাহে তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, আফগানিস্তানে সীমিতসংখ্যক সেনা রাখার পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। মার্কিন সেনা রাখার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে আফগান নেতাদেরও। তবে সেনাদের দায়মুক্তি নিয়ে এখনো দুই পক্ষের সমঝোতা হয়নি। এর আগে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়ও এ শর্ত জুড়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরাক সরকার রাজি না হওয়ায় সেখান থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ওবামা।
আবারও বিচারের মুখোমুখি পোলিশ সেনারা : দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে আট বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে পোল্যান্ডের চার সেনাকে আবারও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। এর আগে প্রমাণের অভাবে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। পোল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট সামরিক আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার আবারও বিচারের সিদ্ধান্ত জানান। সূত্র : বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস।
No comments