১১২ দিনের সাজা মাফ পাবেন ম্যানিং
বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের কাছে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন দলিল তুলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের বিচারপূর্ব আটকাবস্থা বেআইনি ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট মিড সামরিক ঘাঁটির এক বিচারক গত মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন।
বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ম্যানিংকে যে সাজা দেওয়া হবে, তা থেকে ১১২ দিনের সাজা মওকুফ করা হবে বলেও রায় দিয়েছেন বিচারক। আগামী ৬ মার্চ থেকে পূর্ণ বিচার শুরুর কথা রয়েছে।
'শত্রুর কাছে তথ্যপাচার' ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গোপন দলিল ফাঁসসহ ২২টি অভিযোগ রয়েছে ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের মে মাসে বাগদাদের কাছের একটি মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় উইকিলিকসের কাছে আড়াই লাখেরও বেশি গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হলে ম্যানিংয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ম্যানিংকে ভার্জিনিয়ার কুয়ানটিকো মেরিন ঘাঁটিতে আটক রাখা হয়। এই ৯ মাসে তাঁর ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানালাহীন একটি কক্ষে প্রতিদিন ২৩ ঘণ্টা আটকে রাখা, তিনি যাতে আত্মহত্যা করতে না পারেন, সেজন্য কাপড় পরতে না দেওয়া এবং কড়া নজরদারিতে রাখার অভিযোগ করেন ম্যানিংয়ের আইনজীবী। সামরিক হেফাজতে মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে ২২টি অভিযোগই প্রত্যাহারের আবেদন জানান তিনি। মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিড ঘাঁটির সামরিক আদালতে ম্যানিংয়ের বিচারপূর্ব শুনানির সময় এ আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন বিচারক।
রায়ে সামরিক আদালতের বিচারক কর্নেল ডেনিস লিন্ড ম্যানিংয়ের বিচারপূর্ব কারাবন্দিত্বকে বেআইনি ঘোষণা করেন। বিচারক বলেন, 'ম্যানিংয়ের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতন হয়েছে।' চূড়ান্ত বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যে দণ্ড হবে, তা থেকে ১১২ দিনের সাজা মওকুফ করা হবে বলেও রায় দেন বিচারক। নির্যাতনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই ১১২ দিনের সাজা মওকুফ পাবেন তিনি। তবে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেননি বিচারক। সূত্র : টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান।
'শত্রুর কাছে তথ্যপাচার' ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গোপন দলিল ফাঁসসহ ২২টি অভিযোগ রয়েছে ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের মে মাসে বাগদাদের কাছের একটি মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় উইকিলিকসের কাছে আড়াই লাখেরও বেশি গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হলে ম্যানিংয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ম্যানিংকে ভার্জিনিয়ার কুয়ানটিকো মেরিন ঘাঁটিতে আটক রাখা হয়। এই ৯ মাসে তাঁর ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানালাহীন একটি কক্ষে প্রতিদিন ২৩ ঘণ্টা আটকে রাখা, তিনি যাতে আত্মহত্যা করতে না পারেন, সেজন্য কাপড় পরতে না দেওয়া এবং কড়া নজরদারিতে রাখার অভিযোগ করেন ম্যানিংয়ের আইনজীবী। সামরিক হেফাজতে মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে ২২টি অভিযোগই প্রত্যাহারের আবেদন জানান তিনি। মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিড ঘাঁটির সামরিক আদালতে ম্যানিংয়ের বিচারপূর্ব শুনানির সময় এ আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন বিচারক।
রায়ে সামরিক আদালতের বিচারক কর্নেল ডেনিস লিন্ড ম্যানিংয়ের বিচারপূর্ব কারাবন্দিত্বকে বেআইনি ঘোষণা করেন। বিচারক বলেন, 'ম্যানিংয়ের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতন হয়েছে।' চূড়ান্ত বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যে দণ্ড হবে, তা থেকে ১১২ দিনের সাজা মওকুফ করা হবে বলেও রায় দেন বিচারক। নির্যাতনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই ১১২ দিনের সাজা মওকুফ পাবেন তিনি। তবে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেননি বিচারক। সূত্র : টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান।
No comments